ETV Bharat / state

"লোক দেখানো", শিক্ষক দিবসের সরকারি অনুষ্ঠান বয়কট BGTA-র - Teacher

সর্বভারতীয় ক্রমে বেতন না পাওয়ার প্রতিবাদে শিক্ষক দিবসের সরকারি অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দিল বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (BGTA) ।

শিক্ষক
author img

By

Published : Sep 3, 2019, 5:45 AM IST

কলকাতা, 3 সেপ্টেম্বর : যোগ্যতা অনুসারে সর্বভারতীয় বেতনক্রমে বেতন দেওয়া হচ্ছে না ৷ রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই এখনও পর্যন্ত দূর হয়নি বেতন বৈষম্য ৷ এই অভিযোগে শিক্ষক দিবসে সব সরকারি অনুষ্ঠান বয়কটের পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিল বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (BGTA) ।

গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ, বেতনের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনার শিকার তাঁরা ৷ BGTA-র রাজ্য কমিটির সদস্য রত্নদ্বীপ সামন্ত বলেন, ভারতে দুই ধরনের বেতন স্কেল আছে । একটি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার স্কেল (PGT) ও অন্যটি ট্রেনড গ্র্যাজুয়েট টিচার স্কেল (TGT) । রাজ্যের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক-শিক্ষিকারা সর্বভারতীয় PGT স্কেল অনুসারে বেতন পান । তাঁদের গ্রেড পে 4 হাজার 800 টাকা ৷ পাশাপাশি, শুধু এরাজ্যেই TGT স্কেলের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাস গ্র্যাজুয়েট টিচার স্কেলের অধীনে রাখা হয় ৷ তাদের 4 হাজার 100 টাকা গ্রেড পে দেওয়া হয় ৷ অথচ TGT স্কেল অনুযায়ী তাঁদের গ্রেড পে হওয়া উচিত 4 হাজার 600 টাকা ৷ এই বৈষম্য দূর করতে সংগঠনের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে 16টি মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷ একটি মামলায় বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য জানান, BGTA-র সব দাবি ন্যায্য । অর্থ দপ্তর এবং বেতন কমিশনের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে আলোচনায় বসার নির্দেশ দেওয়া হয় ৷

এরপরও সরকারের তরফে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ BGTA-র ৷ দাবি পূরণের জন্য শুক্রবার একটি সমাবেশ করে তারা ৷ তাদের দাবিকে মান্যতা দেওয়ার জন্য সরকারকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময়সীমা দেওয়া হয় ৷ এরই মধ্যে শিক্ষক দিবসে সব সরকারি অনুষ্ঠান বয়কটের পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে BGTA-র তরফে ৷ সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ধ্রুবপদ ঘোষাল বলেন, "শিক্ষকদের TGT স্কেল প্রদান, সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় সামাজিক সুরক্ষার মতো বিভিন্ন দাবিগুলিকে দিনের পর দিন অগ্রাহ্য করছে সরকার । অথচ শিক্ষক দিবস উপলক্ষে লোক দেখানো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ৷ এর প্রতিবাদে শিক্ষক-শিক্ষিকারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নিজেদের স্কুলের অনুষ্ঠান ছাড়া সব সরকারি অনুষ্ঠান বয়কট করা হবে ।" BGTA-র রাজ্য সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য বলেন, "বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকরা কালো ব্যাজ পরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন । হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বেতন কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে আমরা ফের হাইকোর্টে যাব ৷ আন্দোলনেও নামব ।"

কলকাতা, 3 সেপ্টেম্বর : যোগ্যতা অনুসারে সর্বভারতীয় বেতনক্রমে বেতন দেওয়া হচ্ছে না ৷ রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই এখনও পর্যন্ত দূর হয়নি বেতন বৈষম্য ৷ এই অভিযোগে শিক্ষক দিবসে সব সরকারি অনুষ্ঠান বয়কটের পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিল বৃহত্তর গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (BGTA) ।

গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ, বেতনের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চনার শিকার তাঁরা ৷ BGTA-র রাজ্য কমিটির সদস্য রত্নদ্বীপ সামন্ত বলেন, ভারতে দুই ধরনের বেতন স্কেল আছে । একটি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার স্কেল (PGT) ও অন্যটি ট্রেনড গ্র্যাজুয়েট টিচার স্কেল (TGT) । রাজ্যের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক-শিক্ষিকারা সর্বভারতীয় PGT স্কেল অনুসারে বেতন পান । তাঁদের গ্রেড পে 4 হাজার 800 টাকা ৷ পাশাপাশি, শুধু এরাজ্যেই TGT স্কেলের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাস গ্র্যাজুয়েট টিচার স্কেলের অধীনে রাখা হয় ৷ তাদের 4 হাজার 100 টাকা গ্রেড পে দেওয়া হয় ৷ অথচ TGT স্কেল অনুযায়ী তাঁদের গ্রেড পে হওয়া উচিত 4 হাজার 600 টাকা ৷ এই বৈষম্য দূর করতে সংগঠনের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে 16টি মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷ একটি মামলায় বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য জানান, BGTA-র সব দাবি ন্যায্য । অর্থ দপ্তর এবং বেতন কমিশনের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে আলোচনায় বসার নির্দেশ দেওয়া হয় ৷

এরপরও সরকারের তরফে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ BGTA-র ৷ দাবি পূরণের জন্য শুক্রবার একটি সমাবেশ করে তারা ৷ তাদের দাবিকে মান্যতা দেওয়ার জন্য সরকারকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময়সীমা দেওয়া হয় ৷ এরই মধ্যে শিক্ষক দিবসে সব সরকারি অনুষ্ঠান বয়কটের পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে BGTA-র তরফে ৷ সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ধ্রুবপদ ঘোষাল বলেন, "শিক্ষকদের TGT স্কেল প্রদান, সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় সামাজিক সুরক্ষার মতো বিভিন্ন দাবিগুলিকে দিনের পর দিন অগ্রাহ্য করছে সরকার । অথচ শিক্ষক দিবস উপলক্ষে লোক দেখানো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ৷ এর প্রতিবাদে শিক্ষক-শিক্ষিকারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নিজেদের স্কুলের অনুষ্ঠান ছাড়া সব সরকারি অনুষ্ঠান বয়কট করা হবে ।" BGTA-র রাজ্য সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য বলেন, "বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকরা কালো ব্যাজ পরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন । হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বেতন কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে আমরা ফের হাইকোর্টে যাব ৷ আন্দোলনেও নামব ।"

Intro:কলকাতা, ২ সেপ্টেম্বর: যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সর্বভারতীয় বেতনক্রম মিলছে না। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে বেতন বৈষম্য মেটার আশা দেখলেও সরকারের সদিচ্ছার অভাবে এখনও পর্যন্ত কিছুই হয়নি। এই অভিযোগ তুলে ও ট্রেন্ড গ্র্যাজুয়েট টিচার ক্যাটাগরির (TGT) পে-স্কেলের দাবিতে গত ৩০ অগাস্ট রানী রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে জমায়েত করেছিলেন রাজ্যের হাজার হাজার গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক-শিক্ষিকা। তারপরেও দাবি না মেটায় এবার আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে চলেছে বৃহত্তম গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাঁরা পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে শিক্ষক দিবসে সমস্ত সরকারি অনুষ্ঠান বয়কটের এবং রাজ্যজুড়ে ওইদিন বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন।

Body:
গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের গ্র্যাজুয়েট ক্যাটাগরির শিক্ষক-শিক্ষিকারা দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বেতন বঞ্চনার শিকার। বৃহত্তর গ্রাজুয়েট টিচার অ্যাসোসিয়েশনের (BGTA) রাজ্য কমিটির সদস্য রত্নদ্বীপ সামন্ত এ বিষয়ে জানিয়েছিলেন, সমগ্র ভারতবর্ষে দুই ধরনের স্কেল হয়। একটা পোস্ট গ্রাজুয়েট টিচার স্কেল (PGT) ও একটা ট্রেন্ড গ্রাজুয়েট টিচার স্কেল (TGT)। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে ট্রেন্ড গ্রাজুয়েট টিচার স্কেল হোল্ডার হওয়ার অধিকারী যাঁরা তাঁদের পাস গ্রাজুয়েট টিচার স্কেল বলে বলা হয়। এই ভাবেই তাঁদের সঙ্গে বেতনের একটা বৈষম্য বা বঞ্চনা দীর্ঘ ২০ বছর ধরে চলে আসছে। এঁরা হচ্ছেন ক্লাস ফাইভ থেকে টেন পর্যন্ত টিচার। এই মর্মে হাইকোর্টের ১৬টা মামলাও করা হয় BGTA-র পক্ষ থেকে। তাতে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য ২২ জুলাই রায় দিয়েছিলেন, এই সংগঠনের করা দাবিগুলি সমস্ত ন্যায্য। তিনি রায় দেন, অর্থ দপ্তর এবং পে কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন যে, এদের বঞ্চনাটা যাতে পে কমিশনের আগেই মেটানো হয়।

রত্নদ্বীপ সামন্ত জানান, রাজ্যের পোস্ট গ্রাজুয়েট টিচাররা সর্বভারতীয় PGT বেতনক্রম পান। PGT স্কেলের গ্রেড-পে সর্বভারতীয়স্তরে ৪৮০০ টাকা। সর্বভারতীয় স্তরে ট্রেন্ড গ্যাজুয়েট টিচারদের (TGT) স্কেল অনুযায়ী তাঁদের গ্রেড-পে হওয়া উচিত ৪৬০০ টাকা। অথচ, তাঁদের পাশ গ্রাজুয়েট টিচার তকমা দিয়ে গ্রেড-পে দেওয়া হয় ৪১০০ টাকা। যদিও পাস গ্রাজুয়েট টিচার স্কেল বলে সর্বভারতীয় স্তরে কোনো স্কেল নেই বলেই জানাচ্ছেন রত্নদ্বীপ সামন্ত। এভাবেই দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে তাঁরা তাঁদের যোগ্যতা অনুযায়ী প্রাপ্য বেতনক্রম থেকে বঞ্চিত। ৩০ অগাস্টের সমাবেশ থেকে তাঁরা ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারকে তাঁদের দাবিকে মান্যতা দেওয়ার জন্য সময় দিয়েছিলেন। তারমধ্যেই এবার তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, শিক্ষক দিবস উপলক্ষে সরকারি কোনও অনুষ্ঠানে তাঁরা অংশগ্রহণ করবেন না।

এ বিষয়ে BGTA-এর রাজ্য সভাপতি ধ্রুবপদ ঘোষাল বলেন, "শিক্ষকদের TGT স্কেল প্রদান, সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় সামাজিক সুরক্ষার বিভিন্ন দাবি যেমন, প্রোমোশন, আর্নড লিভ, হেল্থ স্কিম প্রভৃতিকে দিনের পর সরকার অগ্রাহ্য করছে। অথচ, শিক্ষক দিবস উপলক্ষে লোক দেখানো শিক্ষকদের সন্মান জানানোর আয়োজন হচ্ছে। এর প্রতিবাদে শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান ব্যতিরেকে সমস্ত সরকারি অনুষ্ঠান বয়কট করবেন।" BGTA-র রাজ্য সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য বলেন, "ওইদিন সারা রাজ্য জুড়ে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকরা কালোব্যাজ পরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পে-কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে পুনরায় আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হব এবং গণ আন্দোলন সংঘঠিত করব।"

Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.