কলকাতা, 9 অগাস্ট : 32 বছর পর মুর্শিদাবাদের সামসুর হক ন্যায়বিচার পেলেন আদালতে । কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া একটি মামলায় গতকাল তাঁকে বেকসুর খালাস করেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ।
মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার আন্ধিবাজারে সামসুর হকের দোকান ছিল । অত্যাবশ্যক পণ্য আইনানুয়ায়ী একজন ব্যক্তি 10 কুইন্টালের বেশি ডাল রাখতে পারতেন না । কিন্তু সামসুরের দোকান থেকে 17 কুইন্টাল ডাল উদ্ধার করেছিল কর্তৃপক্ষ । ঘটনাটি ঘটে 1987 সালে । এরপর টানা 2 বছর অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের আওতায় বিশেষ আদালতে তাঁর বিচার চলে । শাস্তি হয় 4 মাস জেল । আটদিন জেল খাটার পর সামসুর কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন । উচ্চ আদালত তাঁর জামিন দেয় । কিন্তু, সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি । হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে পড়েছিল মামলাটি । অবশেষে গতকাল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সামসুরকে বেকসুর খালাস করেন ।
সামসুর হকের আইনজীবী মৃত্যুঞ্জয় চ্যাটার্জি বলেন, "অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনের বিশেষ ধারায় সামসুর হকের যখন সাজা হয় তখন তাঁর বয়স ছিল 30 বছর । আজকে যখন তিনি এই মামলার হাত থেকে মুক্তি পেলেন তখন বয়স 62 বছর । 1989 সালে হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন । 2019 সালে সেই মামলার নিষ্পত্তি হল । অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইনানুয়ায়ী ১০ কুইন্টাল ডাল রাখতে পারতেন একজন দোকানি । কিন্তু উনি 17 কুইন্টাল রেখেছিলেন । তার মধ্যে 6 কুইন্টাল ছিল খেসাড়ির ডাল । যা পশুর জন্য রাখা হয়েছিল । পাশাপাশি কর্তৃপক্ষ সঠিক সিজ়ার লিস্ট ও দেখাতে পারেনি । এবং তাদের ওজন যন্ত্রেরও ত্রুটি ছিল বলে পর্যবেক্ষণ করেছে কোর্ট । গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, 32 বছর পর প্রমাণ হল সামসুর হক অপরাধী নন ।"