কলকাতা, 4 জুলাই: ভোররাতে মেটিয়াবুরুজে কাপড়ের দোকানে আগুন ৷ দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। মঙ্গলবার ভোরে বটতলা ডায়মন্ড এসি মার্কেটে আগুন লাগে ৷ এখানে প্রায় 600টি দোকান আছে ৷ সব দোকানেই কাঁচা কাপড় মজুত ছিল বলে জানা গিয়েছে ৷ অতএব পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারত। দমকলের তৎপরতায় সেটা হয়নি।
এদিন ভোরে আগুন দেখতে পেয়ে দমকলে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দা খালিল উর রহমান ৷ প্রথমে দু'টি দোকানে আগুন লাগে ৷ পরে আশেপাশে আরও 3-4 টে দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৷ দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, দমকল ও কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা গ্যাসকাটার দিয়ে শাটার কেটে জল দেওয়ার জন্য প্যাসেজ তৈরি করেন ৷ এক ঘণ্টার মধ্যে ফায়ার অ্যারেস্ট করা হয় । আগুন যাতে অন্য কোথাও ছড়িয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে দমকলের তরফে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাঁকেই পোশাকি ভাষায় 'ফায়ার অ্যারেস্ট' করা বলে ৷ তবে দোকানের ভিতরে কিছু কিছু জায়গায় দীর্ঘ সময় ধরে আগুন জ্বলেছে ৷ সেগুলি নিয়ন্ত্রণের জন্য শাটার কেটে জল দেওয়ার ব্যবস্থা করছে দমকল ৷ সবমিলিয়ে দেড় ঘণ্টায় ওই কাপড়ের মার্কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানান দমকলের আধিকারিকরা ৷
মেটিয়াবুরুজে ঘিঞ্জি জায়গায় এই আগুন লাগে ৷ তাই দমকলের ইঞ্জিন প্রবেশ করতে খুবই অসুবিধে হয় ৷ স্বভাবতই, এলাকায় মানুষজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ৷ এই কাপড়ের দোকানের আশপাশে আরও কিছু বড় বড় কাপড়ের দোকান আছে ৷ মার্কেট আছে ৷ এই মার্কেটে দোকানের লোকজন খবর পেয়ে ছুটে আসে দোকানের সামনে ৷ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি ৷ কলকাতা পুলিশ ও দমকল বিভাগ তদন্ত নেমেছে ৷ এই দোকানগুলিতে এত বিপুল পরিমাণে কাপড় মজুত ছিল, যে আগুন নেভাতে গিয়ে দমকল কর্মীদের বেগ পেতে হয় ৷
আরও পড়ুন: গভীর রাতে খড়গপুর আইআইটি-তে বিধ্বংসী আগুন, পুড়ে গেল লাল বাহাদুর শাস্ত্রী কমনরুমের জিনিসপত্র
এর আগে শনিবার, 1 জুলাই গভীর রাতে খড়গপুরে আইআইটি ক্য়াম্পাসে আগুন লাগে ৷ আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে লালবাহাদুর শাস্ত্রী কমনরুমের সব জিনিস পুড়ে গিয়েছে ৷ দমকলের দু'টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ৷ আগুন লাগার কারণ স্পষ্ট জানা যায়নি ৷ তবে প্রাথমিক অনুমান, শট সার্কিটের জন্যই আগুন লেগেছে ৷