কলকাতা , 25 অক্টোবর : অষ্টমীতে অঞ্জলি দিয়ে আদালত অবমাননার দায়ে পড়তে পারেন সৃজিত-মিথিলা, নুসরত-নিখিল ও মহুয়া মৈত্র । তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিস পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্রোপাধ্যায় ।
গতকাল সুরুচি সংঘের পুজোমণ্ডপে ঢুকে অঞ্জলি দিয়েছিলেন সৃজিত, মিথিলা, নুসরত ও নিখিল । এদিকে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক পুজো মণ্ডপে প্রবেশ করতে দেখা যায় তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রকে । তাঁর বিরুদ্ধেও নোটিস পাঠানো হবে বলে জানা গেছে ।
19 অক্টোবর একটি জনস্বার্থ মামলায় রায় দিতে গিয়ে পুজো মণ্ডপগুলিকে নো-এন্ট্রি জ়োন ঘোষণার কথা করেছিল হাইকোর্ট । এরপর 20 অক্টোবর সেই নির্দেশই বহাল রাখে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ । শুধুমাত্র নির্দেশে কিছু পরিবর্তন আনা হয় । রায়ে বলা হয়েছিল, পুজা উদ্যোক্তাদের কয়েকজন ছাড়া মণ্ডপে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না । সেক্ষেত্রেও ছোটো ও বড় মণ্ডপের ক্ষেত্রে সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু গতকাল অষ্টমীর সকালে সুরুচি সংঘে ঢুকে অঞ্জলি দিতে দেখা যায় পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী মিথালা রসিদ এবং তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান ও তাঁর স্বামী নিখিল জৈনকে । এমনকী নুসরত জাহানকে ঢাক বাজাতেও ।
যদিও নুসরত ও সৃজিত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁরা সুরুচি সংঘের সদস্য । কিন্তু নিখিল জৈন এবং মিথিলা রসিদ ওই ক্লাবের সদস্য কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে । এদিকে অষ্টমীর সকাল থেকে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক পুজো মণ্ডপে দেখা গেছে বলে খবর ।
যে জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট "নো এন্ট্রি জ়োন"-এর নির্দেশ দিয়েছিল, লক্ষ্মীপুজোর পর ফের তার শুনানি রয়েছে । সেদিন আদালতের নির্দেশ যথাযথ পালন করা হয়েছে কি না সেই মর্মে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে রাজ্য পুলিশের DG ও কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে ।