ETV Bharat / state

ICDS Worker Death Protest: মৃত আইসিডিএস কর্মীর পরিবারকে 50 লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের দাবি - আইসিডিএস

আইসিডিএস কর্মী রেবা বিশ্বাসের মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবাদ মিছিল ৷ আশাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা(Pradhan Mantri Awas Yojana)-র সমীক্ষা করতে পাঠানো যাবে না বলে দাবি জানালেন তাঁরা ৷ সেই সঙ্গে পরিবারকে 50 লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের দাবি জানানো হয়েছে (ICDS Worker Death Protest in Kolkata Demanding Rs 50 Lakhs Compensation for Family) ৷

icds-worker-death-protest-in-kolkata-demanding-rs-50-lakhs-compensation-for-family
icds-worker-death-protest-in-kolkata-demanding-rs-50-lakhs-compensation-for-family
author img

By

Published : Dec 13, 2022, 8:09 PM IST

মৃত আইসিডিএস কর্মীর পরিবারকে 50 লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের দাবি

কলকাতা, 13 ডিসেম্বর: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের উপভোক্তা নির্ধারণের জন্য, সমীক্ষার দায়িত্ব কোনভাবেই আইসিডিএস কর্মীদের দেওয়া চলবে না ৷ পাশাপাশি, মৃত আশাকর্মী রেবা বিশ্বাসের পরিবারকে 50 লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের দাবি জানালেন আইসিডিএস কর্মীরা (ICDS Worker Death Protest in Kolkata Demanding Rs 50 Lakhs Compensation for Family) ৷ এদিন সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করে এমনটাই দাবি জানিয়েছেন তাঁরা ৷

প্রসঙ্গত, অভিযোগ ওঠে রেবা বিশ্বাস নামে ওই আইসিডিএস কর্মীকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (Pradhan Mantri Awas Yojana) প্রকল্পের সমীক্ষায় অনিয়ম করতে লাগাতার চাপ দেওয়া হচ্ছিল । বলা হচ্ছিল যোগ্য উপভোক্তাদের পরিবর্তে যেন শাসকদলের মদতপুষ্ট প্রভাবশালীরা আবাস যোজনার টাকা পান ৷ সে রকমই রিপোর্ট তৈরি করে তাঁকে পাঠাতে বলা হয়েছিল প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে । সেই মানসিক চাপ সহ‍্য করতে না-পেরেই বেরা বিশ্বাস আত্মহননের পথ বেছে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে ৷

তারই প্রতিবাদে এদিন প্রতিবাদ মিছিল করে পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়ন ৷ সংগঠনের নেত্রী ইসমত আরা খাতুন বলেন, ‘‘বিভিন্ন জেলায় ব্লক প্রশাসন জোর করে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের আবাস যোজনার সমীক্ষার কাজ করতে বাধ্য করছে ৷ এর ফলে আমরা দেখছি যে, আমদের আশঙ্কাই সত্যি হচ্ছে ৷ বিভিন্ন জেলার ব্লকগুলিতে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা রাজনৈতিক চাপ ও বিভিন্ন ধরনের লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন ৷ কাঁচা বাড়িকে, আর পাকা বাড়িকে কাঁচা লিখতে বাধ্য করা হচ্ছে ৷ জোর করে নাম কাটতে বাধ্য করা হচ্ছে ৷ কোথাও আবার যোগ্য নয়, তাদের নামও রাখতে হচ্ছে ৷’’

এনিয়ে ওই আইসিডিএস সংগঠনের নেত্রী দাবি করেছেন, ‘‘আমরা মরে করি, আশা ও অঙ্গনওয়াড়ী কর্মীদের তাঁদের দফতরের কাজের বাইরে আবাস যোজনার কাজ করানো যাবে না ৷ কেন্দ্রীয় শিশু ও নারী কল্যাণ মন্ত্রকের সার্কুলারে পরিষ্কার বলা আছে যে, কর্মীদের উপর থাকা দায়িত্বে ক্ষতি হবে এমন কোন কাজ করানো চলবে না ৷ জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য অভিযান (National Rural Health Mission) কর্তৃক আশাকর্মীদের জন্য প্রকাশিত গাইডলাইনের সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, আশা কর্মীরা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে, সংশ্লিষ্ট গৃহ ও শৌচালয় বিষয়ে শুধুমাত্র জনসাধারণকে সচেতন করবেন ৷’’

আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় অনিয়ম করতে চাপ দেওয়ায় আত্মঘাতী আইসিডিএস কর্মী ? তপ্ত স্বরূপনগর

বিক্ষোভকারীদের আরও বক্তব্য, ‘‘রেশন কার্ড বিলি ও শৌচাগার সার্ভের কাজ করতে গিয়ে আমাদের বহু কর্মী বিভিন্ন জায়গায় আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন ৷ আর আবাস যোজনার সমীক্ষার কাজ আরও স্পর্শকাতর ও খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ৷ ইতিমধ্যেই আমরা দেখতে পেয়েছি, এই চাপ সহ্য করতে না পেরে মুর্শিদাবাদের এক আশাকর্মী কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন ৷ আরও কয়েকজন কর্মী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৷’’

এআইইউটিইসি-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অশোক বলেন, ‘‘আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা কাজ করেন স্থানীয় এলাকায় ৷ এই আবাস যোজনার কাজ করলে, তাঁরা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে যাবেন ৷ ফলে আগামিদিনে সুস্থভাবে গ্রামে কাজ করা তাঁদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়বে ৷ শুধু তাই নয়, রেশন কার্ড বিলি ও শৌচাগার সমীক্ষার সময় হেনস্থাকারীদের কোন রূপ শাস্তি হয়নি ৷ এই ক্ষেত্রেও তারই পুনরাবৃত্তি ঘটবে ৷ কাজ করতে না চাওয়ায় কয়েকজন কর্মীকে শো-কজ করা হয়েছে ৷ অবিলম্বে শো-কজ তুলে নেওয়ার দাবি করছি ৷’’

মৃত আইসিডিএস কর্মীর পরিবারকে 50 লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের দাবি

কলকাতা, 13 ডিসেম্বর: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের উপভোক্তা নির্ধারণের জন্য, সমীক্ষার দায়িত্ব কোনভাবেই আইসিডিএস কর্মীদের দেওয়া চলবে না ৷ পাশাপাশি, মৃত আশাকর্মী রেবা বিশ্বাসের পরিবারকে 50 লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের দাবি জানালেন আইসিডিএস কর্মীরা (ICDS Worker Death Protest in Kolkata Demanding Rs 50 Lakhs Compensation for Family) ৷ এদিন সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করে এমনটাই দাবি জানিয়েছেন তাঁরা ৷

প্রসঙ্গত, অভিযোগ ওঠে রেবা বিশ্বাস নামে ওই আইসিডিএস কর্মীকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (Pradhan Mantri Awas Yojana) প্রকল্পের সমীক্ষায় অনিয়ম করতে লাগাতার চাপ দেওয়া হচ্ছিল । বলা হচ্ছিল যোগ্য উপভোক্তাদের পরিবর্তে যেন শাসকদলের মদতপুষ্ট প্রভাবশালীরা আবাস যোজনার টাকা পান ৷ সে রকমই রিপোর্ট তৈরি করে তাঁকে পাঠাতে বলা হয়েছিল প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে । সেই মানসিক চাপ সহ‍্য করতে না-পেরেই বেরা বিশ্বাস আত্মহননের পথ বেছে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে ৷

তারই প্রতিবাদে এদিন প্রতিবাদ মিছিল করে পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়ন ৷ সংগঠনের নেত্রী ইসমত আরা খাতুন বলেন, ‘‘বিভিন্ন জেলায় ব্লক প্রশাসন জোর করে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের আবাস যোজনার সমীক্ষার কাজ করতে বাধ্য করছে ৷ এর ফলে আমরা দেখছি যে, আমদের আশঙ্কাই সত্যি হচ্ছে ৷ বিভিন্ন জেলার ব্লকগুলিতে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা রাজনৈতিক চাপ ও বিভিন্ন ধরনের লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন ৷ কাঁচা বাড়িকে, আর পাকা বাড়িকে কাঁচা লিখতে বাধ্য করা হচ্ছে ৷ জোর করে নাম কাটতে বাধ্য করা হচ্ছে ৷ কোথাও আবার যোগ্য নয়, তাদের নামও রাখতে হচ্ছে ৷’’

এনিয়ে ওই আইসিডিএস সংগঠনের নেত্রী দাবি করেছেন, ‘‘আমরা মরে করি, আশা ও অঙ্গনওয়াড়ী কর্মীদের তাঁদের দফতরের কাজের বাইরে আবাস যোজনার কাজ করানো যাবে না ৷ কেন্দ্রীয় শিশু ও নারী কল্যাণ মন্ত্রকের সার্কুলারে পরিষ্কার বলা আছে যে, কর্মীদের উপর থাকা দায়িত্বে ক্ষতি হবে এমন কোন কাজ করানো চলবে না ৷ জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য অভিযান (National Rural Health Mission) কর্তৃক আশাকর্মীদের জন্য প্রকাশিত গাইডলাইনের সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, আশা কর্মীরা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে, সংশ্লিষ্ট গৃহ ও শৌচালয় বিষয়ে শুধুমাত্র জনসাধারণকে সচেতন করবেন ৷’’

আরও পড়ুন: আবাস যোজনায় অনিয়ম করতে চাপ দেওয়ায় আত্মঘাতী আইসিডিএস কর্মী ? তপ্ত স্বরূপনগর

বিক্ষোভকারীদের আরও বক্তব্য, ‘‘রেশন কার্ড বিলি ও শৌচাগার সার্ভের কাজ করতে গিয়ে আমাদের বহু কর্মী বিভিন্ন জায়গায় আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন ৷ আর আবাস যোজনার সমীক্ষার কাজ আরও স্পর্শকাতর ও খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ৷ ইতিমধ্যেই আমরা দেখতে পেয়েছি, এই চাপ সহ্য করতে না পেরে মুর্শিদাবাদের এক আশাকর্মী কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন ৷ আরও কয়েকজন কর্মী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৷’’

এআইইউটিইসি-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অশোক বলেন, ‘‘আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা কাজ করেন স্থানীয় এলাকায় ৷ এই আবাস যোজনার কাজ করলে, তাঁরা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে যাবেন ৷ ফলে আগামিদিনে সুস্থভাবে গ্রামে কাজ করা তাঁদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়বে ৷ শুধু তাই নয়, রেশন কার্ড বিলি ও শৌচাগার সমীক্ষার সময় হেনস্থাকারীদের কোন রূপ শাস্তি হয়নি ৷ এই ক্ষেত্রেও তারই পুনরাবৃত্তি ঘটবে ৷ কাজ করতে না চাওয়ায় কয়েকজন কর্মীকে শো-কজ করা হয়েছে ৷ অবিলম্বে শো-কজ তুলে নেওয়ার দাবি করছি ৷’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.