ETV Bharat / state

ছন্দে ফেরেনি ডেকার্স লেন, ঝাঁপ বন্ধ খাবার দোকানের

আনলকডাইনে সমস্ত হোটেল , রেস্তরাঁ খুলে দেওয়া হয়েছে । সেই মতো ডেকার্স লেনেও সমস্ত দোকান খুলে দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু কোনও খদ্দের না থাকায় সোমবার দোকানগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয় ।

Dacres Lane
ডেকার্স লেন
author img

By

Published : Jun 12, 2020, 7:26 AM IST

Updated : Jun 13, 2020, 7:54 AM IST

কলকাতা , 12 জুন : আনলকডাউনে সরকারি এবং বেসরকারি অফিস খুললেও , স্বাভাবিক হয়নি ডেকার্স লেন । অন্যান্য সময় অফিস টাইমে এখানকার খাবারের দোকানগুলিতে ভিড় উপচে পড়ে । সকাল ছয়টায় উনুনে আঁচ দেওয়া হয় । উনুন নিভতে নিভতে রাত ন'টা । কিন্তু গতকাল ডেকার্স লেনের অন্য়রকম ছবি চোখে পড়ল । সব দোকানের ঝাঁপ বন্ধ । জনশূন্য । ডেকার্স লেনের আগের ছবির পর , বর্তমানে এই দৃশ্য যেন অচেনা ।

ডেকার্স লেনে অন্তত ছোটো-বড় মিলিয়ে 100 টি-র উপর খাবারের দোকান রয়েছে । কারও ফুটপাতে দোকান রয়েছে । কারও আবার পাকা দোকান রয়েছে । কিন্তু এখন প্রত্যেকটি দোকানের ঝাঁপ বন্ধ । লক্ষ্মী লাভের আশায় যাঁরা দোকান খুলেছিলেন , খদ্দের না আসায় ফের তাঁরা দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন । শুধুমাত্র একটি খাবারের দোকান খোলা রয়েছে । কিন্তু সেখানেও কোনও খদ্দের নেই বললেই চলে ।

ডেকার্স লেনের প্রসিদ্ধ দোকান চিত্তবাবুর । প্রায় 60 বছরের পুরোনো দোকান । সেখানকার ঘুগনি ও ফিসফ্রাই জনপ্রিয় । সেই দোকান প্রায় 80 দিন দোকান বন্ধ । বর্তমানে চিত্তবাবুর দোকানের দায়িত্ব সামলান তাঁর বড় ছেলে সমীর রায় । তিনি বলেন ," আমার জন্মের পর এমন দৃশ্য দেখিনি । 37 বছর আমি এই দোকানের দায়িত্ব সামলাচ্ছি । সবসময় রমরম করত ডেকার্স লেন । অফিস পাড়ায় এখন ভীতি তৈরি হয়েছে । প্রতিদিন 50 থেকে 100 টা ফিশ ফ্রাই বিক্রি হত‌ । আর এখন তো দোকান-ই খুলতে পারছি না । "

দোকান খোলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন , "গত সাতদিন ধরে আমি রোজ এই ডেকার্স লেনের গলিতে আসছি । কিন্তু কোনও খদ্দেরকে আসতে দেখছি না । প্রত্যেকের মধ্যেই আতঙ্ক রয়েছে । তাই দোকান খোলার ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করছি । কারণ এরপর দোকান খুললেও অফিস পাড়ার মানুষ কি আর সেগুলি খাবে ? এবিষয়ে খুব সন্দেহ রয়েছে ।" টানা 80 দিন দোকান বন্ধ । সেক্ষেত্রে সংসার চালানো সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে । তার উপর কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হচ্ছে । এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন ," আমার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে । জমানো টাকা ভেঙে খাচ্ছি ‌। এখন আমার 54 বছর বয়স । জীবনে কোনওদিন এইভাবে হিসাব করে সাশ্রয় করে সংসার চালাতে হয়নি । আমি এবং আমার বাড়ির ছেলে-মেয়েরা এমন জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত নই । যদিও কর্মচারীদের বেতন দিয়েছি । কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গিয়েছে ।"

পরিস্থিতি কী আদেও ঠিক হবে ? অন্যদিকে , সমীরবাবুর বক্তব্য , কবে স্বাভাবিক হবে জানি না । তিন-তার মাস তো লাগবেই । পুজোর আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে মনে হচ্ছে না ।"

অন্যদিকে , ডেকার্স লেনে একটিমাত্রই দোকান খোলা রয়েছে । মেট্রো কেবিন । সেখানে একজন , দুইজন খদ্দেরকে দেখা গেলেও তা অন্যান্য সময়ের তুলনায় একেবারেই কম । মেট্রো কেবিনের মালিক মহম্মদ হাসমদ বললেন , "ডেকার্স লেন পুরো ফাঁকা । লোক কম । খুব কম লোক আসছে । খুব কম বিক্রি হচ্ছে । আগে যা বিক্রি হত তার 50 শতাংশ বিক্রি হচ্ছে না । সংসার চালাতে খুব অসুবিধা হচ্ছে । এইভাবে চললে ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাবে । "

কলকাতা , 12 জুন : আনলকডাউনে সরকারি এবং বেসরকারি অফিস খুললেও , স্বাভাবিক হয়নি ডেকার্স লেন । অন্যান্য সময় অফিস টাইমে এখানকার খাবারের দোকানগুলিতে ভিড় উপচে পড়ে । সকাল ছয়টায় উনুনে আঁচ দেওয়া হয় । উনুন নিভতে নিভতে রাত ন'টা । কিন্তু গতকাল ডেকার্স লেনের অন্য়রকম ছবি চোখে পড়ল । সব দোকানের ঝাঁপ বন্ধ । জনশূন্য । ডেকার্স লেনের আগের ছবির পর , বর্তমানে এই দৃশ্য যেন অচেনা ।

ডেকার্স লেনে অন্তত ছোটো-বড় মিলিয়ে 100 টি-র উপর খাবারের দোকান রয়েছে । কারও ফুটপাতে দোকান রয়েছে । কারও আবার পাকা দোকান রয়েছে । কিন্তু এখন প্রত্যেকটি দোকানের ঝাঁপ বন্ধ । লক্ষ্মী লাভের আশায় যাঁরা দোকান খুলেছিলেন , খদ্দের না আসায় ফের তাঁরা দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন । শুধুমাত্র একটি খাবারের দোকান খোলা রয়েছে । কিন্তু সেখানেও কোনও খদ্দের নেই বললেই চলে ।

ডেকার্স লেনের প্রসিদ্ধ দোকান চিত্তবাবুর । প্রায় 60 বছরের পুরোনো দোকান । সেখানকার ঘুগনি ও ফিসফ্রাই জনপ্রিয় । সেই দোকান প্রায় 80 দিন দোকান বন্ধ । বর্তমানে চিত্তবাবুর দোকানের দায়িত্ব সামলান তাঁর বড় ছেলে সমীর রায় । তিনি বলেন ," আমার জন্মের পর এমন দৃশ্য দেখিনি । 37 বছর আমি এই দোকানের দায়িত্ব সামলাচ্ছি । সবসময় রমরম করত ডেকার্স লেন । অফিস পাড়ায় এখন ভীতি তৈরি হয়েছে । প্রতিদিন 50 থেকে 100 টা ফিশ ফ্রাই বিক্রি হত‌ । আর এখন তো দোকান-ই খুলতে পারছি না । "

দোকান খোলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন , "গত সাতদিন ধরে আমি রোজ এই ডেকার্স লেনের গলিতে আসছি । কিন্তু কোনও খদ্দেরকে আসতে দেখছি না । প্রত্যেকের মধ্যেই আতঙ্ক রয়েছে । তাই দোকান খোলার ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করছি । কারণ এরপর দোকান খুললেও অফিস পাড়ার মানুষ কি আর সেগুলি খাবে ? এবিষয়ে খুব সন্দেহ রয়েছে ।" টানা 80 দিন দোকান বন্ধ । সেক্ষেত্রে সংসার চালানো সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে । তার উপর কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হচ্ছে । এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন ," আমার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে । জমানো টাকা ভেঙে খাচ্ছি ‌। এখন আমার 54 বছর বয়স । জীবনে কোনওদিন এইভাবে হিসাব করে সাশ্রয় করে সংসার চালাতে হয়নি । আমি এবং আমার বাড়ির ছেলে-মেয়েরা এমন জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত নই । যদিও কর্মচারীদের বেতন দিয়েছি । কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গিয়েছে ।"

পরিস্থিতি কী আদেও ঠিক হবে ? অন্যদিকে , সমীরবাবুর বক্তব্য , কবে স্বাভাবিক হবে জানি না । তিন-তার মাস তো লাগবেই । পুজোর আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে মনে হচ্ছে না ।"

অন্যদিকে , ডেকার্স লেনে একটিমাত্রই দোকান খোলা রয়েছে । মেট্রো কেবিন । সেখানে একজন , দুইজন খদ্দেরকে দেখা গেলেও তা অন্যান্য সময়ের তুলনায় একেবারেই কম । মেট্রো কেবিনের মালিক মহম্মদ হাসমদ বললেন , "ডেকার্স লেন পুরো ফাঁকা । লোক কম । খুব কম লোক আসছে । খুব কম বিক্রি হচ্ছে । আগে যা বিক্রি হত তার 50 শতাংশ বিক্রি হচ্ছে না । সংসার চালাতে খুব অসুবিধা হচ্ছে । এইভাবে চললে ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাবে । "

Last Updated : Jun 13, 2020, 7:54 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.