ETV Bharat / state

Jalpaiguri Suicide Case: জলপাইগুড়িতে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় আত্মসমর্পণ তৃণমূলের পলাতক যুবনেতার - জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান

TMC Youth Leader Surrenders in Court: জলপাইগুড়ি পৌর-এলাকায় গত 1 এপ্রিল এক দম্পতি আত্মঘাতী হন ৷ সেই ঘটনায় একাধিক অভিযুক্ত গ্রেফতার হলেও পলাতক ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা যুব সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় ৷ সোমবার তিনি জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ৷

Jalpaiguri Suicide Case
Jalpaiguri Suicide Case
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 16, 2023, 12:16 PM IST

Updated : Oct 16, 2023, 10:41 PM IST

আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় আত্মসমর্পণ তৃণমূলের পলাতক যুবনেতার

জলপাইগুড়ি, 16 অক্টোবর: আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় আত্মসমর্পণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা যুব সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় । কয়েকমাস পলাতক থাকার পর সুপ্রিম কোর্টে জামিন না পেয়ে অবশেষে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে সোমবার আত্মসমর্পণ করেন তিনি । এরপর আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে দু'দিনের পুলিশি রিমান্ডে পাঠান বিচারক।

গত 1 এপ্রিল জলপাইগুড়ির সুবোধ ভট্টাচার্য ও অপর্ণা ভট্টাচার্যের জোড়া আত্মহত্যার মামলায় পলাতক ছিলেন প্রভাবশালী এই তৃণমূল নেতা ৷ বাকি অভিযুক্তদের নামে পুলিশ চার্জশিট দিলেও মূল অভিযুক্ত সৈকতের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়নি ৷ পলাতক থাকায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া সৈকতের বিরুদ্ধে তদন্তও শেষ হয়নি । তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়া তদন্ত সম্ভব নয় বলে পুলিশের দাবি । তাই সৈকতের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়নি পুলিশের তরফে এমনটাই জানা গিয়েছিল ।

হাইকোর্টে জামিনের আবেদন নাকচ হওয়ার পর থেকে পলাতক ছিলেন সৈকত । নানা জায়গায় খুঁজেও পাওয়া যায়নি তাঁকে । এরই মাঝে সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন জানান সৈকত । কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট জামিন নাকচ করে তাঁকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেয় । এরপরেই এ দিন সৈকত চট্টোপাধ্যায় আত্মসমর্পণ করতে আসেন । জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে এদিন আত্মসমর্পণ করতে এলে এদিন তদন্তকারী অফিসার সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের 10 দিনের রিমান্ডে চান। কিন্তু আদালত তাকে 2 দিনের পুলিশি রিমান্ড দেয়। আগামী 18 অক্টোবর ফের সৈকতকে আদালতে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, তিনি পলাতক ছিলেন না ৷ যতক্ষণ না আগাম জামিন নিয়ে কোনও নির্দেশ আদালত দিচ্ছে, ততক্ষণ কোনও অভিযুক্তকে পলাতক বলা যাবে না ৷ তাই পলাতক বলে তাঁর মানহানি করা হয়েছে ৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে তিনি নিম্ন আদালতে হাজিরা দিয়েছেন ৷ এর আগে তিনি পুলিশি তদন্তে সহযোগিতা করেছেন বলেও সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের দাবি ৷ পাশাপাশি তিনি নিজেকে নির্দোষ বলেও দাবি করেছেন জলপাইগুড়ি তৃণমূলের এই যুব নেতা ৷

উল্লেখ্য, গত এপ্রিলের 1 তারিখ জলপাইগুড়ি শহরের পান্ডাপাড়া রোডের বাসিন্দা আইনজীবী সুবোধ ভট্টাচার্য এবং তাঁর স্ত্রী অপর্ণা ভট্টাচার্য বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ ওঠে । তাঁদের লিখে যাওয়া সুইসাইড নোটে আত্মহত্যার জন্য সৈকত চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি পৌরসভার 14 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ, সোনালি বিশ্বাস, মনোময় সরকার, মোট চারজনের নাম উঠে আসে । এর পরেই কোতয়ালি থানায় এই চারজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন সুবোধ ভট্টাচার্যের দিদি শিখা চট্টোপাধ্যায় ।

কিন্তু পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করায় তিনি হাইকোর্টে এই ঘটনার জন্য সিবিআই তদন্তের আবেদন করেন । গত 19 মে আবেদনকারী ও সরকার পক্ষের সমস্ত শোনার পরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা ঘটনার তদন্তভার এডিজি পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার কে জয়রামনকে দেন । এডিজি তদন্তে নেমেই কোতয়ালি থানার তদন্তকারী অফিসার শিবু করকে সরিয়ে দেন । গত মে মাসের শেষের দিকে তদন্তকারী অফিসার পালটে জেলা পুলিশের ডিআইবি ইনস্পেক্টর নীতেশ লামাকে তদন্তভার দেন ।

এর পর একে একে মনোময় সরকার, সন্দীপ ঘোষ, সোনালি বিশ্বাস গ্রেফতার হলেও পলাতক ছিলেন সৈকত চট্টোপাধ্যায় । অবশেষে তিনি আত্মসমর্পণ করলেন ৷ এখন দেখার তাঁকে আদালত জামিন দেয় নাকি পুলিশ অথবা বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠায় !

আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে দম্পতির মৃত্যু মামলায় রক্ষাকবচ মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার

আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় আত্মসমর্পণ তৃণমূলের পলাতক যুবনেতার

জলপাইগুড়ি, 16 অক্টোবর: আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় আত্মসমর্পণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা যুব সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় । কয়েকমাস পলাতক থাকার পর সুপ্রিম কোর্টে জামিন না পেয়ে অবশেষে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে সোমবার আত্মসমর্পণ করেন তিনি । এরপর আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলায় সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে দু'দিনের পুলিশি রিমান্ডে পাঠান বিচারক।

গত 1 এপ্রিল জলপাইগুড়ির সুবোধ ভট্টাচার্য ও অপর্ণা ভট্টাচার্যের জোড়া আত্মহত্যার মামলায় পলাতক ছিলেন প্রভাবশালী এই তৃণমূল নেতা ৷ বাকি অভিযুক্তদের নামে পুলিশ চার্জশিট দিলেও মূল অভিযুক্ত সৈকতের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়নি ৷ পলাতক থাকায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া সৈকতের বিরুদ্ধে তদন্তও শেষ হয়নি । তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়া তদন্ত সম্ভব নয় বলে পুলিশের দাবি । তাই সৈকতের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়নি পুলিশের তরফে এমনটাই জানা গিয়েছিল ।

হাইকোর্টে জামিনের আবেদন নাকচ হওয়ার পর থেকে পলাতক ছিলেন সৈকত । নানা জায়গায় খুঁজেও পাওয়া যায়নি তাঁকে । এরই মাঝে সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন জানান সৈকত । কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট জামিন নাকচ করে তাঁকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেয় । এরপরেই এ দিন সৈকত চট্টোপাধ্যায় আত্মসমর্পণ করতে আসেন । জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে এদিন আত্মসমর্পণ করতে এলে এদিন তদন্তকারী অফিসার সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের 10 দিনের রিমান্ডে চান। কিন্তু আদালত তাকে 2 দিনের পুলিশি রিমান্ড দেয়। আগামী 18 অক্টোবর ফের সৈকতকে আদালতে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, তিনি পলাতক ছিলেন না ৷ যতক্ষণ না আগাম জামিন নিয়ে কোনও নির্দেশ আদালত দিচ্ছে, ততক্ষণ কোনও অভিযুক্তকে পলাতক বলা যাবে না ৷ তাই পলাতক বলে তাঁর মানহানি করা হয়েছে ৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে তিনি নিম্ন আদালতে হাজিরা দিয়েছেন ৷ এর আগে তিনি পুলিশি তদন্তে সহযোগিতা করেছেন বলেও সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের দাবি ৷ পাশাপাশি তিনি নিজেকে নির্দোষ বলেও দাবি করেছেন জলপাইগুড়ি তৃণমূলের এই যুব নেতা ৷

উল্লেখ্য, গত এপ্রিলের 1 তারিখ জলপাইগুড়ি শহরের পান্ডাপাড়া রোডের বাসিন্দা আইনজীবী সুবোধ ভট্টাচার্য এবং তাঁর স্ত্রী অপর্ণা ভট্টাচার্য বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ ওঠে । তাঁদের লিখে যাওয়া সুইসাইড নোটে আত্মহত্যার জন্য সৈকত চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি পৌরসভার 14 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ, সোনালি বিশ্বাস, মনোময় সরকার, মোট চারজনের নাম উঠে আসে । এর পরেই কোতয়ালি থানায় এই চারজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন সুবোধ ভট্টাচার্যের দিদি শিখা চট্টোপাধ্যায় ।

কিন্তু পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করায় তিনি হাইকোর্টে এই ঘটনার জন্য সিবিআই তদন্তের আবেদন করেন । গত 19 মে আবেদনকারী ও সরকার পক্ষের সমস্ত শোনার পরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা ঘটনার তদন্তভার এডিজি পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার কে জয়রামনকে দেন । এডিজি তদন্তে নেমেই কোতয়ালি থানার তদন্তকারী অফিসার শিবু করকে সরিয়ে দেন । গত মে মাসের শেষের দিকে তদন্তকারী অফিসার পালটে জেলা পুলিশের ডিআইবি ইনস্পেক্টর নীতেশ লামাকে তদন্তভার দেন ।

এর পর একে একে মনোময় সরকার, সন্দীপ ঘোষ, সোনালি বিশ্বাস গ্রেফতার হলেও পলাতক ছিলেন সৈকত চট্টোপাধ্যায় । অবশেষে তিনি আত্মসমর্পণ করলেন ৷ এখন দেখার তাঁকে আদালত জামিন দেয় নাকি পুলিশ অথবা বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠায় !

আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে দম্পতির মৃত্যু মামলায় রক্ষাকবচ মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার

Last Updated : Oct 16, 2023, 10:41 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.