কলকাতা, 31 অগস্ট: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অভিযোগ নস্য়াৎ করে পালটা তাঁকে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ৷ মঙ্গলবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর নিরাপত্তার কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই বর্তমানে তিনি বাড়ি থেকেই কাজ করছেন। এর পাশাপাশি তিনি সরাসরি অভিযোগ তুলেছে তৃণমূলের কর্মচারী সংগঠনের উপরও। যার পালটা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের অভিযোগ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "আমি ওখানকার শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন এরকম কোনও কাজ করেনি ৷"
শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় ছিলেন কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি। তাঁকে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে রাজ্যপাল নিয়োগ করার পরই উঠেছিল প্রশ্ন। আরও একবার রাজ্যপালের কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল রাজ্য সরকার। তবে এবার খোদ উপাচার্যই নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন। তিনি অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন, তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা তাঁকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করছেন। তবে এই সব কিছু হয়নি বলেই স্পষ্ট জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
সরাসরি এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি যোগাযোগ করেছিলেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল কর্মী শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গেও। পরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, "আমার মনে হচ্ছে এই বিষয়টায় অতিরঞ্জন আছে। আমি নিজে কথা বলেছি। যাতে এরকম পরিস্থিতি তৈরি না-করা হয় ৷ ওনারা অবশ্য বলেছেন আমায়, এমন কিছু করেননি। কিছু কিছু জায়গায় ওদের মনে হয়েছে উপাচার্য স্বেচ্ছাচারিতা চালাচ্ছে। তবে আমি দু'পক্ষকে আলোচনা করে বিষয়টা মিটিয়ে নিতে বলেছি।" তবে এর পাশাপাশি ব্রাত্য বসু বলেন, "এটা ঠিক অনাহুত, অযাচিত একজন ওই আসনে বসে রয়েছে। কিন্তু উনি তো আমার রাজ্যের অতিথি, ওনাকে আমরা অপমান করতে পারি না।"
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিদেশ সফরে যেতে বাধা কুণালকে, সিবিআইয়ের কাছে কারণ জানতে চাইল হাইকোর্ট
তবে এর সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী আরও একবার সরব হন রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে। তিনি বলেন, "আমরা আলোচনা করতে চাই। সেটা আমরা বার বার বলেছি। কিন্তু কেউ যদি মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, উচ্চ শিক্ষা দফতর কাউকেই মানব না। এমন স্বৈরাচারী আচরণ যদি কেউ করেন। তাহলে কিছু করার নেই। আমরা অবিলম্বে এই বিষয় সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চাইছি।"