কলকাতা, 1 অক্টোবর : নারদ কাণ্ডে এবার রত্না চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করল ED (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) । সূত্রের খবর, স্বামী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন ও একটি সংস্থার আর্থিক লেনদেন নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করেন তদন্তকারীরা । তবে, বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর পায়নি ED । ফলে খটকা রয়েই গেছে ।
ED সূত্রে খবর, রবিবারই রত্নাকে শমন পাঠিয়েছিল ED। সেইমতো গতকাল তদন্তকারী সংস্থাটির দপ্তরে পৌঁছান তিনি । সূত্রের খবর, আগেই রত্না চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছিল তদন্তকারীদের হাতে । নারদের টাকা শোভনবাবুর কাছ থেকে কীভাবে হস্তান্তর হয়েছে এবং টাকা কি শোভনবাবু নিজের কাছে রাখেন, না রত্নাদেবীকে দেন? এই প্রসঙ্গে উঠে আসে শোভন এবং রত্নাদেবীর একটি কম্পানির কথা । সেই কম্পানির যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখেছে তদন্তকারীরা । বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার জেরা করা হয়েছে শোভনবাবুকেও । যদিও তিনি সম্প্রতি পুরো বিষয়টি রত্না দেখেন বলে এড়িয়ে গেছেন । আর এখানেই তৈরি হয়েছে জটিলতা ।
তদন্তকারীদের প্রশ্ন ছিল, ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে নেওয়া টাকা শোভনবাবু কোথায় রেখেছিলেন ? অন্য কারও কাছে যায়নি তো ওই টাকা? গতকাল জিজ্ঞাসাবাদের পরও বেশকিছু প্রশ্নের উত্তর মেলেনি বলে সূত্রের খবর । ফলে শোভন-রত্নাকে আবার ডাকার সম্ভাবনা প্রবল ।
নারদকাণ্ডে CBI-এর পাশাপাশি তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও । এই মামলায় ইতিমধ্যে প্রথম গ্রেপ্তারির ঘটনা ঘটেছে । CBI প্রাক্তন পুলিশ কর্তা এস এম এইচ মির্জ়াকে গ্রেপ্তার করেছে । তাঁকে নিয়ে ইতিমধ্যেই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মুকুল রায়ের ফ্ল্যাটে গেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । এবার ED রত্নাদেবীকে ডাকায় পুরো বিষয়টি নিয়ে জল্পনা আরও জোরালো হয়েছে ।