মেরঠ, 10 জানুয়ারি: হাড়হিম ঘটনা ! পরিবারের 5 জনকে খুন ৷ শিশুদেরও রেয়াত করেনি দুষ্কৃতীরা ৷ খুন করে 3 শিশুকে বক্স খাটের ভিতর রেখে দেওয়া হয় ৷ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মেরঠে ৷ তদন্ত শুরু করছে পুলিশ ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, মেরঠের লিসাদি গেট এলাকায় 3 সন্তান ও স্ত্রী'কে নিয়ে থাকতেন মোইন নামের এক ব্যক্তি ৷ বুধবার এই পরিবারের কোনও সদস্যকে দেখতে পাননি প্রতিবেশীরা ৷ আত্মীয়রাও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি ৷ বৃহস্পতিবার চিন্তিত হয়ে দাদার বাড়ি পৌঁছন মঈনের ছোট ভাই সেলিম ও তাঁর স্ত্রী ৷ কিন্তু তাঁরা দেখেন বাড়িতে তালা দেওয়া রয়েছে ৷ স্থানীয়দের জিজ্ঞাসা করে মঈনের ভাই জানতে পারেন বুধবার থেকেই এলাকায় তাঁদের কাউকে দেখা যায়নি ৷ সন্দেহ হওয়ায় পুলিশের দ্বারস্থ হন সেলিম ৷
#WATCH | Vipin Tada, SSP, Meerut says, " at lisari gate ps, we got information that 5 bodies have been recovered at a house. police reached the spot and the people said that the house had been locked from outside. inside the house, there were bodies of a couple and their 3… https://t.co/eWE80B50ck pic.twitter.com/u1pqSHKr4p
— ANI (@ANI) January 10, 2025
অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ৷ ঘরে তালা দেওয়া রয়েছে দেখে সিঁড়ি দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করেন পুলিশকর্মীরা ৷ ঘরের ভিতরে তাঁরা দেখেন মাটিতে পড়ে রয়েছে মঈন ও তাঁর স্ত্রী আসমার দেহ ৷ আর 8 বছরের আফসা, 4 বছরের আজিজা এবং 1 বছরের আদিবার দেহ পড়ে রয়েছে বক্স খাটের ভিতরে ৷ ঘরের সমস্ত জিনিস চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ৷ এরপর ঘটনায় খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে মেরঠ পুলিশ ৷
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন মেরঠের সিনিয়র পুলিশ সুপার বিপিন টাডা এবং পুলিশ সুপার আয়ুষ বিক্রম সিং ৷ ঘটনা প্রসঙ্গে সিনিয়র পুলিশ সুপার বলেন, "ফোন পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন পুলিশ কর্মীরা ৷ ঘরের দরজা বাইরে থেকে তালা বন্ধ ছিল ৷ ফলে, ছাদের সিঁড়ি দিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকতে হয় ৷ ভিতরে ঢুকেই মেঝেতে দু'জনের দেহ পাওয়া যায় ৷ একজনের পা বিছানার চাদর দিয়ে বাঁধা ছিল ৷"
তিনি আরও জানান, তল্লাশির পর বক্স খাটের ভিতর থেকে 3 শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয় ৷ সবকিছু দেখে ঘটনায় ঘনিষ্ঠ কেউ জড়িত রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের ৷ পুলিশ সুপার আয়ুষ বিক্রম সিং বলেন, "ফরেন্সিক দলকে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তারা ৷ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় নমুনা ও তথ্যসংগ্রহ করে গিয়েছে ৷ তদন্ত চলছে ৷ মৃতের সঙ্গে কারও পুরনো শত্রুতা ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷"