নয়াদিল্লি, 27 জানুয়ারি: ভোটের আগে রাজধানীর রাজনীতি ! সাধারণতন্ত্র দিবসেও প্রচার বিমুখ হননি নেতারা ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রবিবার আম আদমি পার্টি (আপ)-কে 'অবৈধ আমদানিওয়ালি পার্টি' হিসেবে বর্ণনা করেছেন ৷ তাঁর অভিযোগ, দিল্লিতে 10 বছরের শাসনকালে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ভোট পাওয়ার জন্য মিথ্যা প্রচার এবং দুর্নীতিতে লিপ্ত হওয়া ছাড়া আর কিছুই করেননি।
নরেলা বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাহ জনগণকে আম আদমি পার্টিকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে তাদের 'দুঃশাসন' শেষ করার আহ্বান জানান ৷ তিনি বলেন, "বিজেপি তার সমস্ত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে ৷ দিল্লিকে বিশ্বের এক নম্বর রাজধানী করবে। আগামী মাসের নির্বাচনে যদি বিজেপি জয়ী হয়, তাহলে দিল্লিকে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী এবং রোহিঙ্গাদের হাত থেকে মুক্ত করবে।"
শনিবার এক জনসভায় শাহ অভিযোগ করেছিলেন, আপ সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন জেলা প্রশাসনের সহায়তায় অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে। আর রবিবার তিনি বলেন, "কেজরিওয়াল কেবল ভোট পাওয়ার জন্য মিথ্যা কথা বলেছেন ৷ আপ মানে 'অবৈধ আমদানিওয়ালি পার্টি' ৷"
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে আপ সরকার কেবল জনগণকে মিথ্যা বলেছে এবং দুর্নীতি করে গিয়েছে। তাঁর কথায়, "পুরো দিল্লি আজ নোংরা জল সরবরাহ এবং জল জমার সঙ্গে লড়াই করছে। স্কুলগুলি শেষ হয়ে গিয়েছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই ৷" গত 10 বছরে কেজরিওয়ালের আপের অধীনে দিল্লির শাসনব্যবস্থা খারাপ হলেও, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপির ডবল-ইঞ্জিন সরকারের কারণে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি এগিয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি ৷ শাহ আরও জানান, দেশ মোদিকে 'আশীর্বাদ' করেছে এবং আস্থা রেখে টানা তৃতীয়বার তাঁকে দেশের প্রধানমন্ত্রী করেছে। কারণ হিসাবে শাহের ব্যাখ্যা, "মোদি যা বলেন তাই করেন।"
অমিত শাহ আরও বলেন, "আমি আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আপনারা বিজেপিকে জয়ী করবেন, এবং দুই বছরের মধ্যে আমরা দিল্লিকে অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের হাত থেকে মুক্ত করব ৷ দিল্লিতে আপের শাসনকালে কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে লিপ্ত হয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া স্কুল, মন্দির এবং গুরুদ্বারগুলির কাছে মদের দোকান খুলে তরুণ প্রজন্মকে নষ্ট করার পাশাপাশি কোটি কোটি টাকার দুর্নীতিতে লিপ্ত হয়েছেন। 'বড়ে মিয়া' (কেজরিওয়াল) এবং 'ছোটে মিয়া' (সিসোদিয়া) দু'জনকেই জেলে পাঠানো হয়েছে ৷"
তিনি আরও দাবি করেন, আপ নেতারা কেবল মদ কেলেঙ্কারিতেই লিপ্ত হননি, বরং দিল্লি জল বোর্ড, রেশন বিতরণ, ডিটিসি বাস ক্রয় এবং স্কুলে শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের সঙ্গেও জড়িত কোটি কোটি টাকার কেলেঙ্কারিও করেছেন। 70 সদস্যের দিল্লি বিধানসভায় ভোট 5 ফেব্রুয়ারি এবং ফলাফল 8 ফেব্রুয়ারি।