কলকাতা, 15 জুন: রাজ্য নির্বাচন কমিশন এখনও পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ মানতে ব্যর্থ ৷ রাজ্যে মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে যে হিংসার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই এমন মন্তব্য হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের। বৃহস্পতিবার আইনজীবী সৌম্য মজুমদার শুভেন্দু অধিকারীর তরফে আদালতে জানান, সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ পুলিশ। উত্তর দিনাজপুরে দু'জন লোক আক্রান্ত। টিভিতে তা দেখানো হচ্ছে। কোন কোন জেলা স্পর্শকাতর, তা স্পষ্ট করা হোক। এর আগে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বিধানসভা নির্বাচনে হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছিল রাজ্যের সব জেলাতেই রাজনৈতিক হিংসা ও সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাধারণ গ্রামীণ জনতা আক্রান্ত। পুর এলাকার সঙ্গে তা তুলনা করা যথাযথ নয়।
আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের দাবি, মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হচ্ছে না বিরোধীদের। ভয় পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এখনও পর্যন্ত স্পর্শকাতর জায়গা চিহ্নিত করতে পারেনি কমিশন। সিঙ্গল বেঞ্চে এই নিয়ে মামলা ও দায়ের হয়েছে। সবমিলিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এখনও পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ মানতে ব্যর্থ, প্রাথমিক ভাবে সেটাই দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য প্রধান বিচারপতির। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, "আমরা প্রার্থীদের নিয়ে চিন্তিত নই। আমরা সাধারণ ভোটারদের নিয়ে চিন্তিত। আপনাদের হয়তো মনে হচ্ছে কিছু হচ্ছে না। আমরা কিন্তু হাত গুটিয়ে বসে থাকব না।"
আরও পড়ুন: মনোনয়নের শেষ দিনেও ঝরল রক্ত, চোপড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত সিপিএম কর্মী
নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র যদিও পালটা জানান, এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য জানাতে সময় দিতে হবে। আদালতের দ্বিতীয় অর্ধে তারা জানাবে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হবে কি না। রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পালটা বলেন, "ভাঙড়ে আইএসএফ নামে একটা রাজনৈতিক দল 15 হাজার সমর্থক নিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। তারাই আবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে নিরাপত্তার আবেদন জানাচ্ছে।"
এ বিষয়ে বেলা 2টো'র সময় ফের শুনানি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাতটি স্পর্শকাতর জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার নির্দেশ দিলেও সেই নির্দেশ মত কমিশন কিছু পদক্ষেপ করছে নাস দাবি করে বিরোধীরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পাশাপাশি রাজ্য হাইকোর্টের কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই মামলাতেই এদিন এমন মন্তব্য প্রধান বিচারপতির।