কলকাতা, 2 নভেম্বর: শহরে আবারও অপরাধের শিকার প্রবীণ নাগরিক ! এবার 70 বছরের এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগ (Rape Allegation) উঠল ! পুলিশ সূত্রে খবর, গত 29 অক্টোবর রাতে কলকাতার প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ৷ কিন্তু, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু হলেও সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি কলকাতা পুলিশের কর্মী ও আধিকারিকরা ৷
সংশ্লিষ্ট সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে স্থানীয় প্রগতি ময়দান থানা ৷ পরে লালবাজারের তরফেও একটি সমান্তরাল তদন্ত শুরু হয় ৷ ইতিমধ্যেই 'আক্রান্ত' বৃদ্ধার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে ৷ পাশাপাশি, বৃদ্ধার ছেলের সঙ্গেও কথা বলেছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: ছেলে-বউমার 'অত্য়াচারে' বিষ খেলেন দম্পতি ! মৃত বৃদ্ধ, গুরুতর অসুস্থ বৃদ্ধা
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ভাইফোঁটার (Bhai Phonta 2022) সময় বৃদ্ধা বাড়িতে একা ছিলেন ৷ সেই সময়েই কেউ বা কারা বৃদ্ধার উপর অকথ্য অত্যাচার চালায় ৷ বৃদ্ধা যে বাড়িতে থাকেন, তার পাকা ছাদ নেই ৷ বদলে রয়েছে টালির চাল ৷ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ দেখে, সেই টালির চালের একটি অংশ খোলা রয়েছে ৷ তাতে পুলিশের অনুমান, রাতের অন্ধকারে বৃদ্ধার বাড়ির চালে উঠে পড়ে দুষ্কৃতীরা ৷ তারপর টালি খুলে ভিতরে ঢোকে তারা ৷ এরপরই সম্ভবত বৃদ্ধাকে নিগ্রহ করা হয় ৷
ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা ৷ দ্রুত বৃদ্ধার ছেলেকে খবর পাঠানো হয় ৷ খবর যায় প্রগতি ময়দান থানায় ৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রথমে ওই বৃদ্ধাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ পরবর্তীতে, বৃদ্ধার ছেলে প্রগতি ময়দান থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৷ ইতিমধ্যেই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় ৷ সেই দলের সদস্যরা বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান ৷ ফরেনসিক রিপোর্ট এলে এই ঘটনার জট অনেকটা খোলা সম্ভব হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ৷
তবে, 70 বছরের এক বৃদ্ধার উপর এমন অত্যাচারের অভিযোগে হতবাক পুলিশও ৷ চুরি করতে এসে কোনও চোর বৃদ্ধার উপর নির্যাতন চালিয়েছে, নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য; তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ প্রসঙ্গত, কলকাতার প্রবীণ নাগরিকরা মাঝমধ্য়েই কোনও না কোনও অপরাধের শিকার হন ৷ দুষ্কৃতীরা মূলত সেইসব বৃদ্ধ ও বৃদ্ধাদেরই নিশানা করে, যাঁদের ছেলেমেয়ে বা আত্মীয়রা সঙ্গে থাকেন না ৷ সমস্য়া মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপ করা হলেও এই ধরনের ঘটনা এখনও ঘটে চলেছে ৷