কলকাতা, 4 জুলাই : করাতে হবে টিউমারের অস্ত্রোপচার৷ কিন্তু তার আগে রুটিন মাফিক COVID-19 টেস্ট করাতে হবে । সেই মত বেসরকারি একটি ল্যাবরেটারিতে নিজের সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা করায় ওই যুবতি ৷ নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট থেকে জানা যায় ওই যুবতি কোরোনা পজ়িটিভ ৷ তারপরই তাঁকে ভরতি করানো হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ৷ অথচ যখন হাসপতালে ফের ওই যুবতির কোরোনা পরীক্ষা করা হয় তখন রিপোর্ট আসে নেগেটিভ ৷ এর পরই ওই যুবতিকে ছুটি দেওয়া হয় হাসপাতাল থেকে ৷
যেহেতু ওই যুবতিকে COVID-19 রোগীদের ওয়ার্ডে ভরতি রাখা হয়েছিল, সেক্ষেত্রে কোরোনা সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় । যার জেরে বর্তমানে ও যুবতিকে হোম কোয়ারানটিনে রাখা হয়েছে । তাঁর মা-বাবাকেও রাখা হয়েছে হোম কোয়ারানটিনে ।
দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা ওই যুবতি । কলকাতার নামী এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে PhD-র ছাত্রী । লকডাউন শুরু হওয়ার আগেই কলকাতার বেসরকারি একটি হাসপাতালে তাঁর টিউমার অপারেশনের কথা ছিল । তবে, লকডাউনের কারণে ওই অপারেশনের প্রক্রিয়া থমকে যায় ।
ওই যুবতির এক আত্মীয় জানান, "পাঁচদিন ধরে COVID-19 রোগীদের ওয়ার্ডে ওকে ভরতি থাকতে হয়েছে। এখন ও যদি সত্যিই COVID-19-এ আক্রান্ত হয়, এর জন্য কে দায়ী? পাঁচদিন ধরে ওকে যে শারীরিক-মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হল, ওর মা-বাবা যে মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করলেন, এর জন্য কাকে শাস্তি দেওয়া হবে?" রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তীর বলেন, "যখন যেখানে সমস্যা হচ্ছে, আমরা দেখছি, ব্যবস্থা করছি । আইন মেনে না চললে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।"