কলকাতা, 29 অক্টোবর: আগামী 5 নভেম্বর পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের (Eastern Zonal Security Council) বৈঠক বাতিল হয়ে গিয়েছে ৷ ফলে আপাতত রাজ্য সফরে আসছেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ৷ নবান্ন সূত্রে এই খবর জানা গেলেও ঠিক কী কারণে অমিত শাহের এই সফর বাতিল করা হল, তা সরকারিভাবে জানানো হয়নি ৷
আসলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর এই সফরকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে আলোচনার একটি ক্ষেত্র তৈরি হয়েছিল ৷ বিশেষ করে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে নবান্ন সভাঘরের এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছিল রাজনৈতিক মহল ৷ তবে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে শনিবার নবান্নকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আপাতত এই বৈঠক হচ্ছে না ৷ পরে কবে আবার এই বৈঠক হবে, তা রাজ্যকে জানিয়ে দেওয়া হবে ৷
আরও পড়ুন: 5 নভেম্বর নবান্নে মমতার 'শাহি' বৈঠকে সিলমোহর
অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের খবর, আগামী 5 নভেম্বর দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক থাকায় রাজ্যে আসতে পারবেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ৷ তবে, আপাতত পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক বাতিল হলেও পরে এই বৈঠক হবে ৷ কিন্তু, সেই বৈঠকের দিনক্ষণ এখনও নির্ধারিত হয়নি ৷
প্রসঙ্গত, বাংলা, বিহার, ওডিশা ও ঝাড়খণ্ড ৷ এই চারটি রাজ্য পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য ৷ এই পরিষদের চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ এবং ভাইস চেয়ারম্যান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আগামী 5 নভেম্বর নবান্নের সভাঘরে এই পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ৷ প্রথা মাফিক, এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের ৷ বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা ছিল সংশ্লিষ্ট চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরও ৷ ফলে রাজ্যে অমিত শাহ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি বৈঠকের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, আপাতত তা আর হচ্ছে না ৷
প্রসঙ্গত, এর আগে হরিয়ানায় বিভিন্ন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীদের নিয়ে আয়োজিত চিন্তন শিবিরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল ৷ কিন্তু, সেই চিন্তন শিবিরে রাজ্যের তরফে মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেননি। তাঁর বদলে পাঠানো হয়েছিল এডিজি হোমগার্ডকে ৷ রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল, উত্সবের মরশুমে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের রাজ্যে থাকা প্রয়োজন ৷ তারপরই এই বৈঠক পিছিয়ে যাওয়ায় ফের রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা পিছিয়ে গেল ৷