কলকাতা, 4 জুলাই: এবার দলের অভ্যন্তরে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার কথা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে। প্রবীণ সিপিএম নেতা বলেছেন, শূন্য থেকে শুরু করার সময় এসেছে । প্রয়োজনে দলের সাংগাঠনিক পরিবর্তন জরুরি । তরুণ প্রজন্মকে তুলে নিয়ে আসার কথা প্রবীণ মানুষটির মুখে । একটি-দুটি আসন পাওয়া বা না পাওয়ার মধ্যে দিয়ে দলের মধ্যেকার মরচে ধরা অংশের পুনরুজ্জীবন সম্ভব নয়। পলিটব্যুরো, রাজ্য কমিটিতে নেওয়া সিদ্ধান্তের পুনরায় মূল্যায়ণ প্রয়োজন বলে মনে করেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগেও বিভিন্ন বিষয়ে তার পর্যবেক্ষণ দলকে জানিয়েছিলেন। এবার এই প্রেক্ষাপটে তাঁর সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসুকে দেওয়া চিঠি অন্য বার্তা দেয় ।
কংগ্রেসের সঙ্গে জোট, আইএসএফকে সঙ্গে নিয়ে সংযুক্ত মোর্চা গঠনের যৌক্তিকতা নিয়ে চিঠিতে প্রশ্ন তুলেছেন প্রবীণ এই বাম নেতা। মঙ্গলবার কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়কে আলিমুদ্দিনে ডাকা হয়েছে। সেখানে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে বলে খবর। বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরে তন্ময় ভট্টাচার্য এবং বিভিন্ন জেলার কমিটির পদাধিকারীরা আলিমুদ্দিনের শীর্ষকর্তাদের দিকে আঙ্গুল তুলেছিলেন । পরবর্তী সময়ে বিষয়টি মতাদর্শ এবং আভ্যন্তরীণ পর্যালোচনার মধ্যে দিয়ে বিচার করার কথা বলে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে । কিন্তু আগুন যে ধিকিধিকি করে জ্বলছে তা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের চিঠিতে পরিষ্কার ।
আরও পড়ুন: সাত বিধানসভায় উপনির্বাচনের দাবিতে সুর চড়াল তৃণমূল
এদিকে সুজন চক্রবর্তী কাঠগড়ায় এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তুলছেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘মোদিজির আচ্ছেদিনের স্বপ্ন এখন ফুটে ফুটে বেরোচ্ছে। পেট্রোল,ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি সর্বকালীন রেকর্ড করল। পেট্রোলের ট্যাক্স 160 শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। ডিজেলের ক্ষেত্রে যা 156 শতাংশ বৃদ্ধি। যা দাম তা আড়াই-তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে । তেলের দাম যখন বিশ্বজুড়ে কমেছে তখন আমাদের দেশে তা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে । মোদিজির সরকার আসার পরে অতিরিক্ত ট্যাক্স বাবদ 25 লক্ষ কোটি টাকা কোষাগারে জমা পড়েছে । রাজ্যের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ দুই লক্ষ কোটি টাকা । দুই সরকার মানুষকে চুষে নিচ্ছে ।’’ তাঁর অভিযোগ, পেট্রোপণ্যের জিএসটি চালু করার কথা বিধানসভায় বলেছিলাম, তা মানা হয়নি। আসলে এইভাবেই মানুষকে চুষে কোষাগার ভরছে বলে রাজ্য সরকার চুপ করে আছে।