কলকাতা, 17 ফেব্রুয়ারি: দুর্নীতির দায়ে দোষী সাবাস্ত হলে আত্মহত্যা করার হুঁশিয়ারি দিলেন কুন্তল ঘোষ ৷ হুগলির যুব তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সভাপতিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) ৷ তাঁর কাছে 100 কোটি টাকা ও মূল্যবান গাড়ি থাকার অভিযোগ উঠেছে ৷ শুক্রবার আদালতে পেশ করা হয় কুন্তলকে ৷ সেই সময় তিনি দাবি করেন, ‘‘তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন । এগুলো যদি প্রমাণ করতে পারে, তাহলে আত্মহত্যা করব ।’’
নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথমে ইডি (ED) হেফাজতে ছিলেন কুন্তল ৷ এখন তিনি রয়েছে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ৷ তাঁকে রাখা হয়েছে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ৷ বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়ে প্রায় 2 ঘণ্টা ধরে তাঁকে জেরা করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । ইডি সূত্রের খবর, এর আগে কুন্তল ঘোষকে জেরা করে ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) নাম জানতে পারেন । কুন্তল ঘোষ সরাসরি ইডির কাছে অভিযোগ করেন যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির লভ্যাংশের টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)-সহ একাধিক প্রভাবশালীর অ্যাকাউন্টে চলে যেত ।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা দুর্নীতি মামলায় আট জন মিডিলম্যান বা এজেন্টকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে । ইডির সূত্রের খবর, উত্তর 24 পরগনা জেলা এবং দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার মোট 25 জন মিডিলম্যানের নাম পরিচয় পাওয়া গিয়েছে । এদের মধ্যে আট জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্ৰথম পর্যায় তাঁদের বয়ান নথিভুক্ত করেছেন তদন্তকারীরা । বাকিদেরও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে ইডি সূত্রের খবর ।
জানা গিয়েছে, জেরায় কুন্তল ঘোষ ইডিকে জানিয়েছেন যে একাধিক সময় এই সব এজেন্ট বা মিডিলম্যানরা কুন্তল ঘোষকে টাকা ও পরীক্ষাথীদের নাম, ঠিকানা ও রোল নম্বর পাঠাতেন । কুন্তল ঘোষ টাকা নিয়ে তাঁদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন । কিন্তু আদালতের নির্দেশে সেই প্যানেল স্থগিতাদেশ দেওয়া হয় । অভিযোগ, এরপরে প্যানেলে বেআইনি ভাবে নাম থাকা সত্ত্বেও যাঁরা চাকরি পাননি, কুন্তল ঘোষ তাঁদের থেকে আবার 2 লক্ষ করে টাকা নিয়েছিলেন ও বলেছিলেন আদালতেও সুবিধা পাইয়ে দিয়ে চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন ৷
আরও পড়ুন: কুন্তলকে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে হাজির ইডি