কলকাতা, 28 মে : ভরতি নিয়ে জট কাটাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের সব বিষয়েই চালু করা হল প্রবেশিকা পরীক্ষা । আগে কলা বিভাগের কেবল ছ'টি বিষয়ে নেওয়া হত প্রবেশিকা পরীক্ষা । তবে এবছর থেকে কলা বিভাগের প্রতিটি বিষয়েই প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হবে । প্রবেশিকা পরীক্ষার 50 শতাংশ ও বোর্ড পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের 50 শতাংশের ভিত্তিতে পড়ুয়াদের ভরতি নেওয়া হবে । 21 মে কলা বিভাগের অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল । সেই সিদ্ধান্তে আজ সিলমোহর দিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজ়িকিউটিভ কমিটি ।
গত বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । তারপরই প্রবেশিকা পরীক্ষা স্থগিত করা হয় । পরে এগজ়িকিউটিভ কমিটির বৈঠকে প্রবেশিকা পরীক্ষা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রথমে আন্দোলন ও পরে অনশন করে বাম ছাত্র সংগঠনগুলি । প্রতিবাদ জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ । এরপর সিদ্ধান্ত হয় কলা বিভাগের ছ'টি বিষয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হবে । প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের 50 শতাংশ ও বোর্ড পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের 50 শতাংশের ভিত্তিতে ভর্তি নেওয়া হবে । ছয়টি বিষয় ছিল বাংলা, ইংরেজি, তুলনামূলক সাহিত্য, দর্শনশাস্ত্র, ইতিহাস ও ভূগোল ।
গত বছর প্রবেশিকা নিয়ে জট কাটলেও এবছর ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হতেই আবার জট বাধে । ইংরেজি ও তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগ সিদ্ধান্ত নেয় শুধু প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই ভরতি নেবে তারা । তাদের সিদ্ধান্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আগের এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক থেকে পুনর্বিবেচনার জন্য আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয় অ্যাডমিশন কমিটিতে । 21 মে হয় অ্যাডমিশন কমিটির বৈঠক । ওই দিন শুধু এই দু'টি বিষয় নয়, কলা বিভাগের প্রতিটি বিষয়ের ক্ষেত্রেই ভর্তির জন্য একই নিয়ম চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । সিদ্ধান্ত হয় কলা বিভাগের প্রতিটি বিষয়েই প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হবে । প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের 50 শতাংশ ও বোর্ড পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের 50 শতাংশের ভিত্তিতে ভর্তি নেওয়া হবে । আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজ়িকিউটিভ কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত পাশ হয়।
এবিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ আর্টস চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, "আজ আমাদের এগজ়িকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে ভর্তি হবে 50:50 ফর্মুলায় । মানে উচ্চমাধ্যমিকের 50 শতাংশ নম্বর আর অ্যাডমিশন টেস্টের ৫০ শতাংশ নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি নেওয়া হবে । সব ক'টা ডিপার্টমেন্টই প্রবেশিকা পরীক্ষা নেবে ।" 30 মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে অ্যাডমিশন ফর্ম ও ব্রোশিওর দেওয়া হবে। বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি নেওয়া হবে উচ্চমাধ্যমিক বা তার সমতুল পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ।