ETV Bharat / state

কোরোনা আবহেও প্রতিনিয়ত লড়ে চলেছেন সাফাইকর্মীরা

শহরের রাজপথ, অলিগলি থেকে শুরু করে কনটেনমেন্ট জ়োন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন কাজ করে চলেছেন তাঁরা ৷ কঠিন পরিস্থিতিতে একদিকে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা মানুষের সেবায় নিজেদের নিয়োগ করেছেন ৷ তেমনই প্রতিনিয়ত পরিষেবা দিয়ে চলেছেন সাফাইকর্মীরা ৷

সাফাইকর্মী
সাফাইকর্মী
author img

By

Published : Jul 14, 2020, 2:04 AM IST

কলকাতা, 14 জুলাই : রোজ সকাল হলেই ঝাঁটা হাতে বেরিয়ে পড়েন ৷ শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে বদ্ধপরিকর তাঁরা ৷ শহরের রাজপথ, অলিগলি থেকে শুরু করে কনটেনমেন্ট জ়োন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন কাজ করে চলেছেন তাঁরা ৷ কঠিন পরিস্থিতিতে একদিকে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা মানুষের সেবায় নিজেদের নিয়োগ করেছেন ৷ একইভাবে এই মানুষগুলিও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিষেবা দিয়ে চলেছেন ৷ তাঁরা সাফাইকর্মী ৷

কোরোনা সংক্রমণে যখন বিশ্ব জর্জরিত, তখন সমাজ বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন তাঁরা ৷ নুর আলি, মুকেশরাই আজ সমাজের হিরো ৷ শুধু সাফাই করে নয়, কনটেনমেন্ট জ়োন থেকে শুরু করে শহরজুড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করার কাজও করছেন পৌরনিগমের এই সাফাই কর্মীরা ৷ তাঁদের বক্তব্য, সংসার চালাতে টাকার প্রয়োজন ৷ তাই কাজ করতেই হবে ৷ সব কাজেই ঝুঁকি থাকে ৷ জীবনের ঝুঁকি নিতে হবে বলে তো আর ঘরে বসে থাকা যায় না ৷

সমাজ বাঁচাতে প্রতিনিয়ত লড়ে চলেছেন তাঁরা

সাফাইকর্মীদের সুরক্ষায় কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার ?

কলকাতা পৌরনিগম ও রাজ্য সরকার সবরকমভাবে তাঁদের সাহায্য করছে ৷ মাস্ক, গ্লাভস, জ্যাকেট, জুতো সবই দেওয়া হয়েছে ৷ কাজের শেষে পরিষ্কার হওয়ার জন্য জল, সাবানের ব্যবস্থাও রয়েছে ৷ কনটেনমেন্ট জ়োনে কাজ করার জন্য দেওয়া হয়েছে PPE পোশাক ৷ সাফাইকর্মীদের অনেকেই অস্থায়ী কর্মী ৷ তাঁদের চাকরি স্থায়ী করে দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেছেন কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম ৷

কলকাতায় সাফাইকর্মীর সংখ্যা প্রায় 17 হাজার ৷ কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় 25 জন ৷ মৃত্যুও হয়েছে একজনের ৷ কিন্তু, তারপরও প্রতিদিন নিয়ম মেনে কাজ করে চলেছেন তাঁরা ৷ কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস মজুমদার জানিয়েছেন, "প্রতিদিন পৌর সাফাইকর্মীরা কলকাতাকে পরিষ্কার রাখার কাজ করে চলেছেন ৷ কনটেনমেন্ট জ়োনগুলিতে জীবাণুনাশক স্প্রে করার কাজও করছেন ৷ এই পরিস্থিতিতে শহরকে অনেক বেশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ৷ তবে, তাঁদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য অনেক পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷ কর্মীদের জন্য টুপি, মাস্ক, জ্যাকেট, গ্লাভস, জুতো আবশ্যিক করা হয়েছে ৷ প্রতিটি এলাকার বোরো অফিসে জল ও সাবানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ৷ কর্মীদের কোয়ার্টারগুলিতে নিয়মিতভাবে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে ৷ পৌরনিগম সবসময় এই কর্মীদের পাশে রয়েছে ৷"

কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর আর এক সদস্য অতীন ঘোষ জানান, "পৌর সাফাইকর্মীদের স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখা হচ্ছে ৷ কিছু সাফাইকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন ৷ তবে সেটা সংখ্যায় কম ৷ সাফাইকর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে নিয়মিত ৷ কোরোনা প্রতিষেধক ওষুধগুলি খাওয়ানো হচ্ছে তাঁদের ৷ আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছে পৌরনিগম ৷ আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের কোয়ারানটিনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷"

কলকাতা, 14 জুলাই : রোজ সকাল হলেই ঝাঁটা হাতে বেরিয়ে পড়েন ৷ শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে বদ্ধপরিকর তাঁরা ৷ শহরের রাজপথ, অলিগলি থেকে শুরু করে কনটেনমেন্ট জ়োন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন কাজ করে চলেছেন তাঁরা ৷ কঠিন পরিস্থিতিতে একদিকে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা মানুষের সেবায় নিজেদের নিয়োগ করেছেন ৷ একইভাবে এই মানুষগুলিও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিষেবা দিয়ে চলেছেন ৷ তাঁরা সাফাইকর্মী ৷

কোরোনা সংক্রমণে যখন বিশ্ব জর্জরিত, তখন সমাজ বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন তাঁরা ৷ নুর আলি, মুকেশরাই আজ সমাজের হিরো ৷ শুধু সাফাই করে নয়, কনটেনমেন্ট জ়োন থেকে শুরু করে শহরজুড়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করার কাজও করছেন পৌরনিগমের এই সাফাই কর্মীরা ৷ তাঁদের বক্তব্য, সংসার চালাতে টাকার প্রয়োজন ৷ তাই কাজ করতেই হবে ৷ সব কাজেই ঝুঁকি থাকে ৷ জীবনের ঝুঁকি নিতে হবে বলে তো আর ঘরে বসে থাকা যায় না ৷

সমাজ বাঁচাতে প্রতিনিয়ত লড়ে চলেছেন তাঁরা

সাফাইকর্মীদের সুরক্ষায় কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার ?

কলকাতা পৌরনিগম ও রাজ্য সরকার সবরকমভাবে তাঁদের সাহায্য করছে ৷ মাস্ক, গ্লাভস, জ্যাকেট, জুতো সবই দেওয়া হয়েছে ৷ কাজের শেষে পরিষ্কার হওয়ার জন্য জল, সাবানের ব্যবস্থাও রয়েছে ৷ কনটেনমেন্ট জ়োনে কাজ করার জন্য দেওয়া হয়েছে PPE পোশাক ৷ সাফাইকর্মীদের অনেকেই অস্থায়ী কর্মী ৷ তাঁদের চাকরি স্থায়ী করে দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেছেন কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম ৷

কলকাতায় সাফাইকর্মীর সংখ্যা প্রায় 17 হাজার ৷ কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় 25 জন ৷ মৃত্যুও হয়েছে একজনের ৷ কিন্তু, তারপরও প্রতিদিন নিয়ম মেনে কাজ করে চলেছেন তাঁরা ৷ কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস মজুমদার জানিয়েছেন, "প্রতিদিন পৌর সাফাইকর্মীরা কলকাতাকে পরিষ্কার রাখার কাজ করে চলেছেন ৷ কনটেনমেন্ট জ়োনগুলিতে জীবাণুনাশক স্প্রে করার কাজও করছেন ৷ এই পরিস্থিতিতে শহরকে অনেক বেশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ৷ তবে, তাঁদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য অনেক পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷ কর্মীদের জন্য টুপি, মাস্ক, জ্যাকেট, গ্লাভস, জুতো আবশ্যিক করা হয়েছে ৷ প্রতিটি এলাকার বোরো অফিসে জল ও সাবানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ৷ কর্মীদের কোয়ার্টারগুলিতে নিয়মিতভাবে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে ৷ পৌরনিগম সবসময় এই কর্মীদের পাশে রয়েছে ৷"

কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর আর এক সদস্য অতীন ঘোষ জানান, "পৌর সাফাইকর্মীদের স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখা হচ্ছে ৷ কিছু সাফাইকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন ৷ তবে সেটা সংখ্যায় কম ৷ সাফাইকর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে নিয়মিত ৷ কোরোনা প্রতিষেধক ওষুধগুলি খাওয়ানো হচ্ছে তাঁদের ৷ আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছে পৌরনিগম ৷ আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের কোয়ারানটিনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.