কলকাতা, 22 জুলাই: মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগ দাবি করল সিপিএমের পলিটব্যুরো ৷ উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যটিতে দু'জন আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো এবং গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল দেশ ৷ এই অবস্থায় শুক্রবার বীরেন সিংয়ের ইস্তফা চেয়েছে দলের পলিটব্যুরো ৷
পলিটব্যুরোর অভিযোগ, "দু’জন আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো, গণধর্ষণ এবং বাঁচাতে আসা পরিবারের দুই সদস্যকে খুনের ভয়ঙ্কর নৃশংসতা সারা দেশকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে ৷ এই বর্বরতায় যুক্ত অপরাধীদের সুরক্ষা দিচ্ছে মণিপুরের বিজেপি সরকার ৷ কারণ, ঘটনার দু’সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্তদের পরিবারগুলি থানায় এফআইআর দায়ের করলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি ।" আর ঠিক এই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়েছে সিপিএম।
-
Biren Singh Must Resign! #Manipur #ManipurViolence #ManipurAtrocities pic.twitter.com/0J0FpAXWbL
— CPI (M) (@cpimspeak) July 21, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">Biren Singh Must Resign! #Manipur #ManipurViolence #ManipurAtrocities pic.twitter.com/0J0FpAXWbL
— CPI (M) (@cpimspeak) July 21, 2023Biren Singh Must Resign! #Manipur #ManipurViolence #ManipurAtrocities pic.twitter.com/0J0FpAXWbL
— CPI (M) (@cpimspeak) July 21, 2023
পাশাপাশি মণিপুরের হিংসার ঘটনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় পলিটব্যুরো ৷ তাদের বক্তব্য, গত আড়াই মাস ধরে মণিপুর জ্বলছে ৷ তা সত্ত্বেও বিজেপির শীর্ষ নেতারা এবং কেন্দ্রীয় সরকার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী ও সেই সরকারের সমর্থনে কথা বলে যাচ্ছে ৷ মণিপুরে হিংসার শুরু মে মাসের 3 তারিখ থেকে ৷ মেইতি ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে এখনও অশান্ত রাজ্যটি ৷ রাজ্যটির এই পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটা দীর্ঘ সময় কোনও কথা বলেননি ৷ তবে, 78 দিন পর 20 জুলাই প্রধানমন্ত্রী সংসদের বাইরে প্রথম মণিপুর নিয়ে তাঁর মতামত জানান ৷ ওই দিন থেকে সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয় ৷ সেদিন প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, অপরাধীদের কঠিন থেকে কঠিনতম সাজা দেওয়া হবে ৷
আরও পড়ুন: মণিপুরে 2 মহিলাকে লাঞ্ছনার ঘটনায় ধৃত 4 জনের 11 দিনের পুলিশ হেফাজত
ডিওয়াইএফআই-এর সাধারণ সম্পাদক হিমগ্নরাজ ভট্টাচার্য বলেন, "মণিপুর জ্বলছে ! প্রধানমন্ত্রীর নীরবতার নিন্দা করা উচিত! মণিপুর এখন আশি দিনেরও বেশি সময় ধরে সহিংসতা ও সংঘর্ষের সাক্ষী হচ্ছে ৷" তিনি জানান, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যে শান্তি নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার বিরুদ্ধে ডিওয়াইএফআই সারা দেশে প্রতিবাদ সংগঠিত করবে ৷ মণিপুরে শান্তি ফেরাতে দেশের যুবকদের সর্বাধিক অংশগ্রহণও নিশ্চিত করতে চায় ডিওয়াইএফআই ৷