কলকাতা, 26 এপ্রিল: দিল্লিতে একাধিক ফ্ল্যাট কিনেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত অয়ন শীল । পাশাপাশি একাধিক অভিজাত গাড়িও ছিল তাঁর । আর এই সবই তিনি করেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় । মঙ্গলবার ইডির বিশেষ আদালতে এমনটাই দাবি করল ইডি । আগেই অয়নের নামে-বেনামে একাধিক অভিজাত গাড়ি ও হুগলি জেলায় একাধিক ফ্ল্যাটের সন্ধান পেয়েছিলেন ইডির তদন্তকারীরা । এবার সেই অয়নের আরও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। ইডির দাবি, পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লি মিলিয়ে অয়নের মোট 20টি ফ্ল্যাটের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এর কয়েকটি তাঁর নিজের নামে আছে। কয়েকটির মালিক খাতায় কলমে অন্য কেউ ।
অয়নের সল্টলেকের বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালিয়ে একাধিক তথ্য পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা । সেই তথ্যের উপর নির্ভর করে ও পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ ঘেঁটে ইডির তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে, অয়নের কেবল বাংলা নয়, রাজধানী দিল্লিতেও একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে । এছাড়াও রয়েছে একাধিক দামি গাড়ি । জানা গিয়েছে, সেই গাড়িগুলির মধ্যে কয়েকটি তাঁর নিকট আত্মীয়ের নামে কিনেছিলেন অয়ন ।
মঙ্গলবার বিশেষ আদালতে এমনই তথ্য পেশ করেছে ইডি । যার জেরে 8 মে পর্যন্ত অয়নকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ পেয়েছেন ইডির তদন্তকারীরা । তদন্তাকীর সংস্থার দাবি, ধৃত অয়ন শুধু শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় যুক্ত তা নন, বরং রাজ্যের একাধিক পৌরসভায় দেদার চাকরি বিক্রি করে গিয়েছেন এই 'গুণধর'। ইডির তদন্তকারীরা আরও জানতে পেরেছেন, টিটাগড় ও কাঁচড়াপাড়া-সহ রাজ্যের একাধিক পৌরসভায় চাকরি বিক্রি করে বাজার থেকে প্রায় 200 কোটি টাকা তুলেছেন অয়ন ৷ তাঁর বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীর সঙ্গে এবিএস ইনফোজোন (ABS Infozone) নামক একটি কোম্পানির হদিশ আগেই মিলেছিল বলে ইডি সূত্রে খবর । সবমিলিয়ে অয়নের পাহাড়-প্রমাণ সম্পত্তির হদিশ উঠে এসেছে ইডি-র হাতে । এবার এইসব সম্পত্তির সঙ্গে আর কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম জড়িয়ে রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন ইডির তদন্তকারীরা ৷
আরও পড়ুন : পৌরসভার চাকরি বিক্রি করে 200 কোটি টাকা তুলেছেন অয়ন, দাবি ইডি'র