ETV Bharat / state

ফি কমানোর সিদ্ধান্ত নেবে স্কুলই, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের - বেসরকারি স্কুলগুলোর ফি মকুব

আজ মামলার শুনানিতে বিভিন্ন স্কুলের তরফে হাইকোর্টে জানানো হয় ফি ছাড় দেওয়ার ব্যাপারটা সার্বজনীন না করে বিষয়টি ছাত্র-ছাত্রীদের প্রয়োজনীয়তা বিচার করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক । মানে যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের সামর্থ্য নেই তাঁদের জন্যই ফি ছাড়ের ব্যবস্থা করা হোক ।

Kolkata highcourt
Kolkata highcourt
author img

By

Published : Sep 14, 2020, 9:55 PM IST

কলকাতা, 14 সেপ্টেম্বর: বেসরকারি স্কুলগুলোর ফি কমানোর বিষয়ে নতুন কোন সাধারন নির্দেশ দেওয়া যাবে না । পরিস্থিতির কথা বিচার করে স্কুলগুলোকেই ফি কমানোর বিষয়টি ঠিক করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের ।

আজ মামলার শুনানিতে বিভিন্ন স্কুলের তরফে হাইকোর্টে জানানো হয় ফি ছাড় দেওয়ার ব্যাপারটা সার্বজনীন না করে বিষয়টি ছাত্র-ছাত্রীদের প্রয়োজনীয়তা বিচার করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক । মানে যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের সামর্থ্য নেই তাঁদের জন্যই ফি ছাড়ের ব্যবস্থা করা হোক । পাশাপাশি হাইকোর্ট শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে ছাড়ের বিষয় সংক্রান্ত যে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে তাতে কয়েকটি লেভেল থেকে অভিভাবকদের নির্বাচিত করা হোক । যেমন প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত একজন অভিভাবক প্রতিনিধি । আবার পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত একজন অভিভাবক আর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি থেকে একজন অভিভাবক প্রতিনিধি ঠিক করা হোক । এবং প্রত্যেক স্কুল তাঁদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী বিচারের বিষয়টি খতিয়ে দেখুন । মানে কোন স্কুল এখনও পর্যন্ত যতটা ফি ছাড় দিয়েছে সেটা কতটা যুক্তিযুক্ত, আরও কতটা দেওয়া যেতে পারে বা যদি বেশি ছাড় দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে প্রয়োজনে সেটা পুনরায় স্কুলকে দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক । হাইকোর্ট এই আর্জিতে সম্মতি জানিয়েছে । হাইকোর্ট তাঁদের নির্দেশে জানিয়েছে পুরো বিষয়টি কোরোনা প্যান্ডেমিককে কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতি উদ্ভূত হয়েছে সেটাকে মাথায় রেখেই । এই নির্দেশ সারা বছরের জন্য নয় বা বছরের অন্য সময় প্রযোজ্য হবে এমনটা নয় ।

অন্যদিকে চার্চ অব নর্থ ইন্ডিয়ার অন্তর্ভুক্ত খ্রিস্টান মিশনারি স্কুলের তরফে ফি ছাড়ের ব্যাপারে জানানো হয় হাইকোর্টের নির্দেশ মত সমস্ত রকমের ফি ছাড়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে । একজন ছাত্র বা ছাত্রীকেও ফি না দেওয়ার জন্য স্কুলের পড়া বা পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হয়নি । তা সত্ত্বেও অনেক ছাত্রছাত্রী আদালতের নির্দেশ মত বকেয়া জমা দেয়নি । চার্চ অব নর্থ ইন্ডিয়া অন্তর্ভুক্ত স্কুলের জন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের ঠিক করা ফি আদালতে গ্রাহ্য হবে বলে জানানো হয়েছে আজ । এই স্কুলগুলোর জন্য কোন বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রয়োজন নেই । চার্চ অফ নর্থ ইন্ডিয়ার তরফে আজ অনুরোধ জানানো হয় মামলাটি শুনানি স্থগিত রাখার জন্য । সেই কারণে তাদের বিষয়টি 16 সেপ্টেম্বর ফের শুনানি করা হবে ।

মামলাকারী বিনীত রুইয়া প্রায় 15 হাজার অভিভাবকের প্রতিনিধি হিসেবে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে ছিলেন 7 জুলাই । তাঁদের মূল দাবি ছিল গত চার-পাঁচ মাস স্কুল বন্ধ থাকলেও রেগুলার ফি দাবি করা হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে । তাঁদের বক্তব্য, কিছু ফি মকুব করুক স্কুলগুলি । এরপর একাধিকবার মামলার শুনানির পর শেষ পর্যন্ত গত 18 অগাস্ট কলকাতা হাইকোর্ট ফি-র ব্যাপারটি খতিয়ে দেখতে দুই সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল ।

কলকাতা, 14 সেপ্টেম্বর: বেসরকারি স্কুলগুলোর ফি কমানোর বিষয়ে নতুন কোন সাধারন নির্দেশ দেওয়া যাবে না । পরিস্থিতির কথা বিচার করে স্কুলগুলোকেই ফি কমানোর বিষয়টি ঠিক করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের ।

আজ মামলার শুনানিতে বিভিন্ন স্কুলের তরফে হাইকোর্টে জানানো হয় ফি ছাড় দেওয়ার ব্যাপারটা সার্বজনীন না করে বিষয়টি ছাত্র-ছাত্রীদের প্রয়োজনীয়তা বিচার করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক । মানে যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের সামর্থ্য নেই তাঁদের জন্যই ফি ছাড়ের ব্যবস্থা করা হোক । পাশাপাশি হাইকোর্ট শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে ছাড়ের বিষয় সংক্রান্ত যে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে তাতে কয়েকটি লেভেল থেকে অভিভাবকদের নির্বাচিত করা হোক । যেমন প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত একজন অভিভাবক প্রতিনিধি । আবার পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত একজন অভিভাবক আর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি থেকে একজন অভিভাবক প্রতিনিধি ঠিক করা হোক । এবং প্রত্যেক স্কুল তাঁদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী বিচারের বিষয়টি খতিয়ে দেখুন । মানে কোন স্কুল এখনও পর্যন্ত যতটা ফি ছাড় দিয়েছে সেটা কতটা যুক্তিযুক্ত, আরও কতটা দেওয়া যেতে পারে বা যদি বেশি ছাড় দেওয়া হয়ে থাকে তাহলে প্রয়োজনে সেটা পুনরায় স্কুলকে দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক । হাইকোর্ট এই আর্জিতে সম্মতি জানিয়েছে । হাইকোর্ট তাঁদের নির্দেশে জানিয়েছে পুরো বিষয়টি কোরোনা প্যান্ডেমিককে কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতি উদ্ভূত হয়েছে সেটাকে মাথায় রেখেই । এই নির্দেশ সারা বছরের জন্য নয় বা বছরের অন্য সময় প্রযোজ্য হবে এমনটা নয় ।

অন্যদিকে চার্চ অব নর্থ ইন্ডিয়ার অন্তর্ভুক্ত খ্রিস্টান মিশনারি স্কুলের তরফে ফি ছাড়ের ব্যাপারে জানানো হয় হাইকোর্টের নির্দেশ মত সমস্ত রকমের ফি ছাড়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে । একজন ছাত্র বা ছাত্রীকেও ফি না দেওয়ার জন্য স্কুলের পড়া বা পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হয়নি । তা সত্ত্বেও অনেক ছাত্রছাত্রী আদালতের নির্দেশ মত বকেয়া জমা দেয়নি । চার্চ অব নর্থ ইন্ডিয়া অন্তর্ভুক্ত স্কুলের জন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের ঠিক করা ফি আদালতে গ্রাহ্য হবে বলে জানানো হয়েছে আজ । এই স্কুলগুলোর জন্য কোন বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রয়োজন নেই । চার্চ অফ নর্থ ইন্ডিয়ার তরফে আজ অনুরোধ জানানো হয় মামলাটি শুনানি স্থগিত রাখার জন্য । সেই কারণে তাদের বিষয়টি 16 সেপ্টেম্বর ফের শুনানি করা হবে ।

মামলাকারী বিনীত রুইয়া প্রায় 15 হাজার অভিভাবকের প্রতিনিধি হিসেবে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে ছিলেন 7 জুলাই । তাঁদের মূল দাবি ছিল গত চার-পাঁচ মাস স্কুল বন্ধ থাকলেও রেগুলার ফি দাবি করা হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে । তাঁদের বক্তব্য, কিছু ফি মকুব করুক স্কুলগুলি । এরপর একাধিকবার মামলার শুনানির পর শেষ পর্যন্ত গত 18 অগাস্ট কলকাতা হাইকোর্ট ফি-র ব্যাপারটি খতিয়ে দেখতে দুই সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.