ETV Bharat / state

মেলেনি DNA রিপোর্ট, আর জি করে শিশু মৃত্যুতে SIT গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

আর জি কর হাসপাতালে শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় 9 অক্টোবর দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট । শিশুটির DNA পরীক্ষার নির্দেশও দেওয়া হয় । কিন্তু সেই রিপোর্ট তার বাবা-মায়ের রিপোর্টের সঙ্গে মেলেনি । এরপরই আজ SIT গঠনের নির্দেশ দেয় আদালত ।

HC
HC
author img

By

Published : Oct 21, 2020, 3:49 PM IST

Updated : Oct 21, 2020, 4:02 PM IST

কলকাতা, 21 অক্টোবর : আর জি কর হাসপাতালে শিশুর মৃত্যুতে বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । এই তদন্ত কমিটিতে থাকবেন CID-র DIG প্রণব কুমার, নীলরতন মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ও অধ্যাপক সৌরভ চট্টোপাধ্যায় । শিশুর DNA রিপোর্ট না মেলায় এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।

বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই নির্দেশ দেয় । ওই শিশুটি হারিয়ে গিয়েছে না বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত । সব পক্ষকে তদন্তকারী দলের সঙ্গে সহযোগিতা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে । 10 নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করতে হবে ।

আর জি কর হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় 9 অক্টোবর দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত । শিশুটির DNA পরীক্ষার নির্দেশও দেওয়া হয়। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছিল । 13 অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল । সরকারি হাসপাতালে এই ধরনের ঘটনা কীভাবে ঘটল সেদিকেও স্বাস্থ্যভবনের নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের ।

আজ সেই রিপোর্ট জমা পড়ে । রিপোর্টে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়, মৃত শিশুটির DNA তার বাবা-মায়ের DNA-র সঙ্গে মেলেনি । আর জি কর হাসপাতালের বিরুদ্ধে 29 জুন কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন মৃত শিশুর বাবা । ওই শিশু তাঁদের নয় বলে দাবি করেছিলেন তিনি । এখন DNA রিপোর্ট না মেলায় তাঁদের সেই দাবিই আরও জোরালো হচ্ছে ।

চন্দননগরের বাসিন্দা বাবান মণ্ডল । 12 জুন তাঁর স্ত্রী সন্তান প্রসব করেন চন্দননগর মহাকুমা হাসপাতালে । সদ্যোজাত অসুস্থ থাকায় তাকে কলকাতায় রেফার করা হয় । 13 জুন আর জি কর মেডিকেলে ভরতি করা হয় তাকে । বাবান মণ্ডলের দাবি, তিনি হাসপাতালে সবসময় থাকতেন । শিশুটি হাসপাতালের SMCU বিভাগে ভরতি ছিল । সেই জন্য নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ওই বিভাগে কখনও ঢুকতে দেয়নি । এমনকী তাঁর স্ত্রী এলেও সন্তানকে দেখতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ।

শিশুমৃত্যুর ঘটনায় আর জি কর হাসপাতালকে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

25 জুন সন্তানকে দেখার জন্য জোর করেন তাঁরা । তাঁদের জানানো হয়, 15 জুন তাঁদের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে । মর্গে দেওয়া হয়েছে । মারা যাওয়ার পরপরই মাইকে সেই কথা ঘোষণা করা হয়েছিল । কিন্তু 25 জুন তাঁদের মৃতদেহ দেখানো হয়নি । 26 জুন তাঁদের একটি বিকৃত মৃতদেহ দেখানো হয় ।

তিনি বলেন, মৃতদেহ তাঁর সন্তানের নয় । তিনি সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে অভিযোগ জানান । DNA পরীক্ষারও দাবি জানান । ময়নাতদন্তের দাবিও করেন । কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ । তখন কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি ।

কলকাতা, 21 অক্টোবর : আর জি কর হাসপাতালে শিশুর মৃত্যুতে বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । এই তদন্ত কমিটিতে থাকবেন CID-র DIG প্রণব কুমার, নীলরতন মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ও অধ্যাপক সৌরভ চট্টোপাধ্যায় । শিশুর DNA রিপোর্ট না মেলায় এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।

বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই নির্দেশ দেয় । ওই শিশুটি হারিয়ে গিয়েছে না বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত । সব পক্ষকে তদন্তকারী দলের সঙ্গে সহযোগিতা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে । 10 নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করতে হবে ।

আর জি কর হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় 9 অক্টোবর দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত । শিশুটির DNA পরীক্ষার নির্দেশও দেওয়া হয়। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছিল । 13 অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল । সরকারি হাসপাতালে এই ধরনের ঘটনা কীভাবে ঘটল সেদিকেও স্বাস্থ্যভবনের নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের ।

আজ সেই রিপোর্ট জমা পড়ে । রিপোর্টে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়, মৃত শিশুটির DNA তার বাবা-মায়ের DNA-র সঙ্গে মেলেনি । আর জি কর হাসপাতালের বিরুদ্ধে 29 জুন কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন মৃত শিশুর বাবা । ওই শিশু তাঁদের নয় বলে দাবি করেছিলেন তিনি । এখন DNA রিপোর্ট না মেলায় তাঁদের সেই দাবিই আরও জোরালো হচ্ছে ।

চন্দননগরের বাসিন্দা বাবান মণ্ডল । 12 জুন তাঁর স্ত্রী সন্তান প্রসব করেন চন্দননগর মহাকুমা হাসপাতালে । সদ্যোজাত অসুস্থ থাকায় তাকে কলকাতায় রেফার করা হয় । 13 জুন আর জি কর মেডিকেলে ভরতি করা হয় তাকে । বাবান মণ্ডলের দাবি, তিনি হাসপাতালে সবসময় থাকতেন । শিশুটি হাসপাতালের SMCU বিভাগে ভরতি ছিল । সেই জন্য নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ওই বিভাগে কখনও ঢুকতে দেয়নি । এমনকী তাঁর স্ত্রী এলেও সন্তানকে দেখতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ।

শিশুমৃত্যুর ঘটনায় আর জি কর হাসপাতালকে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

25 জুন সন্তানকে দেখার জন্য জোর করেন তাঁরা । তাঁদের জানানো হয়, 15 জুন তাঁদের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে । মর্গে দেওয়া হয়েছে । মারা যাওয়ার পরপরই মাইকে সেই কথা ঘোষণা করা হয়েছিল । কিন্তু 25 জুন তাঁদের মৃতদেহ দেখানো হয়নি । 26 জুন তাঁদের একটি বিকৃত মৃতদেহ দেখানো হয় ।

তিনি বলেন, মৃতদেহ তাঁর সন্তানের নয় । তিনি সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে অভিযোগ জানান । DNA পরীক্ষারও দাবি জানান । ময়নাতদন্তের দাবিও করেন । কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ । তখন কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি ।

Last Updated : Oct 21, 2020, 4:02 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.