ETV Bharat / state

Student Strike in West Bengal: 'রাজ্যের চক্রান্তে' বন্ধ হওয়ার মুখে হাজার হাজার সরকারি স্কুল ! প্রতিবাদে ছাত্র ধর্মঘট ডিএসওর

রাজ্য়ের অন্তত 8 হাজার 207টি সরকারি স্কুল বন্ধ হওয়ার মুখে ! এর জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করছে বাম ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলি ৷ প্রতিবাদে আগামী 10 মার্চ রাজ্যজুড়ে ছাত্র ধর্মঘটের (Student Strike in West Bengal) ডাক দিল ডিএসও ৷

AIDSO called a Student Strike in West Bengal on 10th March 2023
প্রতীকী ছবি
author img

By

Published : Mar 2, 2023, 1:28 PM IST

কলকাতা, 2 মার্চ: কলকাতা-সহ রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই অসংখ্য সরকারি স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে ! সব মিলিয়ে রাজ্য়ের অন্তত 8 হাজার 207টি স্কুল এই তালিকায় রয়েছে বলে অভিযোগ ! এরই প্রতিবাদে এবার আন্দোলনে নামছে ডিএসও ৷ আগামী 10 মার্চ, শুক্রবার রাজ্যজুড়ে ছাত্র ধর্মঘট (Student Strike in West Bengal) পালন করবে তারা ৷ সেই কর্মসূচির মঞ্চ থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুলের শূন্যপদগুলিতে দুর্নীতিমুক্তভাবে শিক্ষক নিয়োগ, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন ও জাতীয় শিক্ষানীতি 2020 বাতিলের দাবি জানানো হবে ৷ ডিএসওর এই কর্মসূচিতে সায় রয়েছে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়েরও ৷

এসএফআইয়ের পশ্চিমবঙ্গ শাখার অভিযোগ, কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতি এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিজস্ব পিপিপি মডেলের জোড়া খাঁড়ায় এবছর রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্য়া কমেছে 4 লক্ষেরও বেশি ৷ 2022 সালে যেখানে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল 10 লক্ষ 98 হাজার 775, এবার সেই সংখ্য়াটিই কমে হয় 6 লক্ষ 98 হাজার 928 ৷ শিক্ষায় বেসরকারি পুঁজির অবাধ প্রবেশের রাস্তা প্রশস্থ করতে এবং কোভিডকালে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে দাবি বাম ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলির ৷ তাদের মতে, সরকারের ব্যর্থতা ও চক্রান্তেই সরকারি স্কুলে ড্রপ আউটের সংখ্যা বাড়ছে ৷ স্কুলছাড়াদের স্কুলে ফেরাতে কোনও উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ৷ যার ফলে 8 হাজার 207টি স্কুল বন্ধ হওয়ার মুখে !

আরও পড়ুন: পড়ুয়া পাঁচ, শিক্ষক দুই ! চলছে সরকারি প্রাথমিক স্কুল

এআইডিএসওর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় এই প্রসঙ্গে বলেন, "রাজ্যের 8 হাজার 207টি স্কুলের যে ভয়াবহ চিত্র সামনে এসেছে, তা পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক-সহ যেকোনও শিক্ষাপ্রেমী মানুষের কাছেই উদ্বেগের ৷ শিক্ষা দফতরের স্কুল পর্যবেক্ষণের রিপোর্ট অনুযায়ী, 30 জনেরও কম ছাত্রছাত্রী নিয়ে চলছে, রাজ্যে এমন স্কুলের সংখ্যা কলকাতা-সহ প্রতিটি জেলাতেই কয়েকশো করে ! এমনকী, দু'জন, তিনজন ছাত্রছাত্রী রয়েছে, এমন স্কুলের সংখ্যাও নেহাত কম নয় ! সরকারি স্কুলগুলির এই পরিস্থিতির দায় সরকার কোনওভাবেই এড়াতে পারে না ৷ সরকারি স্কুলে পড়ুয়াসংখ্যা কমে যাওয়া কোনও আকস্মিক ঘটনা নয় ৷"

ডিএসওর আরও অভিযোগ, রাজ্য়ের তৃণমূল সরকার এখনও পর্যন্ত এই সমস্যা মেটাতে কোনও সদর্থক উদ্যোগ নেয়নি ৷ উলটে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ-ফেল তুলে দিয়ে স্কুলশিক্ষাকে পুরোপুরি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে দিয়েছে ৷ প্রত্যেক বছর স্কুলে পড়াশোনার 'ফি' বাড়ানো হচ্ছে ৷ ফলে দরিদ্র পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছে না ৷ কোভিড পরিস্থিতিতে এই চিত্র আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে ৷ সাধারণ পরিবারগুলির রোজগারের পথ যখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তখনও রাজ্য সরকার শিক্ষার 'ফি' মকুব করার পথে হাঁটেনি ৷ এসবের প্রতিবাদেই আগামী 10 মার্চ ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে ৷

কলকাতা, 2 মার্চ: কলকাতা-সহ রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই অসংখ্য সরকারি স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে ! সব মিলিয়ে রাজ্য়ের অন্তত 8 হাজার 207টি স্কুল এই তালিকায় রয়েছে বলে অভিযোগ ! এরই প্রতিবাদে এবার আন্দোলনে নামছে ডিএসও ৷ আগামী 10 মার্চ, শুক্রবার রাজ্যজুড়ে ছাত্র ধর্মঘট (Student Strike in West Bengal) পালন করবে তারা ৷ সেই কর্মসূচির মঞ্চ থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুলের শূন্যপদগুলিতে দুর্নীতিমুক্তভাবে শিক্ষক নিয়োগ, সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন ও জাতীয় শিক্ষানীতি 2020 বাতিলের দাবি জানানো হবে ৷ ডিএসওর এই কর্মসূচিতে সায় রয়েছে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়েরও ৷

এসএফআইয়ের পশ্চিমবঙ্গ শাখার অভিযোগ, কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতি এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিজস্ব পিপিপি মডেলের জোড়া খাঁড়ায় এবছর রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্য়া কমেছে 4 লক্ষেরও বেশি ৷ 2022 সালে যেখানে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল 10 লক্ষ 98 হাজার 775, এবার সেই সংখ্য়াটিই কমে হয় 6 লক্ষ 98 হাজার 928 ৷ শিক্ষায় বেসরকারি পুঁজির অবাধ প্রবেশের রাস্তা প্রশস্থ করতে এবং কোভিডকালে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে দাবি বাম ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলির ৷ তাদের মতে, সরকারের ব্যর্থতা ও চক্রান্তেই সরকারি স্কুলে ড্রপ আউটের সংখ্যা বাড়ছে ৷ স্কুলছাড়াদের স্কুলে ফেরাতে কোনও উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ৷ যার ফলে 8 হাজার 207টি স্কুল বন্ধ হওয়ার মুখে !

আরও পড়ুন: পড়ুয়া পাঁচ, শিক্ষক দুই ! চলছে সরকারি প্রাথমিক স্কুল

এআইডিএসওর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় এই প্রসঙ্গে বলেন, "রাজ্যের 8 হাজার 207টি স্কুলের যে ভয়াবহ চিত্র সামনে এসেছে, তা পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক-সহ যেকোনও শিক্ষাপ্রেমী মানুষের কাছেই উদ্বেগের ৷ শিক্ষা দফতরের স্কুল পর্যবেক্ষণের রিপোর্ট অনুযায়ী, 30 জনেরও কম ছাত্রছাত্রী নিয়ে চলছে, রাজ্যে এমন স্কুলের সংখ্যা কলকাতা-সহ প্রতিটি জেলাতেই কয়েকশো করে ! এমনকী, দু'জন, তিনজন ছাত্রছাত্রী রয়েছে, এমন স্কুলের সংখ্যাও নেহাত কম নয় ! সরকারি স্কুলগুলির এই পরিস্থিতির দায় সরকার কোনওভাবেই এড়াতে পারে না ৷ সরকারি স্কুলে পড়ুয়াসংখ্যা কমে যাওয়া কোনও আকস্মিক ঘটনা নয় ৷"

ডিএসওর আরও অভিযোগ, রাজ্য়ের তৃণমূল সরকার এখনও পর্যন্ত এই সমস্যা মেটাতে কোনও সদর্থক উদ্যোগ নেয়নি ৷ উলটে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ-ফেল তুলে দিয়ে স্কুলশিক্ষাকে পুরোপুরি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে দিয়েছে ৷ প্রত্যেক বছর স্কুলে পড়াশোনার 'ফি' বাড়ানো হচ্ছে ৷ ফলে দরিদ্র পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছে না ৷ কোভিড পরিস্থিতিতে এই চিত্র আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে ৷ সাধারণ পরিবারগুলির রোজগারের পথ যখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তখনও রাজ্য সরকার শিক্ষার 'ফি' মকুব করার পথে হাঁটেনি ৷ এসবের প্রতিবাদেই আগামী 10 মার্চ ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.