ETV Bharat / state

Calcutta High Court: 70 বছরের পুরনো স্কুলের নেই অনুমোদন, ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট - অনুমোদনহীন বেসরকারি স্কুল

কলকাতার একটি বেসরকারি স্কুলের নেই আইসিএসই বোর্ডের অনুমোদন ৷ ফলে সমস্যায় পড়েছে পড়ুয়ারা ৷ বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে ৷

ETV Bharat
ফাইল ছবি
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 13, 2023, 4:51 PM IST

কলকাতা, 13 সেপ্টেম্বর: মধ্য কলকাতার 70 বছরের পুরনো একটি বেসরকারি স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা আইসিএসই পরীক্ষা সংক্রান্ত রেজিস্ট্রেশনের সমস্যায় পড়েছে। ফলত অনিশ্চিত প্রায় 3 হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যত। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে ওই স্কুলের তরফে স্বীকার করা হয়েছে তাদের বৈধতা নেই । স্কুলের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু । স্কুলটির পরিচালন কমিটির সদস্যদের উপরেও ক্ষুব্ধ বিচারপতি । এদিন প্রাথমিকভাবে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্যকে একজন বিশেষ অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ।

এই বিশেষ অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, উনি স্কুলে গিয়ে সমস্যার কথা শুনে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে সোমবার আদালতে জানাবেন । তারপর সিদ্ধান্ত নেবে আদালত । 21 সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি । এদিন মামলার শুনানিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষুব্ধ হয় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, "ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে প্ল্যাকার্ড ধরিয়েছেন আপনারা । ওদের কলম ছাড়িয়ে প্ল্যাকার্ড ধরে ধরনা দিতে শিখিয়েছেন আপনারাই । আপনাদের দায়িত্বহীনতা ওদের এটা করতে বাধ্য করেছে ।"

উল্লেখ্য, সেন্ট অগাস্টিনের দশম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের 76 জন অভিভাবক এদিন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। কারণ তাঁদের ছেলেমেয়েদের বোর্ড পরীক্ষায় বসা এখনও অনিশ্চিত । 2022 সালের 13 জুলাই নবম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা রেজিস্ট্রেশন করেছিল আইসিএসই বোর্ড পরীক্ষার জন্য । স্কুলে রেজিস্ট্রেশন-ফি জমাও দিয়েছিল তারা । সেই পড়ুয়ারাই এবছর দশম শ্রেণিতে উঠেছে ৷ কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ এখন জানাচ্ছে তাদের স্কুল চালানোর কোনও সরকারি অনুমোদনই নেই ৷ জানা গিয়েছে, 2020 সালেই তাদের অনুমোদন বাতিল হয় ৷

আরও পড়ুন: স্কুল ইউনিফর্ম বিতরণ প্রকল্পে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টে

আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "স্কুল কর্তৃপক্ষ এখন জানাচ্ছে যে তাদের অনুমোদন নেই অধিকাংশ অভিভাবকের বিনা নিদ্রায় রাত্রি কাটাচ্ছে । অন্যদিকে স্কুলের আইনজীবীর বক্তব্য, "আইসিএসই পরীক্ষা আছে । কাউন্সিল রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবার । কিন্তু বোর্ড বৈধতা দিচ্ছে না । সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে ।" স্কুলের আইনজীবীর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে বিচারপতি মন্তব্য করেন, "নবম শ্রেণীতে কী করেছেন ওরা ? নতুন ছাত্রছাত্রী কীভাবে ভর্তি করছেন? তারা তো জানেই না যে ওই স্কুল এখন অনুমোদিত নয় । এখন এই 3 হাজার ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যত কি হবে ?"

বিচারপতির প্রশ্নের উত্তর দিয়ে স্কুলের আইনজীবী বলেন, "এটা কোনওভাবে বাতিল হয়েছে । বাড়ির বেশিরভাগ অংশ ভেঙে পড়েছে । এই অবস্থায় আমরা চাইছি স্কুল অন্য বাড়িতে নিয়ে যেতে ।" বিচারপতি বলেন, "এর দায় কার? পড়ুয়ারা ভোগান্তিতে পড়েছে । আপনি আজ বলছেন আপনার মিস হয়েছে । এটা এফআইআর করার জন্য প্রযোজ্য । স্কুল বোর্ডের প্রত্যেক সদস্যকে আসতে হবে আদালতের সামনে । পৌরসভারও অনুমোদন নেই এমন বাড়িতে স্কুল চলছে, এটা একটা ফৌজদারি অপরাধ । স্বাভাবিকভাবেই বোর্ড অনুমোদন দেবে না।" আপাতত বিশেষ অফিসারের বক্তব্য শুনে তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন বিচারপতি ৷ আগামী 21 সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি ।

কলকাতা, 13 সেপ্টেম্বর: মধ্য কলকাতার 70 বছরের পুরনো একটি বেসরকারি স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা আইসিএসই পরীক্ষা সংক্রান্ত রেজিস্ট্রেশনের সমস্যায় পড়েছে। ফলত অনিশ্চিত প্রায় 3 হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যত। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে ওই স্কুলের তরফে স্বীকার করা হয়েছে তাদের বৈধতা নেই । স্কুলের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু । স্কুলটির পরিচালন কমিটির সদস্যদের উপরেও ক্ষুব্ধ বিচারপতি । এদিন প্রাথমিকভাবে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্যকে একজন বিশেষ অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ।

এই বিশেষ অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, উনি স্কুলে গিয়ে সমস্যার কথা শুনে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে সোমবার আদালতে জানাবেন । তারপর সিদ্ধান্ত নেবে আদালত । 21 সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি । এদিন মামলার শুনানিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষুব্ধ হয় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, "ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে প্ল্যাকার্ড ধরিয়েছেন আপনারা । ওদের কলম ছাড়িয়ে প্ল্যাকার্ড ধরে ধরনা দিতে শিখিয়েছেন আপনারাই । আপনাদের দায়িত্বহীনতা ওদের এটা করতে বাধ্য করেছে ।"

উল্লেখ্য, সেন্ট অগাস্টিনের দশম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের 76 জন অভিভাবক এদিন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। কারণ তাঁদের ছেলেমেয়েদের বোর্ড পরীক্ষায় বসা এখনও অনিশ্চিত । 2022 সালের 13 জুলাই নবম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা রেজিস্ট্রেশন করেছিল আইসিএসই বোর্ড পরীক্ষার জন্য । স্কুলে রেজিস্ট্রেশন-ফি জমাও দিয়েছিল তারা । সেই পড়ুয়ারাই এবছর দশম শ্রেণিতে উঠেছে ৷ কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ এখন জানাচ্ছে তাদের স্কুল চালানোর কোনও সরকারি অনুমোদনই নেই ৷ জানা গিয়েছে, 2020 সালেই তাদের অনুমোদন বাতিল হয় ৷

আরও পড়ুন: স্কুল ইউনিফর্ম বিতরণ প্রকল্পে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টে

আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "স্কুল কর্তৃপক্ষ এখন জানাচ্ছে যে তাদের অনুমোদন নেই অধিকাংশ অভিভাবকের বিনা নিদ্রায় রাত্রি কাটাচ্ছে । অন্যদিকে স্কুলের আইনজীবীর বক্তব্য, "আইসিএসই পরীক্ষা আছে । কাউন্সিল রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবার । কিন্তু বোর্ড বৈধতা দিচ্ছে না । সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে ।" স্কুলের আইনজীবীর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে বিচারপতি মন্তব্য করেন, "নবম শ্রেণীতে কী করেছেন ওরা ? নতুন ছাত্রছাত্রী কীভাবে ভর্তি করছেন? তারা তো জানেই না যে ওই স্কুল এখন অনুমোদিত নয় । এখন এই 3 হাজার ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যত কি হবে ?"

বিচারপতির প্রশ্নের উত্তর দিয়ে স্কুলের আইনজীবী বলেন, "এটা কোনওভাবে বাতিল হয়েছে । বাড়ির বেশিরভাগ অংশ ভেঙে পড়েছে । এই অবস্থায় আমরা চাইছি স্কুল অন্য বাড়িতে নিয়ে যেতে ।" বিচারপতি বলেন, "এর দায় কার? পড়ুয়ারা ভোগান্তিতে পড়েছে । আপনি আজ বলছেন আপনার মিস হয়েছে । এটা এফআইআর করার জন্য প্রযোজ্য । স্কুল বোর্ডের প্রত্যেক সদস্যকে আসতে হবে আদালতের সামনে । পৌরসভারও অনুমোদন নেই এমন বাড়িতে স্কুল চলছে, এটা একটা ফৌজদারি অপরাধ । স্বাভাবিকভাবেই বোর্ড অনুমোদন দেবে না।" আপাতত বিশেষ অফিসারের বক্তব্য শুনে তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন বিচারপতি ৷ আগামী 21 সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.