কলকাতা, 23 সেপ্টেম্বর: আইন না-মেনে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের অভিযোগ রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে। রাজ্যের শাসকদলপন্থী শিক্ষকদের অভিযোগ, যোগ্যদের বদলে অযোগ্যদের উপাচার্যের আসনে বসাচ্ছেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে শাসকপন্থী শিক্ষকরা গান্ধি মূর্তির সামনেই প্রতিবাদ সভা করেন। সেই প্রতিবাদ সভায় হাজির হন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু ওই মঞ্চের অদূরেই চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান মঞ্চে গেলেন না শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষক সভায় হাজির হলেও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কাছে অবস্থানরত হবু শিক্ষকরা এদিন থাকলেন ব্রাত্যই।
923 দিন ধরে নিজেদের চাকরির দাবি নিয়ে রাস্তায় ধরনা-অবস্থানে রয়েছেন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা। আইনের বেড়াজালে আটকে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া। কবে স্কুলে গিয়ে পড়াবেন তাঁরা, এই প্রশ্নই তাঁদের এখন গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেই ধরনা মঞ্চের ঢিল ছোড়া দুরত্বে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শনিবার একটি প্রতিবাদ সভার ডাক দেন শাসকপন্থী শিক্ষক সংগঠনগুলি। এই কর্মসূচিতেই এদিন যোগ দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তবে সেখানে যোগ দিলেও চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে একবারও দেখা করলেন না তিনি। তবে শিক্ষামন্ত্রী একবার তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন এই আশা নিয়েই শনিবার নিজেদের ধরনা মঞ্চেই অধীর অপেক্ষায় ছিলেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা।
নবম-দ্বাদশ শ্রেণীর চাকরিপ্রার্থী অভিষেক সেন বলেন, "তাবড় তাবড় অধ্যাপকদের অভিযোগ আচার্য অযোগ্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মাথায় বসাচ্ছেন। একইরকম ভাবে অযোগ্যদের স্কুলে পাঠানো হচ্ছে আর যোগ্যরা ফুটপাথে বসে আছে। তাদের জন্য কথা খরচ করছেন না কেন ? দ্বিচারিতা করছেন কেন ? আমরা দেখতে পাচ্ছি শিক্ষামন্ত্রীকে কিন্তু উনি কি একবারও আসতে পারতেন না আমাদের মঞ্চে ?" আরও এক চাকরিপ্রার্থী করবী নস্কর বলেন, "আমাদের আশা শিক্ষামন্ত্রী জানেন নিয়োগ কোথায় আটকে আছে। উনি এসে একবার বলুন দ্রুত নিয়োগ শুরু করার কথা। উনি পারেন আমাদের চাকরি দিতে।"
তবে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে আসলেও কেন দেখা করলেন না তিনি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে ? এই প্রশ্ন করতেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "যখন নিয়োগ শুরু হবে আমি কথা দিচ্ছি আমি প্রথম যাব ওনাদের সঙ্গে দেখা করতে।"