কলকাতা, ৪ অগস্ট: সৈকত মৈত্রকে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে পুনরায় যোগদানের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । আজ বিচারপতি কৌশিক চন্দ তিন সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে কাজে যোগ দেওয়ার রায় ঘোষণা করলেন ৷ গত 29 জুলাই অপসারণ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার । এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈকত মৈত্র । এই রায় দানের পাশাপাশি বিচারপতি রাজ্য সরকারের অপসারণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিটিও খারিজ করে দিয়েছেন (High Court orders Vice Chancellor of Maulana Abul Kalam Azad University of Technology to join within 3 weeks) ৷
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাঁকে কেন অপসারণ করা হল, আদালতে সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন উপাচার্য (Maulana Abul Kalam Azad University of Technology) । নির্ধারিত সময়ের আগে অপসারণ আইন-বিরুদ্ধ এবং বিজ্ঞপ্তি খারিজের দাবিতে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন । সৈকত মৈত্রের বক্তব্য, 2017-র 21 ফেব্রুয়ারি তাঁকে 4 বছরের জন্য উপাচার্য পদে নিযুক্ত করা হয় । পরে 2021-র 26 ফেব্রুয়ারি তাঁকে ফের 4 বছরের জন্য পুনর্নিয়োগ করা হয় । এদিকে কোনও কারণ না জানিয়েই 2022-এর 29 জুলাই তাঁকে অপসারণ করা হয় ।
আরও পড়ুন: মেয়াদ শেষের আগেই বরখাস্ত উপাচার্য ! সরকারি নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ আদালতের
মামলার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, "2016-র 6 এপ্রিল 'ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি অ্যাক্ট' আইন প্রণয়ন করা হয় মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ।" এই আইন অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করলে উপাচার্যকে অপসারণ করতে পারেন । বৃহস্পতিবার শুনানিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেও উল্লেখ করা হয়, লেখাপড়ার মান উন্নত করার জন্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিচালনার প্রয়োজনে রাজ্য উপাচার্যকে অপসারণ করতেই পারে ৷
অন্যদিকে, উপাচার্য সৈকত মৈত্রের তরফে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন,"রাজ্যই তাঁকে পুনর্নিয়োগ করেছিল । তাতে পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি । এরপর কারও অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে পদ থেকে সরানো যায় না ।"
এর পালটা জবাবে রাজ্য সরকারের পক্ষে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, "প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ ও অপসারণের নিজস্ব নিয়ম রয়েছে । উপাচার্য নিজেই বলেছেন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী নন, একজন অফিসার ।"
সোমবার বিচারপতি কৌশিক চন্দর এজলাসে শুনানির জন্য ওঠে এই মামলাটি ৷ মামলাকারী উপাচার্যের আবেদন শুনে সরকারি নির্দেশিকায় সাত দিনের স্থগিতাদেশ জারি করেন বিচারপতি ৷ মঙ্গলবার (2 অগস্ট, 2022) দুপুর 12টায় মামলাটির পরবর্তী শুনানি হয় ৷ তারপর আজ এই রায় দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ ৷