কলকাতা, 5 নভেম্বর: ভাইফোঁটায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মিষ্টি আদানপ্রদান হলেও পৃথক রাজ্যের দাবিতে অনড়ই রয়েছেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা অনন্ত রায় ওরফে অনন্ত মহারাজ ৷ শনিবারও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ অধিকারীর সঙ্গে দেখা করার পর, উত্তরবঙ্গ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হবে দাবি করেছেন তিনি ৷ এই বিষয়ে এবার মুখ খুললেন বিজেপি'র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh speaks on bengal partition issue) ৷
শনিবার দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো ওনার মা ছিলেন । এখন কি সৎ মা হয়ে গেলেন?" তাঁর কথায়, "অনন্ত মহারাজের আলাদা সংগঠন, তাঁর নিজের দাবি থাকতেই পারে । যেটা সংবিধানের মধ্যে সেটাই হবে । এই বিষয়ে বিজেপি আগে যা বলেছে তাই এখনও বলছে । অনন্ত মহারাজরা তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মা বলতেন । এখন কি তিনি সৎ মা হয়ে গিয়েছেন । বিজেপি উন্নয়নের লক্ষ্যে চলে । মমতা বন্দোাধ্যায়ের মতো বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে আলাদা আলাদা কথা বলে না । আমাদের বক্তব্য এক । আমরা কারও মাধ্যমে বাংলা ভাগ করাতে চাই না । বিজেপির নীতি এবং কার্যপদ্ধতি গত 10 বছরে একই আছে এবং তা একেবারে স্বচ্ছ ।"
আরও পড়ুন: কেষ্টকে বীরভূমের বাঘ বললেন ফিরহাদ, নাম করে পার্থর জন্য তৃণমূল লজ্জিত বলেও মানলেন
সম্প্রতি হলদিয়ায় তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে বিশেষ দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে । নন্দীগ্রামে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে তাঁকে দেখে ওখানকার কিছু মানুষ 'চোর' স্লোগান দেয় বলে অভিযোগ । এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "আসলে চোর চোর বলাটা এখন একটা ফ্যাশন হয়ে গিয়েছে, কারণ এখন তো আর বোঝা যায় না কে চোর কে চোর নয় । ওনারা যেমন জয় বাংলা, জয় বাংলা বলেন এবার ওনাদের দেখে লোকেরা চোর চোর চোর চোর বলে ।"
মহার্ঘভাতা ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার ৷ এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "সুপ্রিম কোর্ট তো টাকা দেবে না । অন্য রাজ্যের সঙ্গে এরাজ্যের ডিএ-র যা তফাত, রাজ্য তো কোর্টে গিয়ে বাঁচতে পারবে না । মানুষ আতঙ্কিত হয়ে আরও আন্দোলনের পথে যাচ্ছে ।" এদিন অনুব্রত মণ্ডলকেও কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ৷ বলেছেন,"দেখা যাক । এতদিন বাঘের খাঁচায় থাকতো, এখন লোহার খাঁচায় থাকছে । 9 কেজি ওজন কমেছে । গরু তারপর কয়লা আর এখন লটারি । মানুষজনকে ভয় দেখানো হচ্ছে । তাই তাঁরা কিছু বলতে পারছিল না । তাই তারা প্রতারিত হয়েও চুপ করেছিলেন । কিন্তু ধর্মের কল বাতাসে নড়ে । তাই আজকে সমস্ত কেলেঙ্কারি একটার পর একটা বেরোচ্ছে, একটা কেলেঙ্কারির সঙ্গে আরেকটা যুক্ত আছে । আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব কাছের লোক যেমন অনুব্রত মণ্ডলরা হচ্ছেন ওই দুর্নীতির কিং পিন । কালো টাকাকে সাদা করার লটারি একটা মাধ্যম, তাই দেখুন তৃণমূলের সমস্ত নেতারা লটারি পুরস্কার পেয়ে যাচ্ছে । অন্যান্য রাজ্যে লটারি বন্ধ ৷ এই রাজ্য বামফ্রন্ট সরকারের আমলে লটারি বন্ধ ছিল ৷ আবার সেটা কেন চালু করা হয়েছে ।"
আরও পড়ুন: রাসমেলার আমন্ত্রণপত্রে অনন্ত মহারাজের নাম কেন, উঠছে প্রশ্ন
100 দিনের কাজ প্রকল্পে রাজ্যের প্রাপ্য বরাদ্দ প্রসঙ্গে বিজেপি দিলীপ ঘোষ (BJP MP Dilip Ghosh) বলেন,"100 দিনের কাজে জবকার্ড দুর্নীতি ৷ এইসবের জবাব পঞ্চায়েত দেবে । আমরা বলেছি টাকা দেবেন না । বাঁধের 15 লক্ষ টাকাতে একটুও মাটি পড়েনি ।"