জলপাইগুড়ি, 24 নভেম্বর : ফার্মাসিস্টের লাইসেন্স দেখিয়ে দিনের পর দিন চলছে ওষুধের দোকানের ব্যবসা । কিন্তু বেশিরভাগ ওষুধ দোকানেই থাকেন না ফার্মাসিস্ট । ফলে অনেক ক্ষেত্রেই রোগীদের এমন কিছু ওষুধ দেওয়া হচ্ছে যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে । সমস্যায় পড়ছেন রোগীরা । তাই ফার্মাসিস্ট ছাড়া ওষুধের দোকান চালানো যাবে না । ন্যাশনাল ফার্মাসি সপ্তাহ উদযাপনের শেষ দিনে এমনটাই দাবি তুলল প্রোগ্রেসিভ ফার্মাসিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ।
গতকাল ন্যাশনাল ফার্মাসি সপ্তাহ উদযাপনের শেষ দিনে জলপাইগুড়ি ফার্মাসি ইনস্টিটিউটে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন প্রোগ্রেসিভ ফার্মাসিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র রামেশ্বর হালদার । তিনি জানান, অনেক ওষুধের দোকানে ফার্মাসিস্ট থাকেন না । অথচ দিনের পর দিন ভাড়া করা ফার্মাসিস্টের লাইসেন্স নিয়ে ওই সব ওষুধের দোকান ব্যবসা চালাচ্ছে । এটা আর করা যাবে না । যথার্থ বেতন দিয়ে ফার্মাসিস্ট রাখতে হবে ওষুধ দোকানগুলিতে । শুধু তাই নয়, ওষুধের দোকানগুলিতে নিয়মিত ফার্মাসিস্ট আসছে কি না তা জানার জন্য লাগাতে হবে বায়োমেট্রিক মেশিন ।
রামেশ্বর বাবু বলেন, "কেন্দ্র সরকার একটি সংশোধনী বিল আনতে চলেছে । যেখানে বলা হয়েছে ওষুধ আশা কর্মী, নার্স ও অঙ্গনওয়াডি কর্মীদের দিয়ে সরবরাহ করতে হবে । কিন্তু এতে রোগীরাই সমস্যায় পড়বে । কারণ একজন ফার্মাসিস্টই বোঝে একটি ওষুধের মেডিকেশন ও কাউন্সেলিং । " ভবিষ্যতে প্রয়োজনে দিল্লিতে ধরনায় বসার কথাও জানান তিনি ।