ETV Bharat / state

স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রফুল্ল চাকীর উত্তরসূরির ঘরে নেই খাবার! এগিয়ে এলেন মমতা - প্রফুল্ল চাকী

আর্থিক অনটন তাঁর নিত্যসঙ্গী । ঠিকঠাক খাবার জোটে না । তিনি আর কেউ নন, স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রফুল্ল চাকীর পরিবারের সদস্য । খবর পেয়ে ব্য়বস্থা নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

mamata
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
author img

By

Published : Apr 16, 2020, 12:09 PM IST

কলকাতা, 16 এপ্রিল : ঘরে খাবার নেই। লড়াই চরম দারিদ্রের সঙ্গে । কথা হচ্ছে স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রফুল্ল চাকীর পরিবারের । কোনওরকমে বেঁচে আছেন প্রফুল্ল চাকীর প্রপৌত্রী । কিন্তু কেউ তাঁদের খোঁজ রাখে না বলে আক্ষেপ । এমনিতে অন্য সময়েই দিন চলে খুব কষ্টে । আর এখন লকডাউনে দু'বেলা দু'মুঠো খাবারও জুটছিল না ঠিক করে । মুখ্যমন্ত্রীর কাছে খবর পৌঁছাতেই তৎক্ষণাৎ সক্রিয় হন তিনি । দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন, অবিলম্বে ওই পরিবারের প্রতিদিনের খাবারের ব্যবস্থা করতে । সেইমতো পদক্ষেপও করেছে প্রশাসন।

সালটা 1908-এর 30 এপ্রিল । ইউরোপিয়ান ক্লাবের সামনে লুকিয়ে ছিলেন দুই যুবক । হাতে বোমা । লক্ষ্য অত্যাচারী ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড । লুকিয়ে থাকা দুই যুবকের একজনের নাম ক্ষুদিরাম বসু, অন্যজন প্রফুল্ল চাকী । বিপ্লবীদের কাছে খবর ছিল, সন্ধেয় ইউরোপিয়ান ক্লাবে আসবেন কিংসফোর্ড । একটি গাড়ি এগিয়ে আসছে দেখে বোমা ছোড়েন। বিস্ফোরণ । দুর্ভাগ্য সেই গাড়িতে ছিলেন না কিংসফোর্ড । ছিলেন ব্যারিস্টার কেনেডির স্ত্রী ও কন্যা । ঘটনার জেরে ক্ষুদিরামের ফাঁসি হয় । একদল বলে সমস্তিপুর স্টেশনে নন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক দারোগা প্রফুল্লকে প্রায় ধরে ফেলেন । মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন প্রফুল্ল । আবার অন্য একদল বলে, তাঁকে খুন করেছিল ব্রিটিশ পুলিশ ।

সেই প্রফুল্ল চাকীর পরিবারকে এখন দারিদ্র গ্রাস করেছে । প্রপৌত্রী মাধবী তালুকদার থাকেন দক্ষিণ দিনাজপুরে । লকডাউনে অন্নের সংস্থান করা মুশকিল হয়ে পড়েছে পরিবারের । খবর পেয়েই জেলা প্রশাসনকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রশাসনের সদস্যরা পৌঁছে যান মাধবীদেবীর বাড়িতে । প্রশাসনের তরফে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দেওয়া হয় । মুখ্যমন্ত্রী আগামী দিনে ওই পরিবারের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসনকে । নবান্ন সূত্রে সেইরকমই খবর।

কলকাতা, 16 এপ্রিল : ঘরে খাবার নেই। লড়াই চরম দারিদ্রের সঙ্গে । কথা হচ্ছে স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রফুল্ল চাকীর পরিবারের । কোনওরকমে বেঁচে আছেন প্রফুল্ল চাকীর প্রপৌত্রী । কিন্তু কেউ তাঁদের খোঁজ রাখে না বলে আক্ষেপ । এমনিতে অন্য সময়েই দিন চলে খুব কষ্টে । আর এখন লকডাউনে দু'বেলা দু'মুঠো খাবারও জুটছিল না ঠিক করে । মুখ্যমন্ত্রীর কাছে খবর পৌঁছাতেই তৎক্ষণাৎ সক্রিয় হন তিনি । দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন, অবিলম্বে ওই পরিবারের প্রতিদিনের খাবারের ব্যবস্থা করতে । সেইমতো পদক্ষেপও করেছে প্রশাসন।

সালটা 1908-এর 30 এপ্রিল । ইউরোপিয়ান ক্লাবের সামনে লুকিয়ে ছিলেন দুই যুবক । হাতে বোমা । লক্ষ্য অত্যাচারী ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড । লুকিয়ে থাকা দুই যুবকের একজনের নাম ক্ষুদিরাম বসু, অন্যজন প্রফুল্ল চাকী । বিপ্লবীদের কাছে খবর ছিল, সন্ধেয় ইউরোপিয়ান ক্লাবে আসবেন কিংসফোর্ড । একটি গাড়ি এগিয়ে আসছে দেখে বোমা ছোড়েন। বিস্ফোরণ । দুর্ভাগ্য সেই গাড়িতে ছিলেন না কিংসফোর্ড । ছিলেন ব্যারিস্টার কেনেডির স্ত্রী ও কন্যা । ঘটনার জেরে ক্ষুদিরামের ফাঁসি হয় । একদল বলে সমস্তিপুর স্টেশনে নন্দলাল বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক দারোগা প্রফুল্লকে প্রায় ধরে ফেলেন । মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন প্রফুল্ল । আবার অন্য একদল বলে, তাঁকে খুন করেছিল ব্রিটিশ পুলিশ ।

সেই প্রফুল্ল চাকীর পরিবারকে এখন দারিদ্র গ্রাস করেছে । প্রপৌত্রী মাধবী তালুকদার থাকেন দক্ষিণ দিনাজপুরে । লকডাউনে অন্নের সংস্থান করা মুশকিল হয়ে পড়েছে পরিবারের । খবর পেয়েই জেলা প্রশাসনকে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রশাসনের সদস্যরা পৌঁছে যান মাধবীদেবীর বাড়িতে । প্রশাসনের তরফে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দেওয়া হয় । মুখ্যমন্ত্রী আগামী দিনে ওই পরিবারের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসনকে । নবান্ন সূত্রে সেইরকমই খবর।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.