কলকাতা, ১৮ ফেব্রুয়ারি : মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় CID আটক করল দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে। এছাড়া গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিনজনকে। তাদের মধ্যে দু'জন ক্লাস টুয়েলভে পড়ে। গতকাল রাতভর তল্লাশি চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই তিনজনকে।
১২ ফেব্রুয়ারি ছিল মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষা। ওইদিন পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগে মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। হোয়াটসঅ্যাপ ও অন্যান্য সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে সেই প্রশ্নপত্র। সেই খবর ইতিমধ্যেই ETV BHARAT-এ প্রকাশিত হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। ETV-র ক্যামেরার সামনে পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ তোলে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ফলে সুবিধা পাচ্ছে কোনও কোনও পরীক্ষার্থী। সেটা ঠিক নয়।
এরপর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বিধাননগর সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করে CID। তদন্তে উঠে আসে, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফাঁস হয়েছে মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র। গতরাতে মালদার কালিয়াচক থেকে শাহাবুল আমিজ় নামে ক্লাশ টুয়েলভের এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে CID। বর্ধমানের কাটোয়ার খইতান হাটপাড়া থেকে শাহবাজ় মণ্ডল নামের ক্লাশ টুয়েলভের আরও এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুজনেরই বয়স আঠারোর কিছু বেশি। এছাড়া হুগলির পাণ্ডুয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শাজিদুর রহমানকে। পাশাপাশি আটক করা হয়েছে দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে।
CID সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ফাঁস ও এবং তার উত্তর শেয়ার করার জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছিল। প্রশ্নপত্র দেওয়ামাত্রই দুই পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে সেই গ্রুপে পোস্ট করে দিত। তারপর পরীক্ষা হলের বাইরে বসে সেই প্রশ্নের উত্তর লিখে পালটা পোস্ট করা হত গ্রুপে। শুধু বাংলা পরীক্ষাই নয়, তারপরেও এখনও পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি পরীক্ষাতেই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। তবে এই ঘটনার তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে তা অবশ্য জানায়নি CID।