কলকাতা, 29 মার্চ: আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসার পাক্কা আড়াই ঘণ্টা বাদে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Dharna)। জানালেন, ধরনা আসলে দলের প্রোগ্রাম । তিনি সেখানে মুখ্যমন্ত্রী এবং দলনেত্রী উভয় ভূমিকাই পালন করছেন ।
বুধবার ধরনা মঞ্চে প্রথমবার মুখ খুলে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee at Dharna Stage) বলেন, "সংবাদমাধ্যমের অনেকেই জানতে চাইছেন আজকের প্রোগ্রাম দলের, নাকি সরকারের ? আমি তাঁদের জানাই, আজকের প্রোগ্রাম দলের প্রোগ্রাম । আর আগে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ধর্নায় বসেছি । আজ তৃণমূল নেত্রী হিসেবে আছি । আমি ডবল ডিউটি করছি ।" তবে, আজকের এই ধর্না মঞ্চে অনেক সরকারি প্রতিনিধি আছেন বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি জিএসটির খাতে প্রাপ্ত টাকা না পাওয়ার অভিযোগ বহুদিনের । বারবার কেন্দ্রের কাছে তদ্বির করলেও কোনও প্রকার লাভ হয়নি বলে অভিযোগ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের । তাই কেন্দ্রের থেকে রাজ্যের প্রাপ্ত বকেয়া পেতে ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হতে বুধবার রেড রোডে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধর্না শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
আজ বেলা 12টা নাগাদ তিনি দলীয় সহকর্মীদের নিয়ে ধরনা মঞ্চে পৌঁছন । আম্বেদকরের মূর্তিতে মাল্যদান করে ধরনা শুরু করেন তৃণমূল নেত্রী । তবে এ দিন প্রথম থেকেই তিনি নীরব ছিলেন । ধরনা মঞ্চে আসা নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে । কিন্তু, সর্বসাধারণের উদ্দেশে বা সংবাদ মাধ্যমের সামনে চুপ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তবে ঠিক দুপুর 2.28-এ মাইক হাতে তুলে নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি জানিয়ে দেন, "আজকের প্রোগ্রাম দলীয় ।"
আরও পড়ুন: আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধরনার প্রথম ঘণ্টায় নীরবতাই অস্ত্র মমতার
এ দিকে কার্যত একই ইস্যুতে মমতার ধর্না মঞ্চের অদূরে শহিদ মিনারে সভা করছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । সেখানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া, যুবক ও যুবতী শামিল হয়েছেন । আর একই এলাকায় দুই হেভিওয়েট নেতার কর্মসূচিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে গোটা এলাকায় ।
রেড রোড, মেয়ো রোড, ওয়াই চ্যানেল, শহিদ মিনার এলাকায় পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ । যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি হেভিওয়েটদের নিরাপত্তায় উপস্থিত রয়েছেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার ও কলকাতা পুলিশের একাধিক উচ্চপদস্থ কর্তা ও গোয়েন্দা বিভাগের একাধিক কর্মী ও ট্র্যাফিক পুলিশ । রাত পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলার কথা রয়েছে । ফলে, রাতেও ব্যাপক পুলিশি ব্যবস্থা থাকছে শহর জুড়ে ।