কলকাতা, 13 মার্চ: রাজ্য বিধানসভায় সোমবারই কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার নিয়ে প্রস্তাব পাশ করেছে রাজ্য বিধানসভা। ঠিক সেই দিনই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে । যতদূর জানা যাচ্ছে, জাতীয় ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অপব্যবহার নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিরোধী নেতা-নেত্রীরা যেভাবে এক ছাতার তলায় আসতে শুরু করেছেন তা নিয়েই মূলত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে অখিলেশের (Akhilesh Yadav May be Meeting with Mamata Banerjee) ।
এখনও পর্যন্ত যে সূচি পাওয়া গিয়েছে তাতে আগামী শুক্রবার রাজ্যের এক পাঁচতারা হোটেলে সমাজবাদী পার্টির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকের মাঝেই মমতা এবং অখিলেশ মুখোমুখি হতে পারেন বলে খবর। এদিকে একই দিনে দলের বর্ধিত ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকেছেন মমতাও। দুই দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের মাঝে শেষ পর্যন্ত মমতা ও অখিলেশ মুখোমুখি হলে, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে আট দলের নয় বিরোধী নেতা-নেত্রী মিলে ইডি, সিবিআই-সহ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সীগুলির অপব্যবহার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন।
এই চিঠিতে সই করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবও। এছাড়া ছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কে চন্দ্রশেখর রাও, শরদ পাওয়ার, তেজস্বী যাদব, উদ্ধব ঠাকরে, ফারুক আবদুল্লার মত নেতারা। একমাত্র বিরোধী শিবিরের থেকে বাম কংগ্রেস এবং ডিএমকে কোনও নেতা চিঠিতে সই করেননি। আর সেখান থেকেই ভাবনা শুরু হয়েছে কংগ্রেসকে বাইরে রেখে বৃহত্তম বিরোধী শক্তিগুলিকে এক জায়গায় করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই বৈঠকে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে।
আরও পড়ুন: 2024-এর ভোটে উত্তরপ্রদেশে সবকটি আসনেই হারতে পারে বিজেপি, দাবি অখিলেশের
সম্প্রতি অখিলেশ যাদব ইঙ্গিত দিয়েছেন, 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের 80টি লোকসভা কেন্দ্র থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে সমাজবাদী পার্টি। বাদ দেওয়া হবে না-আমেঠি ও রায়বরেলি। এই পরিস্থিতিতে মমতা–অখিলেশ বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে অখিলেশ যাদব এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক আগামিদিনে জাতীয় ক্ষেত্রে নতুন কোনও দিশা নিয়ে আসবে কি না, সেটাই দেখার।