আড়িয়াদহ (উত্তর 24 পরগনা) ও হরিরামপুর (দক্ষিণ দিনাজপুর), 24 মে: পাঁচশো কেজিরও বেশি নিষিদ্ধ আতশবাজি-সহ বারুদ উদ্ধার হল উত্তর 24 পরগনার দক্ষিণেশ্বর থানা এলাকার আড়িয়াদহে ৷ মঙ্গলবার রাতে ওই নিষিদ্ধ আতশবাজি ও বারুদ উদ্ধার করে পুলিশ ৷ এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই বাড়ির মালিক শিবু দাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছিল দক্ষিণেশ্বর থানার পুলিশ । বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
পুলিশ সূত্রে খবর, শিবু দাসের কাছে আতশবাজি তৈরির বা বারুদ মজুদ রাখার কোনোরকম লাইসেন্স ছিল না । সেই কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ এদিকে যে গোডাউন থেকে নিষিদ্ধ আতশবাজি ও বারুদ উদ্ধার হয়েছে, সেখানে আবার বেশ কিছু তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা পড়েছিল ৷
এই ঘটনা পর থেকে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে নারাজ । যদিও তাঁদের চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট । তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানিয়েছেন, এলাকায় শাসকদলের লোক হিসেবে পরিচিত শিবু দাস । সেই কারণেই তাঁরা কিছু বলতে চাইছেন না । স্থানীয় সূত্রে খবর, শাসকদলকে ঢাল করে দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা চালাতেন শিবু দাস । পরিবারের দাবি, তারা কোনও নিষিদ্ধ বাজি মজুদ করত না । তারা আইন মেনে আতশবাজির ব্যবসা করতেন । কিন্তু লাইসেন্সের ক্ষেত্রে তারা কিছু জানাইনি ।
অন্যদিকে মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর থানার হরিরামপুর বাজার এলাকা থেকে অবৈধভাবে আতশবাজি রাখার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করে এবং সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করে । যার বাজার মূল্য প্রায় 12 হাজার টাকা । হরিরামপুর থানার পুলিশ 14 কেজি আতশবাজি অবৈধভাবে রাখার অভিযোগে সৌম্য গুপ্ত ও রমেন গুপ্তকে গ্রেফতার করে । এদের বয়স 25 থেকে 30 এর মধ্যে ৷
এই বিষয়ে গঙ্গারামপুর মহাকুমার পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, মঙ্গলবার সকালে মালদায় আচমকায় বাজির গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন থানাগুলোতে নির্দেশ দেওয়া হয় যে সমস্ত দোকান বা গুদামগুলোতে অবৈধভাবে প্রচুর আতশবাজি রাখা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে ৷ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে ৷ সেই কারণে মঙ্গলবার রাতে ওই অভিযান চালানো হয় ৷
আরও পড়ুন: মৃত্যুতে ফিরল হুঁশ! সবুজ-বাজির ক্লাস্টার তৈরি করতে কমিটি গঠন মমতার