কলকাতা, 13 ডিসেম্বর: এসএসসি'র প্রায় 5 হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে বিতর্ক । স্কুল সার্ভিস কমিশন হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশেই তারা চাকরি বাতিল করেছিল । যদিও এই বক্তব্যে সন্তুষ্ট নয় বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ । ফের এসএসসি-কে তাদের 'অবস্থান' জানাতে সময় বেঁধে দিল হাইকোর্ট । চাকরি বাতিলের বিষয়ে এসএসসি-কে নিজেদের অবস্থান জানাতে হবে 18 ডিসেম্বরের মধ্যে । এ বিষয়ে তাদের সুনির্দিষ্ট 'অবস্থান' বোর্ড মিটিং করে পাঁচ দিনের মধ্যে আদালতে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷
চাকরি বাতিল নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দেওয়া আগের হলফনামা এ দিন ফিরিয়ে দেয় বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ । বেঞ্চের বক্তব্য, হাইকোর্ট যার পক্ষেই রায় দিক, তার ফলে কেউ না কেউ প্রভাবিত হবে । চাকরিহারাদের মধ্যে আইন অনুযায়ীও অনেক প্রার্থী চাকরি পেয়েছেন । আবার ভুয়ো প্রার্থীও রয়েছে । এই ক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশনের অবস্থান কী, তা গত সপ্তাহে সাতদিনের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত । কারণ রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশেই তারা চাকরি বাতিল করেছে । কিন্তু সেটা কোন আইনের বলে করা হল ? সেটাই প্রশ্ন ছিল আদালতের ।
এ দিন রাজ্য যে হলফনামা দিয়েছে, সেখানে ও একই বক্তব্য তাদের । হলফনামায় অসন্তুষ্ট বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ । ফের স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বোর্ড মিটিং করে পাঁচ দিনের মধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট । এ দিনের শুনানিতে আদালত জানতে চায়, চাকরি বাতিলের ক্ষেত্রে কার উপর ভরসা করছে এসএসসি ? নাইসা নাকি, নিজেদের নথি ? 18 ডিসেম্বরের মধ্যে ফের হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের বক্তব্য, নবম, দশম, একাদশ, দ্বাদশ, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি-দের চাকরি বাতিল হয়েছিল আদালতের নির্দেশেই । এসএসসি মামলায় বেনিয়মে নিয়োগের জন্য আদালতের নির্দেশের পরেই বাতিল করা হয় চাকরি । কমিশন নিজে থেকে চাকরি বাতিল করেনি বলে জানায় এসএসসি ৷
বিচারপতির বক্তব্য, "আপনাদের সিলেকশন প্রসেস প্রশ্নের মুখে । অবস্থান আপনাদের নিতে হবে ৷ যদি কোনও ভুল নিয়মে নিয়োগ হয়ে থাকে, সেটা সংশোধন আপনাদেরই করতে হবে । এ বার একটা পরিস্কার অবস্থান নিন আপনারা ।"
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে স্কুল সার্ভিস কমিশন জানায় চাকরি বাতিল করেছিল কমিশন । কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানিতে তারা হলফনামা দিয়ে জানায়, চাকরি বাতিল করা হয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশেই ।
আরও পড়ুন: