ETV Bharat / state

Elephant Attack in Jhargram : ক্ষতিপূরণই কী সব ? ঝাড়গ্রামে হাতির হানায় পরপর মৃত্যুতে বনকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ

মানুষের মৃত্যু থেকে ফসল নষ্ট ৷ সবের পিছনে দায়ী হাতি ৷ কিন্তু ক্ষতিপূরণ দিলেই কী এসব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ? বনকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন ঝাড়গ্রামের জারুলিয়া এলাকার বাসিন্দারা (Elephant Attack in Jhargram) ৷

jarulia forest range
ঝাড়গ্রাম
author img

By

Published : May 9, 2022, 1:50 PM IST

ঝাড়গ্রাম, 9 মে : ক্রমাগত হাতির হানায় জেরবার ঝাড়গ্রামের জারুলিয়া গ্রাম ৷ 13 দিনে হাতির আক্রমণের বলি চারজন । হাতির আতঙ্কে ঝাড়গ্রাম জেলার অন্তর্গত তিন বন বিভাগ । সোমবার সকালে ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের ঝাড়গ্রাম রেঞ্জের জারুলিয়া গ্রামে প্রাতঃকর্ম করতে গিয়ে হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয় গণেশ সিং নামে এক ব্যক্তির । হাতির হানায় মৃত্যুর খবর চাউর হতেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয় জারুলিয়া এলাকায় । বন বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত গ্রামবাসী (Villagers Shows Agitation against Forest Workers due to Elephant Attack in Jhargram)।

হাতির সমস্যা সুরাহা না-করা পর্যন্ত মৃতদেহ তুলতে দেওয়া যাবে না, এই দাবি করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা । যদিও পুলিশ ও বন বিভাগ যৌথভাবে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠায় ।

27 এপ্রিল ঝাড়গ্রাম রেঞ্জের ছোটচাঁদাবিলা এলাকায় হাতির হানায় মৃত্যু হয় রেখা মাহাতো (52) নামে এক মহিলার । এই ঘটনার ঠিক আট দিনের মাথায় 4 মে নয়াগ্রাম ব্লকের চাঁদাবিলা রেঞ্জের গোখুরপুর গ্রামে হাতির হানায় মারা যান পূর্ণচন্দ্র মাহাতো (66) নামের এক ব্যক্তি । নয়াগ্রামের ঘটনার ঠিক তিন দিনের মাথায় 7 মে শনিবার ঝাড়গ্রাম রেঞ্জের সাপধরা এলাকায় হাতির হানায় মৃত্যু হয় মিনি বাগাল (55) নামে এক মহিলার । এর দু'দিনের মাথায় ফের হাতির আক্রমণে মৃত্যু হল গণেশ সিং নামে এক ব্যক্তির ।

আরও পড়ুন : Elephant Damage Paddy Field : হাতির হানায় জমির ফসল নষ্ট , ক্ষতিপূরণের দাবিতে পথ অবরোধ গ্রামবাসীদের

ঝাড়গ্রাম সদর ব্লকের নেদাবহড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকায় বেশ কিছু ফলের বাগান থাকায় প্রায় সারা বছরই হাতির আনাগোনা রয়েছে ওই এলাকায় । বর্তমান সময়ে নেদাবহড়া, জারুলিয়া, বিরিহাড়ি, কলাবনি-সহ বিভিন্ন পার্শ্ববর্তী এলাকায় হাতি সারাবছরই থাকে । প্রতিনিয়ত ফসলের ক্ষতি করে হাতির দল ।

জারুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা তপন মাহাতো বলেন, "প্রতিনিয়ত এলাকায় হাতি আসে । প্রতিটি ধানের জমিতে হাতির পায়ের ছাপ রয়েছে । হাতির জন্য সারা রাত জেগে বহু কষ্টে ধান বাঁচিয়ে ঘরে তোলা হচ্ছে । যিনি আজকে হাতির হানায় মারা গেলেন তাঁর পরিবারের কী হবে । এই এলাকায় প্রতিনিয়ত হাতি কাউকে না কাউকে মেরে ফেলছে ৷ বন বিভাগের লোকরা আসে আর ক্ষতিপূরণের কথা বলে চলে যায় । ক্ষতিপূরণ দিলে কী মানুষের মৃত্যুর সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ? এলাকা থেকে হাতি তাড়ানোর কোনও উদ্যোগ বা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বন বিভাগ ।

যদিও এই বিষয়ে ঝাড়গ্রাম জেলার বনাধিকারিক শেখ ফরিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি ৷

আরও পড়ুন : Elephant Attack in Jhargram : ঝাড়গ্রামে ফের হাতির হানায় মৃত্যু প্রৌঢ়ার

ঝাড়গ্রাম, 9 মে : ক্রমাগত হাতির হানায় জেরবার ঝাড়গ্রামের জারুলিয়া গ্রাম ৷ 13 দিনে হাতির আক্রমণের বলি চারজন । হাতির আতঙ্কে ঝাড়গ্রাম জেলার অন্তর্গত তিন বন বিভাগ । সোমবার সকালে ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের ঝাড়গ্রাম রেঞ্জের জারুলিয়া গ্রামে প্রাতঃকর্ম করতে গিয়ে হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয় গণেশ সিং নামে এক ব্যক্তির । হাতির হানায় মৃত্যুর খবর চাউর হতেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয় জারুলিয়া এলাকায় । বন বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত গ্রামবাসী (Villagers Shows Agitation against Forest Workers due to Elephant Attack in Jhargram)।

হাতির সমস্যা সুরাহা না-করা পর্যন্ত মৃতদেহ তুলতে দেওয়া যাবে না, এই দাবি করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা । যদিও পুলিশ ও বন বিভাগ যৌথভাবে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠায় ।

27 এপ্রিল ঝাড়গ্রাম রেঞ্জের ছোটচাঁদাবিলা এলাকায় হাতির হানায় মৃত্যু হয় রেখা মাহাতো (52) নামে এক মহিলার । এই ঘটনার ঠিক আট দিনের মাথায় 4 মে নয়াগ্রাম ব্লকের চাঁদাবিলা রেঞ্জের গোখুরপুর গ্রামে হাতির হানায় মারা যান পূর্ণচন্দ্র মাহাতো (66) নামের এক ব্যক্তি । নয়াগ্রামের ঘটনার ঠিক তিন দিনের মাথায় 7 মে শনিবার ঝাড়গ্রাম রেঞ্জের সাপধরা এলাকায় হাতির হানায় মৃত্যু হয় মিনি বাগাল (55) নামে এক মহিলার । এর দু'দিনের মাথায় ফের হাতির আক্রমণে মৃত্যু হল গণেশ সিং নামে এক ব্যক্তির ।

আরও পড়ুন : Elephant Damage Paddy Field : হাতির হানায় জমির ফসল নষ্ট , ক্ষতিপূরণের দাবিতে পথ অবরোধ গ্রামবাসীদের

ঝাড়গ্রাম সদর ব্লকের নেদাবহড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকায় বেশ কিছু ফলের বাগান থাকায় প্রায় সারা বছরই হাতির আনাগোনা রয়েছে ওই এলাকায় । বর্তমান সময়ে নেদাবহড়া, জারুলিয়া, বিরিহাড়ি, কলাবনি-সহ বিভিন্ন পার্শ্ববর্তী এলাকায় হাতি সারাবছরই থাকে । প্রতিনিয়ত ফসলের ক্ষতি করে হাতির দল ।

জারুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা তপন মাহাতো বলেন, "প্রতিনিয়ত এলাকায় হাতি আসে । প্রতিটি ধানের জমিতে হাতির পায়ের ছাপ রয়েছে । হাতির জন্য সারা রাত জেগে বহু কষ্টে ধান বাঁচিয়ে ঘরে তোলা হচ্ছে । যিনি আজকে হাতির হানায় মারা গেলেন তাঁর পরিবারের কী হবে । এই এলাকায় প্রতিনিয়ত হাতি কাউকে না কাউকে মেরে ফেলছে ৷ বন বিভাগের লোকরা আসে আর ক্ষতিপূরণের কথা বলে চলে যায় । ক্ষতিপূরণ দিলে কী মানুষের মৃত্যুর সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ? এলাকা থেকে হাতি তাড়ানোর কোনও উদ্যোগ বা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বন বিভাগ ।

যদিও এই বিষয়ে ঝাড়গ্রাম জেলার বনাধিকারিক শেখ ফরিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি ৷

আরও পড়ুন : Elephant Attack in Jhargram : ঝাড়গ্রামে ফের হাতির হানায় মৃত্যু প্রৌঢ়ার

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.