ETV Bharat / state

আদালতের নির্দেশেও বাড়িতে ঢুকতে পারলেন না বৃদ্ধা - old lady

জলপাইগুড়ি জেলার অশোক নগরের বাসিন্দা উষারানি করকে 2010 সালে বাড়ি থেকে বের করে দেয় তাঁর দুই ছেলে । এরপর আদালতের দ্বারস্থ হয়ে বাড়িতে ফেরার রায় পেলেও তালা বন্ধ থাকায় ঘরে প্রবেশ করতে পারলেন না সত্তরোর্ধ্ব এই বৃদ্ধা ।

বৃদ্ধা
author img

By

Published : May 20, 2019, 11:37 PM IST

জলপাইগুড়ি, 20 মে : আদালতের নির্দেশ ছিল বাড়িতে প্রবেশ করতে দেওয়ার । কিন্তু তাও বাড়িতে ঢুকতে দিল না ছেলেরা । এমনই অবস্থা হল জলপাইগুড়ির জেলার অশোক নগরের এক বৃদ্ধার । নাম উষারানি কর । সত্তরোর্ধ্ব এই বৃদ্ধের করুন পরিণতি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী ।

অভিযোগ, 2010 সালে উষারানি করের দুই ছেলে রমেনচন্দ্র কর ও জয়দেব কর নিজেদের তিন বোনকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন । এর কিছুদিন পরই তাঁরা মাকেও মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেন । এমন কী বৃদ্ধার জমি হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ ওঠে রমেন ও জয়দেবের বিরুদ্ধে । রমেনচন্দ্র কর পেশায় ব্যবসায়ী এবং জয়দেব কর পেশায় শিক্ষক । নিজের নামে বাড়ি থাকা সত্ত্বেও উষারানিকে মেয়েদের কাছেই থাকতে হয় এত বছর ।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

এই বিষয়ে উষারানী কর বলেন, "আমার দুই ছেলে আমাকে ঠিকমতো খেতে দিত না । ওষুধ দিত না । আমাকে মারধর করত । আমার তিন মেয়েকে মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেয় তারা । পরে আমাকেও মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় । বাধ্য হয়েই আমি এতদিন মেয়েদের বাড়িতে ছিলাম ।"

ঘটনার ব্যাপারে বৃদ্ধার আইনজীবী পাঞ্চালিদেব সিকদার বলেন, "বৃদ্ধাকে তাঁর ছেলেরা মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর তিনি দীর্ঘদিন মেয়েদের কাছেই ছিলেন । কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মেয়েরা আদালতের দ্বারস্থ হন মাকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য । আদালত সামান্য সময়ের মধ্যেই বৃদ্ধার পক্ষে রায় দেয় । আদালতের নির্দেশ থাকে, পুলিশি নিরাপত্তায় বৃদ্ধাকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার । এমন কী দুই ছেলেকে মায়ের জন্য মাসিক ৫০০০ টাকা করে দিতে হবে। সেই নির্দেশ মেনেই আজ তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে আনা হলে বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেন না তিনি । দেখা যায়, বাড়িতে তালা লাগানো আছে । দীর্ঘ সময় অ্যাম্বুলেন্সে অপেক্ষা করার পরও সমস্যা মেটেনি । তাই পুরো বিষয়টি আবারও আদালতকে জানানো হবে ।"

জলপাইগুড়ি, 20 মে : আদালতের নির্দেশ ছিল বাড়িতে প্রবেশ করতে দেওয়ার । কিন্তু তাও বাড়িতে ঢুকতে দিল না ছেলেরা । এমনই অবস্থা হল জলপাইগুড়ির জেলার অশোক নগরের এক বৃদ্ধার । নাম উষারানি কর । সত্তরোর্ধ্ব এই বৃদ্ধের করুন পরিণতি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী ।

অভিযোগ, 2010 সালে উষারানি করের দুই ছেলে রমেনচন্দ্র কর ও জয়দেব কর নিজেদের তিন বোনকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন । এর কিছুদিন পরই তাঁরা মাকেও মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেন । এমন কী বৃদ্ধার জমি হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ ওঠে রমেন ও জয়দেবের বিরুদ্ধে । রমেনচন্দ্র কর পেশায় ব্যবসায়ী এবং জয়দেব কর পেশায় শিক্ষক । নিজের নামে বাড়ি থাকা সত্ত্বেও উষারানিকে মেয়েদের কাছেই থাকতে হয় এত বছর ।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

এই বিষয়ে উষারানী কর বলেন, "আমার দুই ছেলে আমাকে ঠিকমতো খেতে দিত না । ওষুধ দিত না । আমাকে মারধর করত । আমার তিন মেয়েকে মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেয় তারা । পরে আমাকেও মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় । বাধ্য হয়েই আমি এতদিন মেয়েদের বাড়িতে ছিলাম ।"

ঘটনার ব্যাপারে বৃদ্ধার আইনজীবী পাঞ্চালিদেব সিকদার বলেন, "বৃদ্ধাকে তাঁর ছেলেরা মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর তিনি দীর্ঘদিন মেয়েদের কাছেই ছিলেন । কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মেয়েরা আদালতের দ্বারস্থ হন মাকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য । আদালত সামান্য সময়ের মধ্যেই বৃদ্ধার পক্ষে রায় দেয় । আদালতের নির্দেশ থাকে, পুলিশি নিরাপত্তায় বৃদ্ধাকে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার । এমন কী দুই ছেলেকে মায়ের জন্য মাসিক ৫০০০ টাকা করে দিতে হবে। সেই নির্দেশ মেনেই আজ তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে আনা হলে বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেন না তিনি । দেখা যায়, বাড়িতে তালা লাগানো আছে । দীর্ঘ সময় অ্যাম্বুলেন্সে অপেক্ষা করার পরও সমস্যা মেটেনি । তাই পুরো বিষয়টি আবারও আদালতকে জানানো হবে ।"

Intro:Body:জলপাইগুড়ি ঃআদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও নিজের বাড়িতে প্রবেশ করতে পারলেন না শয্যাশায়ী বৃদ্ধা। পুলিশ গিয়ে বৃদ্ধাকে বাড়িতে পৌছে দিতে গেলেও অ্যাম্বুলেন্সেই শুয়েই বাড়িতে ঢোকার জন্য অপেক্ষা করতে হল বৃদ্ধাকে।কিন্তু ছেলেরা কেউ তালা খুলল না।অমানবিক জলপাইগুড়ির এই দৃশ্য দেখে হতবাক জলপাইগুড়ি। শিল্প সংস্কৃতির জেলা জলপাইগুড়ির এই বৃদ্ধা মায়ের করুন পরিনতি দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সবাই। আদালতের নির্দেশ কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মা কে ঘরে ঢুকতেই দিলেন না দুই ছেলে।মা বাড়িতে আসবেন তাই আগে থেকেই তালা মেরে বাড়ি থেকে চলে গেল ছেলেরা।পুলিশ এসেও কিছু করতে পারলেন না।জানা যায় ২০১০ সালে ব্যবসায়ী রমেনচন্দ্র কর এবং তার শিক্ষক ভাই জয়দেব কর নিজেদের তিন বোনকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। এর কিছুদিন বাদে নিজেদের মা ঊষারানী করকেও মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন ছেলেরা।এমনকি বৃদ্ধার জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।মায়ের উপর নির্মম অত্যাচারে খাবার ওষুধটুকুও দেওয়া হতো না তাকে। বহুবার বিভিন্ন আবেদন করেও নিজের বাড়িতে ফিরতে পারছিলেন না ওই বৃদ্ধা। বাধ্য হয়ে মেয়েদের কাছেই থাকছিলেন। এরপর নিজের বাড়ি ফেরত চেয়ে আদালতের দারস্থ হয় বৃদ্ধা।আদালত সামান্য সময়েই তার রায়ে জানিয়ে দেন পুলিশের নিরাপত্তায় বাড়ি ফিরিয়ে দিতে হবে তাকে।এমনকি দুই ছেলেকে মায়ের জন্য মাসিক ৫০০০ টাকা করে দিতে হবে।
আদালতের আদেশ মেনে এদিন বৃদ্ধার সঙ্গে অশোকনগরের বাড়িতে যায় পুলিশ। নিয়ে যায় তাকে নিয়ে যায় পুলিশ।বৃদ্ধার আইনজীবী এবং একমেয়েও সঙ্গে ছিলেন।সকলে মিলে বৃদ্ধাকে বাড়িতে দিতে গিয়ে দেখতে পেলেন বাড়ি তালা। দীর্ঘ সময় অ্যাম্বুলেন্সে অপেক্ষা করার পরেও সমস্যা মিটল না।যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় বাড়ি বন্ধ থাকায় আদালতের নির্দেশ পালন করা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে বৃদ্ধার আইনজীবী পাঞ্চালী দেব সিকদার জানান, গোটা বিষয়টি ফের আদালতকে জানানো হবে।
Conclusion:

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.