কলকাতা, 19 জুলাই : বেতন বৃদ্ধির দাবিতে অনশন শুরু করেছিলেন 20 জন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা । অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে অসুস্থ হয়ে পড়েন দু'জন । তাঁদের অনশন থেকে তুলে নেওয়া হয় । তারপর থেকে 18 জন শিক্ষক-শিক্ষিকা চালিয়ে যাচ্ছেন অনশন । আজ উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের অনশন কর্মসূচির সপ্তম দিন । 144 ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে । ক্রমে বাড়ছে অসুস্থদের সংখ্যা । গতকাল 18 জন অনশনকারীর মধ্যে 4 জন অসুস্থ হয়ে পড়েন । তাঁরা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ফিরে এসে আবার অনশন চালিয়ে যান । আজ আবারও 5 জন অসুস্থ হয়ে পড়েন । তবু নিজেদের দাবি আদায়ের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা ।
বহুবার রাস্তায় নামার পর গত শুক্রবার ন্যূনতম যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন কাঠামোর দাবিতে মিছিল করে করুণাময়ী থেকে উন্নয়ন ভবনের সামনে এসে অবস্থান শুরু করেন কয়েক হাজার প্রাথমিক শিক্ষক । আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে শনিবার বেলা 12টা থেকে 20 জন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা অনশন শুরু করেন । প্রথম থেকেই একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হন তাঁরা । পানীয় জল, শৌচালয়ের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের সমস্যা সঙ্গে নিয়েই বিগত 7 দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা । কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে কোনও সদুত্তর মেলেনি ।
ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (UUPTWA) কোর কমিটির সদস্য চন্দন চট্টোপাধ্যায় বলেন, "অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন । সবাইকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হচ্ছে । আজ সকাল থেকে 5 জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । তাদের ট্রিটমেন্ট করিয়ে আবার নিয়ে আসা হয়েছে ৷ তাঁরা অসুস্থ হলেও কোনওমতে অনশন তুলে নিতে রাজি নয় ।"
তাঁদের এই অনশন কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়ে ইতিমধ্যেই বার্তা পাঠিয়েছেন কবি শঙ্খ ঘোষ । সমর্থন জানাতে অনুষ্ঠান মঞ্চে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন পবিত্র সরকারের মতো বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা । চন্দন চট্টোপাধ্যায় বলেন, "সমাজের সব স্তরের মানুষই এখানে ভিড় করেছেন, শুধুমাত্র সরকার পক্ষ থেকে বাদ দিয়ে । বিভিন্ন স্তরের মানুষই আসছেন সমবেদনা জানাতে । শঙ্খ ঘোষ বার্তা দিয়েছেন, পবিত্র সরকার এসেছিলেন এখানে । তাঁরা আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন । চিত্রপরিচালক অরুণাভ গঙ্গোপাধ্যায় এসেছিলেন ।"
এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে কোনও সদুত্তর না পেলেও এভাবেই তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানাচ্ছেন চন্দন চট্টোপাধ্যায় । তিনি বলেন, "আমাদের কোনও খবর না দিলেও একইভাবে আন্দোলন চলবে । এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনও শো-কজ় লেটার পৌঁছায়নি । তবে, ধমক চমকটা চলছে । অনেক জায়গায় সার্কেল ইনস্পেক্টররা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে CL দিতে চাইছেন না । এগুলি সমস্যা করছে ।"