কলকাতা, 19 ডিসেম্বর: সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট । মঙ্গলবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এসএসকেএম হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারকে পাঁচ জানুয়ারি রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন । চিকিৎসার প্রেসক্রিপশন দিয়ে দায় সারলে হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি। বিগত চার মাস নানা অছিলায় কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আইনজীবী ।
মঙ্গলবার ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, "এসএসকেএমের কার্ডিয়োলজি বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, সুজয়ের কোনও শারীরিক সমস্যা নেই ।শুধু একটু স্ট্রেস ছাড়া । আর অন্য এক চিকিৎসক তাঁর সম্পর্কে এমন রিপোর্ট দিয়েছেন, যাতে তাঁকে কখনওই ভয়েস স্যাম্পেল দিতে না হয় ।আমাদের এসএসকেএমের উপর একেবারেই ভরসা নেই ।"
গত 14 জুলাই তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা দিতে নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত । সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করলে হাইকোর্টও ভয়েস স্যাম্পেল দিতে নির্দেশ দেয় । কিন্তু তাঁর শারীরিক সমস্যার জন্য নয় অগস্ট তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশ দেওয়া হয় অপারেশনের জন্য । সেখান থেকে চিকিৎসার পর তিনি ফের এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন । শেষ চার মাসে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়া যায়নি ।
সুজয়কৃষ্ণর আইনজীবী কিশোর দত্তর অবশ্য অভিযোগ, "ইডি সঠিক তথ্য দিচ্ছে না ।" তারপরই বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ আগামী পাঁচ জানুয়ারি সুজয়কৃষ্ণর চিকিৎসা সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন । ফলে সুজয়কৃষ্ণর জামিন সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি ফের পিছিয়ে গেল ।
গত 15 ডিসেম্বর ফের আদালতে জামিনের আর্জি জানান সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র । তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হোক, এই আর্জি জানান কালীঘাটের কাকু । কিন্তু ইডির বক্তব্য ছিল তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ । ইডি কেন জামিনের বিরোধিতা করছে তার সপক্ষে তাদের বক্তব্য এবং সুজয়কৃষ্ণর বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে 19 ডিসেম্বর ইডির বক্তব্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি ঘোষ ।
অন্যদিকে, সুজয়কৃষ্ণের তরফে আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, সুজয়কৃষ্ণর বাইপাস সার্জারি হওয়ার পর থেকে যে দিন ফের তাঁকে সংশোধনাগারে পাঠানো হল, সে দিন থেকে ফের তাঁর বমি হতে শুরু করে । তাই নতুন করে সুজয়কৃষ্ণের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করা হোক । তিনি এখন এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন । দরকারে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে তাঁর শারীরিক বিষয়ে মতামত নিক আদালত ।
আরও পড়ুন: