গঙ্গাসাগর, 10 জানুয়ারি: উদ্বোধনের আগে থেকেই গঙ্গাসাগর মেলা ভিড় করতে শুরু করেছেন পুণ্যার্থীরা ৷ এবারে গঙ্গাসাগরে গিয়ে অনেকেই দর্শন পেলেন তারাপীঠের মা কালীর ৷ যিনি পুণ্যার্থীদের আশীর্বাদ দিচ্ছেন ৷ আর পুণ্যার্থীরা নিজেদের মনবাসনা জানিয়ে কালীর হাতে থাকা থালায় দক্ষিণা দিয়ে যাচ্ছেন ৷
নদিয়ার নবদ্বীপের বাসিন্দা শান্তি গোস্বামী পেশায় বহুরূপী ৷ তিনিই গঙ্গাসাগর মেলায় এবার তারাপীঠের কালী রূপে পুণ্যার্থীদের দর্শন দিচ্ছেন ৷ আর পুণ্যার্থীরাও তাঁর এই কালী রূপকে গ্রহণ করেছেন ৷ তাঁর তারাপীঠের কালী রূপকে প্রণাম করে নিজেদের মনস্কামনা জানাচ্ছেন মানুষজন ৷ আর কালী রূপী শান্তি গোস্বামীর হাতে থাকা থালায় দক্ষিণা দিয়ে যাচ্ছেন সকলে ৷
বহুরূপী হিসেবে কালী সেজে অর্থ উপার্জন প্রসঙ্গে শান্তি জানান, নদিয়ার নবদ্বীপের স্বরূপগঞ্জের বাসিন্দা তিনি ৷ সেখানে একটি আশ্রম চালান ৷ সেই আশ্রমের খরচ তুলতেই তারাপীঠের কালী সেজে লোকজনদের আশীর্বাদ দেন তিনি ৷ শান্তি গোস্বামীর কথায়, "আমি একটা আশ্রম চালাই ৷ তার খরচ তোলার জন্য তারাপীঠের মা কালীর বেশ ধরেছি ৷ শুধু গঙ্গাসাগর মেলা নয়, আরও অনেক মেলাতেই বহুরূপী সেজে টাকা উপার্জন করি ৷"
আর দেবী কালীর সাজ নিয়ে তাঁর বক্তব্য, "আমাকে নয়, মা কালীকে সবাই প্রণাম করছেন ৷ আর মা কালী তো জগৎ জননী ৷ তাঁকে সবাই যে কোনও রূপে গ্রহণ করবে ৷"
গঙ্গাসাগরের পর তিনি কুম্ভ মেলাতেও যাবেন বলে জানালেন শান্তি ৷ তিনি বলেন, "এবারের গঙ্গাসাগরে খুব একটা লোক হবে বলে মনে হয় না ৷ কারণ, এবার মহাকুম্ভ স্নান রয়েছে এলাহাবাদে ৷ অধিকাংশ পুণ্যার্থী সেখানে যাবেন ৷ আমিও দু-তিন দিনের মধ্যে মহাকুম্ভ মেলায় চলে যাব ৷"
যে সকল পুণ্যার্থীরা তারাপীঠের কালীর আশীর্বাদ নিচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে একজন হলেন নির্মলা দাস ৷ তিনি বলেন, "মা তারার রূপ নিয়েছে ৷ তাই মায়ের কাছে আশীর্বাদ নিলাম ৷ নিজের মনস্কামনা জানালাম ৷ কখনও ভাবিনি এভাবে কপিলমুনির দর্শন করতে এসে, তারাপীঠের কালীর দর্শন পাব ৷ খুব ভালো লাগছে ৷"