ETV Bharat / state

32 বছর পর অপরাধ মুক্ত সামসুর ! - অত্যাবশ্যক পণ্য আইনানুয়ায়ী

32 বছর পরে মুর্শিদাবাদের সামসুর হক ন্যায়বিচার পেলেন ৷ কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া একটি মামলায় গতকাল তাঁকে বেকসুর খালাস করা হয় ৷ মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার আন্ধিবাজারে সামসুর হকের দোকান ছিল । অত্যাবশ্যক পণ্য আইনানুয়ায়ী একজন ব্যক্তি 10 কুইন্টালের বেশি ডাল রাখতে পারতেন না । কিন্তু সামসুরের দোকান থেকে 17 কুইন্টাল ডাল উদ্ধার করেছিল কর্তৃপক্ষ । তারপর শুরু হয় মামলা ৷

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Aug 9, 2019, 5:10 AM IST

কলকাতা, 9 অগাস্ট : 32 বছর পর মুর্শিদাবাদের সামসুর হক ন্যায়বিচার পেলেন আদালতে । কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া একটি মামলায় গতকাল তাঁকে বেকসুর খালাস করেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ।

মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার আন্ধিবাজারে সামসুর হকের দোকান ছিল । অত্যাবশ্যক পণ্য আইনানুয়ায়ী একজন ব্যক্তি 10 কুইন্টালের বেশি ডাল রাখতে পারতেন না । কিন্তু সামসুরের দোকান থেকে 17 কুইন্টাল ডাল উদ্ধার করেছিল কর্তৃপক্ষ । ঘটনাটি ঘটে 1987 সালে । এরপর টানা 2 বছর অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের আওতায় বিশেষ আদালতে তাঁর বিচার চলে । শাস্তি হয় 4 মাস জেল । আটদিন জেল খাটার পর সামসুর কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন । উচ্চ আদালত তাঁর জামিন দেয় । কিন্তু, সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি । হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে পড়েছিল মামলাটি । অবশেষে গতকাল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সামসুরকে বেকসুর খালাস করেন ।

সামসুর হকের আইনজীবী মৃত্যুঞ্জয় চ্যাটার্জি বলেন, "অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের বিশেষ ধারায় সামসুর হকের যখন সাজা হয় তখন তাঁর বয়স ছিল 30 বছর । আজকে যখন তিনি এই মামলার হাত থেকে মুক্তি পেলেন তখন বয়স 62 বছর । 1989 সালে হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন । 2019 সালে সেই মামলার নিষ্পত্তি হল । অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনানুয়ায়ী ১০ কুইন্টাল ডাল রাখতে পারতেন একজন দোকানি । কিন্তু উনি 17 কুইন্টাল রেখেছিলেন । তার মধ্যে 6 কুইন্টাল ছিল খেসাড়ির ডাল । যা পশুর জন্য রাখা হয়েছিল । পাশাপাশি কর্তৃপক্ষ সঠিক সিজ়ার লিস্ট ও দেখাতে পারেনি । এবং তাদের ওজন যন্ত্রেরও ত্রুটি ছিল বলে পর্যবেক্ষণ করেছে কোর্ট । গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, 32 বছর পর প্রমাণ হল সামসুর হক অপরাধী নন ।"

কলকাতা, 9 অগাস্ট : 32 বছর পর মুর্শিদাবাদের সামসুর হক ন্যায়বিচার পেলেন আদালতে । কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া একটি মামলায় গতকাল তাঁকে বেকসুর খালাস করেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ।

মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার আন্ধিবাজারে সামসুর হকের দোকান ছিল । অত্যাবশ্যক পণ্য আইনানুয়ায়ী একজন ব্যক্তি 10 কুইন্টালের বেশি ডাল রাখতে পারতেন না । কিন্তু সামসুরের দোকান থেকে 17 কুইন্টাল ডাল উদ্ধার করেছিল কর্তৃপক্ষ । ঘটনাটি ঘটে 1987 সালে । এরপর টানা 2 বছর অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের আওতায় বিশেষ আদালতে তাঁর বিচার চলে । শাস্তি হয় 4 মাস জেল । আটদিন জেল খাটার পর সামসুর কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন । উচ্চ আদালত তাঁর জামিন দেয় । কিন্তু, সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি । হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে পড়েছিল মামলাটি । অবশেষে গতকাল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সামসুরকে বেকসুর খালাস করেন ।

সামসুর হকের আইনজীবী মৃত্যুঞ্জয় চ্যাটার্জি বলেন, "অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের বিশেষ ধারায় সামসুর হকের যখন সাজা হয় তখন তাঁর বয়স ছিল 30 বছর । আজকে যখন তিনি এই মামলার হাত থেকে মুক্তি পেলেন তখন বয়স 62 বছর । 1989 সালে হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন । 2019 সালে সেই মামলার নিষ্পত্তি হল । অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনানুয়ায়ী ১০ কুইন্টাল ডাল রাখতে পারতেন একজন দোকানি । কিন্তু উনি 17 কুইন্টাল রেখেছিলেন । তার মধ্যে 6 কুইন্টাল ছিল খেসাড়ির ডাল । যা পশুর জন্য রাখা হয়েছিল । পাশাপাশি কর্তৃপক্ষ সঠিক সিজ়ার লিস্ট ও দেখাতে পারেনি । এবং তাদের ওজন যন্ত্রেরও ত্রুটি ছিল বলে পর্যবেক্ষণ করেছে কোর্ট । গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, 32 বছর পর প্রমাণ হল সামসুর হক অপরাধী নন ।"

Intro:৩২ বছর হাইকোর্ট মুক্তি দিল শামসুর হককে Body:
মানস নস্কর---

৩২ বছর পর হাইকোর্ট মুক্তিদিল শামসুর হককে

কলকাতা ৮ অগাস্ট ঃ
৩২ বছর পরে মুর্শিদাবাদের শামসুর হক ন্যায়বিচার পেলেন আদালতে। কলকাতা হাইকোর্ট ১৯৮৯ সালে দায়ের হওয়া একটি মামলায় আজ তাকে বেকসুর খালাস করে দিল।বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এই নির্দেশ দিয়েছেন।


মুরশিদাবাদের বড়ঞা থানার আন্ধি বাজারে শামসুর হকের দোকান ছিল। অত্যাবশ্যক পন্য আইন অনুয়ায়ী একজন ব্যাক্তি ১০ কুইন্টানের বেশি ডাল রাখতে পারতো না।কিন্ত সামসুর হকের দোকান থেকে ১৭ কুইন্টান ডাল উদ্ধার করেছিল কতৃপক্ষ। ঘটনাটি ঘটে ১৯৮৭ সালে । এরপর ১৯৮৭ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত অত্যাবশকীয় পন্য আইনের আওতায় বিশেষ আদালতে তার বিচার চলে।এবং বিচারে তার শান্তি হয় ৪ মাস জেল। কিন্ত সাত আটদিন জেল খাটার পরই শামসুর হক কলকাতা হাইকোর্টে আপিল করেন।হাইকোর্ট সঙ্গে সঙ্গে তাকে জামিন দিয়ে দেয়।কিন্ত সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি।হাইকোর্টের সিংগল বেঞ্চে এতদিন ধরে পড়েছিল মামলাটি।অবশেষে আজ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ঐ মামলায় বেকসুর খালাস করলো তাকে।
এই ব্যাপারে শামসুর হকের আইনজীবী মৃত্যঞ্জয় চ্যাটার্জি বলেন,"অত্যাবশকীয় পন্য আইনের বিশেষ ধারায় সামসুর হকের যখন সাজা হয় তখন তার বয়স ছিল ৩০ বছর। আজকে যখন তিনি এই মামলার হাতথেকে মুক্তি পেলেন তখন তার বয়স ৬২ বছর।১৯৮৯ সালে উনি হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন ২০১৯ সালে সেই মামলার নিষ্পত্তি হলো।অত্যাবশকীয় পন্য আইন অনুয়ায়ী ১০ কুইন্টান ডাল রাখতে পারতো একজন দোকানি কিন্ত উনি ১৭ কুইন্টান রেখেছিলেন। তার মধ্যে ৬ কুইন্টান ছিল খ্যাসারির ডাল যা মানুষের জন্য নয়, পশুর জন্য রাখা হয়েছিল। পাশাপাশি কতৃপক্ষ সঠিক সিজার লিস্ট ও দেখাতে পারেননি।এবং তাদের ওজন যন্ত্রেরও ত্রুটি ছিল বলে পর্জবেক্ষন করেছে কোর্ট। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ৩২ বছর পরে তিনি নিরপরাধী প্রমানিত হলেন।"Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.