ঝাড়গ্রাম , 22 মার্চ : ঝাড়গ্রামে দলীয় কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে পথ অবরোধ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের। গতকাল মাঝরাতে ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া 5 নম্বর রাজ্যসড়কে অবরোধ করে তারা। প্রতিবাদে শামিল হন রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য । তিনি ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে মৃত দুর্গা সরেনের(55) পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন । সঙ্গে ছিলেন ঝাড়গ্রামের তৃণমূলের প্রার্থী বিরবাহা হাঁসদা ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে তৃণমূল কর্মী দুর্গা সরেন ও তাঁর স্ত্রী ডাক্তার দেখানোর জন্য নেতুরা গিয়েছিলেন । অভিযোগ, সেই সময় বিজেপির স্থানীয় কয়েকজন তাঁদের গালিগালাজ করেন । ঘটনার জেরে সন্ধ্যার দিকে নেতুরা বাসস্ট্যান্ডে কিছু তৃণমূল কর্মী ওই এলাকার বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যের ভাই তারক সাউকে মারধর করে দু’টি হাত ভেঙে দেন। তারককে হাসপাতালে নিয়ে আসার কিছুক্ষণ পরে দুর্গাকে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতলে নিয়ে আসা হয় । হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুর্গাকে মৃত ঘোষণা করেন । কী কারণে দুর্গার মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও ইতিমধ্যে এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক পারদ ছড়িয়ে পড়েছে ঝাড়গ্রামে ।
আরও পড়ুন : বিজেপির ইস্তাহারকে জুমলা বলল তৃণমূল কংগ্রেস
এই পরিস্থিতিতে গতকাল সন্ধেতেই নেতুরা গ্রামে কেন্দ্রীয়বাহিনী মোতায়েন করা হয় । খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছান ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার । হাসপাতাল চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশবাহিনী ।
এদিকে আজ, সোমবার ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়ায় সভা রয়েছে দেবাংশুর । সেই কারণে গতকালই তিনি ঝাড়গ্রাম পৌঁছে যান। খবর পেয়ে বিরবাহা হাঁসদা-কে নিয়ে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন । সেখানে দেবাংশু বলেন, "মা বোনের উপর আক্রমণ হলে তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে ভাই, দাদা , স্বামীরা মারা যায় - এটা তো উত্তরপ্রদেশের সংস্কৃতি । বাংলাকে কোনওভাবেই উত্তরপ্রদেশ হতে দেব না । স্ত্রীর উপর আক্রমণ হওয়ার প্রতিবাদ করতে গিয়ে এভাবে একটা ছেলের মৃত্যু কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না । যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দোষীদের গ্রেফতার করা হোক । নির্বাচন কমিশন এই ঘটনার জবাব না দিলে সোমবার থেকে জঙ্গলমহলজুড়ে আন্দোলন শুরু হবে। "