কলকাতা, ২৫ ফেব্রুয়ারি : গ্রাহককে হয়রানির অভিযোগে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের সাব পোস্টমাস্টারের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলা পোস্ট অফিসের সিনিয়র সুপারিনটেন্ডেন্টকে আগামী ৯ মার্চ কলকাতা হাইকোর্টে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক।
বর্ধমান ভাতারের বাসিন্দা অমিতাভ হাজরার বাবা মা পোস্ট অফিসে প্রায় সাড়ে দশ লাখ টাকা জমিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে তাঁরা মারা যান। এরপর অমিতাভবাবু নিজের প্রয়োজনে সেই টাকা দীর্ঘদিন ধরে পোস্ট অফিস থেকে তোলার চেষ্টা করছিলেন। অভিযোগ, পোস্ট মাস্টার সেই টাকা অমিতাভবাবুকে না দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করছিলেন। এরপর তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
এবিষয়ে অমিতাভ হাজরা বলেন, "বাবা-মা পোস্ট অফিসে প্রায় সাড়ে দশ লাখ টাকা জমিয়েছিলেন। তাঁরা ২০১৬ সালে মারা যান। নিজের প্রয়োজনে সেই জমানো টাকা তুলে নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আমি বর্ধমান ভাতারের পোস্ট অফিসে আর্জি জানাই। কিন্ত পোস্টমাস্টার বলেন, এই টাকার নমিনি কে ? সেটা না জানা থাকলে টাকা তোলা যাবে না।" অবশেষে মাস দুয়েক আগে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন।
আজ মামলাটি বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বেঞ্চে উঠলে মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী সাবির আহমেদ বলেন,"অমিতাভবাবুর মেয়ের পড়াশোনার বিপুল খরচ ও সাংসারিক কারণে তিনি ওই টাকা তুলে নিতে চাইছেন। কিন্ত পোস্টমাস্টার দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে হয়রানি করছে। টাকা দেওয়া হচ্ছে না।" এরপর বিচারপতি দেবাংশু বসাক পোস্টমাস্টারের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, "কালকেই টাকা ফেরত দেবেন কি না? নাহলে তাঁর বেতন আটকে দেওয়া হবে।" তখন পোস্টমাস্টারের আইনজীবী বলেন, " আরও একটু সময় দেওয়া হোক। কিছু কাজ বাকি আছে। সেগুলো করেই টাকা দেওয়া হবে।" কিন্ত বিচারপতি দেবাংশু বসাক বেশ রাগান্বিত হয়েই আবার জানতে চান, টাকা আগামীকাল দিতে পারবেন কি না বলুন। শেষে আইনজীবীর থেকে কোনও উত্তর না পেয়ে তিনি নির্দেশ দেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বর্ধমান ভাতার থানার সাব পোস্টমাস্টারের বেতন বন্ধ থাকবে।