কলকাতা, 24 জুলাই: রাজ্যে সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার কারণে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবার যাতে সুবিচার পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে ৷ মৃতদের বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে । আইনি সহায়তা সহ তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করতে হবে । সোমবার এমনটাই দাবি তুলল প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব । পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের দিন এবং ভোট পরবর্তী হিংসা ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এদিন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করে প্রদেশ কংগ্রেস ।
এদিন বিড়লা তারা মণ্ডলের সামনে ইন্দিরা গান্ধি মূর্তির পাদদেশে শহিদ স্মরণ সভার আয়োজন করে কংগ্রেস ৷ এই কর্মসূচি থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয় প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব । দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ প্রসাদ বলেন, "ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকে আজ পর্যন্ত কংগ্রেসের 7 জন কর্মী-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রায় 54-55 জনের প্রানহানির ঘটনা ঘটেছে । এখনও বহু কর্মী রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন বা তাঁদের চিকিৎসা চলছে ।"
আরও পড়ুন: বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও ইস্যুতে অভিষেকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা শুভেন্দুর
কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, ভোট ঘোষণা হওয়ার পর মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় থেকেই শুরু হয় সন্ত্রাস ৷ মুর্শিদাবাদের খরগ্রামে প্রথম শাসকদলের হিংসার বলি হন কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ সেখ । দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ প্রসাদ আরও জানান, পঞ্চায়েত ভোটের দিন অর্থাৎ 8 জুলাই শাসক দল তৃণমূলের হার্মাদদের সন্ত্রাস দেখেছে রাজ্য-সহ পুরো দেশ ৷
ছাপ্পা ভোট, রিগিং, বুথ দখল করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয় । ভোটের নামে এখানে প্রহসন হয়েছে । পরবর্তীতে গণনা কেন্দ্রে কারচুপি সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে । কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, এবারের পঞ্চায়েত ভোটপর্বে তাঁদের 7 জন কর্মী-সমর্থক প্রাণ হারিয়েছেন ৷ কংগ্রেসের অভিযোগ, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতায় রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এত হিংসার ঘটনা ঘটেছে ৷