কলকাতা, 31 মার্চ: দুর্নীতি নিয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রেই 'জিরো টলারেন্স' নীতি নিয়েছে দল ৷ তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী বা গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ডাকলেই যে দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে; তার কোনও মানে নেই। শুক্রবার সে কথা স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিলার হাওড়ার গোষ্ঠী সংঘর্ষ নিয়ে এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করেন অভিষেক। সেখানেই নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রসঙ্গ ওঠে। আর এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন তৃণমূল কংগ্রেসই একমাত্র দল যাঁরা ব্যবস্থা নেয়।
দলের যুবরাজ আরও বলেন, "পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলের মহাসচিব ছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে তো ব্যবস্থা নিয়েছে দল। একইভাবে কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে দল বহিষ্কার করেছে। কিন্তু এমনটা ভাবার কারণ নেই সিবিআই-ইডি ডেকেছে মানেই তাঁর বিরুদ্ধে দলকে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাকেও তো তিনবার তদন্তের জন্য ডেকেছে তাহলে কি আমাকে বহিষ্কার করতে হবে ?"
এদিন অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অভিষেক বলেন, "পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলের মহাসচিব ছিলেন, তাঁকে আমরা সাসপেন্ড করেছি। অনুব্রত মণ্ডলের পদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের থেকে বড় নাকি! পার্থ চট্টোপাধ্যায় যদি সাসপেন্ড হতে পারে অনুব্রত মণ্ডল কেন সাসপেন্ড হবে না। কিন্তু এমনটা ভাবার কারণ নেই তিনি তিহাড় জেলে রয়েছেন বলে তাঁকে সাসপেন্ড করতে হবে। যদি ব্যবস্থা নেওয়ার হয় তাহলে সঠিক সময়ে নেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন: শাহী পরামর্শেই কি হাওড়ায় অশান্তির উস্কানি বিজেপির, প্রশ্ন তুললেন অভিষেক
এদিন এ সম্পর্কে বলতে গিয়ে অমিত শাহের প্রসঙ্গ টেনে আনেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ জানান, তৃণমূলই ব্যবস্থা নেয়। এখন যিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তিনিও তিনমাস জেল খেটেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছিল বিজেপি ? কিন্তু তাঁরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। কুন্তল এবং শান্তনুকে বহিষ্কার করেছেন। এরপরও তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য কুৎসা করা হচ্ছে বলে জানান অভিষেক। এখন দেখার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এভাবে আক্রমণ করার পর বিজেপি তরফ থেকে অভিষেকের এই মন্তব্য নিয়ে আলাদা করে কোনও প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় কি না ৷