কলকাতা, 17 মে : রাজ্য সরকার আপাদমস্তক মিথ্যে কথা বলছে । পরিযায়ী শ্রমিক, কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃতের সংখ্যা নিয়ে চূড়ান্ত মিথ্যে কথা বলছে রাজ্য সরকার । বললেন বামপন্থী দলনেতা সুজন চক্রবর্তী । তিনি আরও বলেন, " রাজ্য সরকার ব্যতিক্রমী সত্যি কথা বলে । সত্যি কথা বললেই বিপদ বাড়ে । সরকারের প্রধানের এক বক্তব্য, সচিবের অন্য বক্তব্যে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন । মানুষকে সুস্থ করতে না পারলেও উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকায়, বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে সরকারি গাফিলতির জন্য । "
আজ সুজন চক্রবর্তী বলেন, " তথ্য গোপন, তথ্য লোপাট, চালচুরি, রেশনে দুর্নীতি, নারদা সারদায় তথ্যের লুকোচুরি । সবটাই তৃণমূল কংগ্রেসের বদান্যতায় । রাজ্যের পুলিশ আধিকারিক থেকে চিকিৎসক, সকলেই জানেন কীভাবে সরকার তথ্যের আড়াল করছে । সরকারের হিম্মত থাকলে আসল তথ্য পেশ করুক । আমি আদালতে টেনে নিয়ে যাব । যে বা যারা আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ৷ তাঁকে বলছি, হিম্মত থাকলে প্রমাণ করুন আমার বক্তব্য সঠিক নয় । আবারও চ্যালেঞ্জ করছি । কত জন রোগী কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, কতজন মৃত, তার তথ্য প্রকাশ করুন । কতজনের শেষকৃত্য ধাপায় হয়েছে ৷ কতজনকে কবর দেওয়া হয়েছে ৷ তার তথ্য প্রকাশ করুক রাজ্য সরকার । সবার নামের তালিকা সামনে আনুক, দেখব । কোন কোন এলাকার কতজন আক্রান্ত ৷ সেই তালিকাও প্রকাশ করতে হবে সরকারকে । "
পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে মিথ্যাচার । রাজ্য ও কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বামপরিষদীয় দলনেতা । শ্রমিকদের ট্রেনের ভাড়ার কথা উল্লেখ করে সুজন চক্রবর্তী বলেন, " পাল্লা দিয়ে দুই সরকার মিথ্যে কথা বলছে । কেন্দ্রীয় সরকার যদি ট্রেনের ভাড়া দেবেন ৷ তাহলে রাজ্য সরকার 15 শতাংশ টাকা দিচ্ছেন কোথায় ।পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের দায়িত্ব নেওয়া উচিত রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের । এত পরিযায়ী শ্রমিক ঘরে ফিরে আসছেন ৷ এরপর কীভাবে পরিবার চালাবেন তা নিয়ে রাজ্য সরকারের শ্বেতপত্র প্রকাশ করা উচিত । 100 দিনের কাজ অবিলম্বে বাড়ানো প্রয়োজন । 250 দিনের কাজ করা প্রয়োজন শ্রমিকদের বাঁচানোর জন্য । "