কলকাতা, 6 জানুয়ারি: বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার জাল সার্টিফিকেট দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ! বিভিন্ন বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থায় আমানতকারীদের অর্থ ফেরতের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এক সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। বর্তমানে ওই কমিটির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। এখানেই জাল সার্টিফিকেট দেখিয়ে টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। সোমবার অভিযুক্তদের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট।
আবেদনকারীর আইনজীবীর দাবি, ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে কমিটিতে কর্মরত কর্মীরাই। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, হেয়ার স্ট্রিট থানার তদন্তকারী অফিসারকে সঠিক তদন্ত করতে হবে। তদন্তে কমিটির কোনও কর্মী যুক্ত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে । আদালত চায় প্রকৃত আমানতকারীরা টাকা ফেরত পাক ।
অভিযোগ, সন্দীপন দত্ত ও তাঁর পুত্র এমপিএসের 71টি সার্টিফিকেট জমা দিয়ে প্রায় 7 লক্ষ টাকা এক সদস্যের কমিটির কাছ থেকে ফেরত পান । টাকা ফেরত পাওয়ার পর অন্য আবেদনকারীরা একই সার্টিফিকেটের প্রেক্ষিতে টাকা দাবি করেন । হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে অন্যের সার্টিফিকেট জাল করে আবেদনকারীরা টাকা তুলে নিয়েছেন । অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর আবেদনকারীরা 7 লক্ষ টাকা ফেরত দেন ।
ইতিমধ্যে সন্দীপনের পুত্র নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । পুলিশি তদন্তে উঠে আসে আরও 159টি সার্টিফিকেট জাল করে টাকা তোলার জন্য জমা দিয়েছেন আবেদনকারীরা । গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানায় সন্দীপন দত্ত ও তাঁর পুত্র । আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করেছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ ।
এদিন আদালতে সন্দীপন দত্তের আইনজীবী শাশ্বত গোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, "নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে । সার্টিফিকেট পাওয়ার পর এক সদস্যের কমিটি কেন খতিয়ে দেখে টাকা দিল না ৷ তাহলে কি কমিটির কর্মীরা যুক্ত ?" এই বিষয়ে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেন, "বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ । কমিটির কর্মীরা কেউ যুক্ত আছে কি না তদন্তকারী অফিসারকে খতিয়ে দেখতে হবে । আশা করি কমিটির চেয়ারম্যান বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন। তবে সার্টিফিকেট জাল করে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে । এক্ষেত্রে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে ।"