ETV Bharat / state

রক্ত দিচ্ছে পুলিশ, ডোনার নিয়ে যেতে হচ্ছে ব্লাডব‍্যাঙ্কে; চলছে সংকট - police

রাজ‍্যজুড়ে পুলিশের রক্তদানের কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । রক্ত দান করছে পুলিশ । অথচ, রক্তের জন্য ব্লাডব‍্যাংকগুলিতে ডোনার নিয়ে যেতে হচ্ছে রোগীর পরিজনদের । রক্তের এমনই সংকট চলছে বলে জানা গিয়েছে ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : Apr 9, 2020, 10:27 AM IST

কলকাতা, 9 এপ্রিল: রক্ত দান করছে পুলিশ । অথচ, রক্তের জন্য ব্লাডব‍্যাঙ্কগুলিতে ডোনার নিয়ে যেতে হচ্ছে রোগীর পরিজনদের । রক্তের এমনই সংকট চলছে বলে জানা গিয়েছে । এই সংকট দূর করার জন্য, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আরও বেশি শিবির চালু করা উচিত বলে মনে করছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ।

রক্তের সংকট দূর করার জন‍্য কলকাতা সহ রাজ‍্যজুড়ে পুলিশের রক্তদানের কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । রক্তের যতটা সংকট চলছে, সেই তুলনায় কত রক্ত সংগৃহীত হচ্ছে ? অভিযোগ উঠছে, রক্তের ক্ষেত্রেও প্রকৃত তথ্য চেপে রাখা হচ্ছে, " কোরোনার ক্ষেত্রেও যা, রক্তের ক্ষেত্রেও তা ।" 41 বছর ধরে রক্তদান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন উত্তর কলকাতার স্বেচ্ছাসেবী এক সংগঠনের সেক্রেটারি ডি আশিস । তিনি বলেন, " গ্রীষ্মকাল, নির্বাচন, শারদোৎসব, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে রক্তের সংকট দেখেছি । তবে, গত 41 বছরের মধ‍্যে এই রকম রক্তের বিপর্যয় দেখতে হয়নি ।"

রক্তদান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, রক্তদান শিবির করা যাবে বলে প্রথমে জানানো হয়েছিল । তবে পুলিশ বলল, জমায়েত চলবে না । তাই শিবিরের আয়োজন করা যাচ্ছে না । এদিকে, প্রতি শনিবার কলকাতা পুলিশের নিজস্ব রক্তদান শিবিরও বন্ধ করে দেওয়া হল । পাড়ায়-পাড়ায় রক্তদান শিবির আয়োজনের জন্য চেষ্টা যাঁরা করছেন, তাঁদেরকে জানানো হল, রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা যাবে না । যদিও, এর পরে স্বাস্থ্য দপ্তরের এক সার্কুলারে জানানো হয়, শিবিরের আয়োজন করা যাবে । তবে, এই ধরনের শিবিরে 30 জনের বেশি রক্তদান করতে পারবেন না । শিবির আয়োজনের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলা হল । গাইডলাইনও দেওয়া হল । অথচ, এই শিবিরের আয়োজন করা যাচ্ছে না । কারণ, গত 1 এপ্রিল থেকে কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে রক্তদান শিবিরের আয়োজন পুলিশ করবে বলে জানিয়েছেন মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় । কোনও রাজনৈতিক দল, ক্লাব, সংগঠন রক্তদান শিবিরের আয়োজন করতে পারবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি ।

D আশিস বলেন, "এরাজ‍্যে প্রতি বছর 15 লাখ ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয়‌ । প্রতি বছর 13 লাখ ইউনিটের মতো রক্ত সংগৃহীত হয় । এই হিসাবে প্রতি মাসে 1 লাখ থেকে সওয়া 1 লাখ ইউনিট রক্তের প্রয়োজন অর্থাৎ, প্রতিদিন 4 থেকে 5 হাজার ইউনিট রক্তের প্রয়োজন । আমার প্রশ্ন, কলকাতা এবং রাজ্য পুলিশ যে রক্তদান শিবির করছে, এই শিবিরগুলি থেকে প্রতিদিন 4 থেকে 5 হাজার ইউনিট রক্ত জোগাড় করা কি সম্ভব হচ্ছে ?" তিনি আরও বলেন, " ব্লাডব‍্যাঙ্কগুলিতে রক্ত না পেয়ে আমাদের সঙ্গে বহু মানুষ যোগাযোগ করছেন । ব্লাডব‍্যাঙ্ক থেকে তাঁদের বলা হচ্ছে রক্ত দিয়ে, রক্ত নিন । অর্থাৎ, রক্ত নিতে হলে ডোনার নিয়ে যেতে হবে ।"

D আশিস আরও বলেন, " যদি হিসাব পাওয়া যেত, হ্যাঁ, প্রতিদিন আমরা 5 হাজার ইউনিট রক্ত পেয়ে যাচ্ছি, তাহলে আমরা চিন্তামুক্ত থাকতাম । কিন্তু আমরা দেখছি, সরকারি ব্লাডব্যাংক থেকে রক্ত দেওয়ার জন্য ডোনার নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। রক্তের ঘাটতি না থাকলে কেন ডোনার নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হবে । পুলিশকর্মীরা রক্তদান করছেন । এই জন্য সরকারি ব্লাডব‍্যাঙ্কগুলি ক্যাম্প করতে পারছে । তবে, বেসরকারি ব্লাডব‍্যাঙ্কগুলিতে ক্যাম্প করতে পারছে না । বেসরকারি ব্লাডব‍্যাঙ্কগুলিতে অনেকে ডোনার নিয়ে গিয়ে রক্তের ব্যবস্থা করছেন ।"

সারা বছর রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ব্লাডব‍্যাঙ্কগুলিকে মজবুত রাখে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন । এরাজ‍্যে 84টি সরকারি, 34টি বেসরকারি এবং 15টি কেন্দ্রীয় সরকারি ব্লাডব‍্যাংক রয়েছে । কলকাতার সরকারি, বেসরকারি ব্লাডব‍্যাঙ্কগুলিতে অবস্থা এখন কী রকম ? উত্তর কলকাতার স্বেচ্ছাসেবী এই সংঠনের সেক্রেটারি বলেন, " আমরা দেখছি, বিভিন্ন মানুষ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, ব্লাডব‍্যাঙ্কগুলিতে তাঁরা রক্ত পাচ্ছেন না । তাঁদের বলা হচ্ছে, রক্ত দিয়ে রক্ত নিন।" তিনি বলেন, " বিপদের দিনে মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েন, সেই জায়গাটায় খামতি থেকে যাচ্ছে । 30 জনের ব্যবস্থা হবে, এই রকম অনেক শিবির আর করা যায়নি । গোটা রাজ্যের যুব-ছাত্র, যাঁরা রক্তদান করতে চাইছেন, পুলিশের মতো তাঁদের জন্যেও ব্যবস্থা করা যেতে পারে । সোশাল ডিস্ট্যান্স মেনটেন করে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বহু মানুষ রক্তদান করত চাইছেন ।" D আশিস বলেন, " যেভাবে পুলিশের রক্ত নেওয়া হচ্ছে, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির জন্য যদি এভাবে রক্তদানের জন্য সরকারের নির্দেশনামা জারি হয়, তা হলে মনে হয় কিছুটা হলেও রক্তের সংকট কমানো যাবে ।"


কফি হাউস সোশাল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি অচিন্ত্য লাহা বলেন, "জেলাগুলিতে সেভাবে সমস্যা নেই । সমস্যা রয়েছে কলকাতার বিভিন্ন ব্লাডব‍্যাঙ্কে । সরকারি তরফে স্বীকার করা হচ্ছে না সমস্যার কথা । তবে সরকারি ব্লাডব‍্যাঙ্ক থেকে রক্ত সংগ্রহ করতে গেলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগীর পরিজনদের । ডোনার নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে ।" লকডাউনের কারণে বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের সংখ্যা কম থাকার কারণে, রক্তের চাহিদাও কমেছে । তবে, যতটা চাহিদা রয়েছে, তারও 50 শতাংশের মতো রক্তের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে । একথা জানিয়ে অচিন্ত্য লাহা বলেন, " রক্তদাতার সংখ্যা 150-200 জন হয়ে গেলে সমস্যা হত না। নিয়ম-নীতি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছোটো ছোটো সংগঠনকে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করতে দেওয়া উচিত । বিভিন্ন স্থানে ব্লাডব‍্যাঙ্কের গাড়ি পাঠানো উচিত, যাতে ওই গাড়িতে রক্তদান করতে পারেন ডোনাররা । 30 জন করে অন্তত দু'টি যদি শিবিরের আয়োজন করা যেত, তা হলে সমস্যা মিটে যেত ।"

কলকাতা, 9 এপ্রিল: রক্ত দান করছে পুলিশ । অথচ, রক্তের জন্য ব্লাডব‍্যাঙ্কগুলিতে ডোনার নিয়ে যেতে হচ্ছে রোগীর পরিজনদের । রক্তের এমনই সংকট চলছে বলে জানা গিয়েছে । এই সংকট দূর করার জন্য, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আরও বেশি শিবির চালু করা উচিত বলে মনে করছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ।

রক্তের সংকট দূর করার জন‍্য কলকাতা সহ রাজ‍্যজুড়ে পুলিশের রক্তদানের কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । রক্তের যতটা সংকট চলছে, সেই তুলনায় কত রক্ত সংগৃহীত হচ্ছে ? অভিযোগ উঠছে, রক্তের ক্ষেত্রেও প্রকৃত তথ্য চেপে রাখা হচ্ছে, " কোরোনার ক্ষেত্রেও যা, রক্তের ক্ষেত্রেও তা ।" 41 বছর ধরে রক্তদান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন উত্তর কলকাতার স্বেচ্ছাসেবী এক সংগঠনের সেক্রেটারি ডি আশিস । তিনি বলেন, " গ্রীষ্মকাল, নির্বাচন, শারদোৎসব, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে রক্তের সংকট দেখেছি । তবে, গত 41 বছরের মধ‍্যে এই রকম রক্তের বিপর্যয় দেখতে হয়নি ।"

রক্তদান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, রক্তদান শিবির করা যাবে বলে প্রথমে জানানো হয়েছিল । তবে পুলিশ বলল, জমায়েত চলবে না । তাই শিবিরের আয়োজন করা যাচ্ছে না । এদিকে, প্রতি শনিবার কলকাতা পুলিশের নিজস্ব রক্তদান শিবিরও বন্ধ করে দেওয়া হল । পাড়ায়-পাড়ায় রক্তদান শিবির আয়োজনের জন্য চেষ্টা যাঁরা করছেন, তাঁদেরকে জানানো হল, রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা যাবে না । যদিও, এর পরে স্বাস্থ্য দপ্তরের এক সার্কুলারে জানানো হয়, শিবিরের আয়োজন করা যাবে । তবে, এই ধরনের শিবিরে 30 জনের বেশি রক্তদান করতে পারবেন না । শিবির আয়োজনের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলা হল । গাইডলাইনও দেওয়া হল । অথচ, এই শিবিরের আয়োজন করা যাচ্ছে না । কারণ, গত 1 এপ্রিল থেকে কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে রক্তদান শিবিরের আয়োজন পুলিশ করবে বলে জানিয়েছেন মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় । কোনও রাজনৈতিক দল, ক্লাব, সংগঠন রক্তদান শিবিরের আয়োজন করতে পারবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি ।

D আশিস বলেন, "এরাজ‍্যে প্রতি বছর 15 লাখ ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয়‌ । প্রতি বছর 13 লাখ ইউনিটের মতো রক্ত সংগৃহীত হয় । এই হিসাবে প্রতি মাসে 1 লাখ থেকে সওয়া 1 লাখ ইউনিট রক্তের প্রয়োজন অর্থাৎ, প্রতিদিন 4 থেকে 5 হাজার ইউনিট রক্তের প্রয়োজন । আমার প্রশ্ন, কলকাতা এবং রাজ্য পুলিশ যে রক্তদান শিবির করছে, এই শিবিরগুলি থেকে প্রতিদিন 4 থেকে 5 হাজার ইউনিট রক্ত জোগাড় করা কি সম্ভব হচ্ছে ?" তিনি আরও বলেন, " ব্লাডব‍্যাঙ্কগুলিতে রক্ত না পেয়ে আমাদের সঙ্গে বহু মানুষ যোগাযোগ করছেন । ব্লাডব‍্যাঙ্ক থেকে তাঁদের বলা হচ্ছে রক্ত দিয়ে, রক্ত নিন । অর্থাৎ, রক্ত নিতে হলে ডোনার নিয়ে যেতে হবে ।"

D আশিস আরও বলেন, " যদি হিসাব পাওয়া যেত, হ্যাঁ, প্রতিদিন আমরা 5 হাজার ইউনিট রক্ত পেয়ে যাচ্ছি, তাহলে আমরা চিন্তামুক্ত থাকতাম । কিন্তু আমরা দেখছি, সরকারি ব্লাডব্যাংক থেকে রক্ত দেওয়ার জন্য ডোনার নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। রক্তের ঘাটতি না থাকলে কেন ডোনার নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হবে । পুলিশকর্মীরা রক্তদান করছেন । এই জন্য সরকারি ব্লাডব‍্যাঙ্কগুলি ক্যাম্প করতে পারছে । তবে, বেসরকারি ব্লাডব‍্যাঙ্কগুলিতে ক্যাম্প করতে পারছে না । বেসরকারি ব্লাডব‍্যাঙ্কগুলিতে অনেকে ডোনার নিয়ে গিয়ে রক্তের ব্যবস্থা করছেন ।"

সারা বছর রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ব্লাডব‍্যাঙ্কগুলিকে মজবুত রাখে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন । এরাজ‍্যে 84টি সরকারি, 34টি বেসরকারি এবং 15টি কেন্দ্রীয় সরকারি ব্লাডব‍্যাংক রয়েছে । কলকাতার সরকারি, বেসরকারি ব্লাডব‍্যাঙ্কগুলিতে অবস্থা এখন কী রকম ? উত্তর কলকাতার স্বেচ্ছাসেবী এই সংঠনের সেক্রেটারি বলেন, " আমরা দেখছি, বিভিন্ন মানুষ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, ব্লাডব‍্যাঙ্কগুলিতে তাঁরা রক্ত পাচ্ছেন না । তাঁদের বলা হচ্ছে, রক্ত দিয়ে রক্ত নিন।" তিনি বলেন, " বিপদের দিনে মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েন, সেই জায়গাটায় খামতি থেকে যাচ্ছে । 30 জনের ব্যবস্থা হবে, এই রকম অনেক শিবির আর করা যায়নি । গোটা রাজ্যের যুব-ছাত্র, যাঁরা রক্তদান করতে চাইছেন, পুলিশের মতো তাঁদের জন্যেও ব্যবস্থা করা যেতে পারে । সোশাল ডিস্ট্যান্স মেনটেন করে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বহু মানুষ রক্তদান করত চাইছেন ।" D আশিস বলেন, " যেভাবে পুলিশের রক্ত নেওয়া হচ্ছে, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির জন্য যদি এভাবে রক্তদানের জন্য সরকারের নির্দেশনামা জারি হয়, তা হলে মনে হয় কিছুটা হলেও রক্তের সংকট কমানো যাবে ।"


কফি হাউস সোশাল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি অচিন্ত্য লাহা বলেন, "জেলাগুলিতে সেভাবে সমস্যা নেই । সমস্যা রয়েছে কলকাতার বিভিন্ন ব্লাডব‍্যাঙ্কে । সরকারি তরফে স্বীকার করা হচ্ছে না সমস্যার কথা । তবে সরকারি ব্লাডব‍্যাঙ্ক থেকে রক্ত সংগ্রহ করতে গেলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগীর পরিজনদের । ডোনার নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে ।" লকডাউনের কারণে বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের সংখ্যা কম থাকার কারণে, রক্তের চাহিদাও কমেছে । তবে, যতটা চাহিদা রয়েছে, তারও 50 শতাংশের মতো রক্তের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে । একথা জানিয়ে অচিন্ত্য লাহা বলেন, " রক্তদাতার সংখ্যা 150-200 জন হয়ে গেলে সমস্যা হত না। নিয়ম-নীতি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছোটো ছোটো সংগঠনকে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করতে দেওয়া উচিত । বিভিন্ন স্থানে ব্লাডব‍্যাঙ্কের গাড়ি পাঠানো উচিত, যাতে ওই গাড়িতে রক্তদান করতে পারেন ডোনাররা । 30 জন করে অন্তত দু'টি যদি শিবিরের আয়োজন করা যেত, তা হলে সমস্যা মিটে যেত ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.