ধূপগুড়ি, 22 অগস্ট : রাজ্যজুড়ে চলছে 'দুয়ারে সরকার' প্রকল্প ৷ এবার সরকারি প্রকল্পের সুবিধার বিষয়ে সাধারণ মানুষকে অবগত করার পাশাপাশি তাদের এলাকায় গিয়ে নিজে হাতেই ফর্ম পূরণ করে দিলেন খোদ ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক। গতকাল, ফরেস্ট বস্তি এলাকার পিছিয়ে পড়া রাভা জনজাতির মানুষদের 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচির আলো যাতে সঠিকভাবে পৌঁছোয় সেই বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগ নিলেন ধূপগুড়ি ব্লকের ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক শঙ্খদ্বীপ দাস। 'লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্প ও স্বাস্থ্যসাথী' কার্ড করার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজের হাতেই আবেদনপত্র পূরণ করে দিলেন তিনি ।
ধূপগুড়ি ব্লকের ঝাড়আলতা 2 নং গ্রাম পঞ্চায়েতের গোসাইরহাট জঙ্গল লাগোয়া ফরেস্ট ভিলেজের কমিউনিটি হলে একটি বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হয় শনিবার। গোসারহাটে আয়োজিত সেই বিশেষ শিবিরে আসছিলেন না অনেকেই। সেই খবর পাওয়া মাত্রই ধূপগুড়ির বিডিও শঙ্খদীপ দাস নিজেই ছুটে যান রাভা বস্তিতে এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে তিনি 'লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্প ও স্বাস্থ্যসাথী' কার্ডের সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে স্থানীয়দের আবেদনপত্র নিজে হাতেই পূরণ করে দেন । খোদ ব্লক আধিকারিকের এই কাজে যথেষ্ট খুশি রাভা জনজাতির ঐ এলাকার বাসিন্দারা ।
আরও পড়ুন: বাংলা ভাগ করবেন না, বিজেপি নেতাকে রাখি পরিয়ে আর্জি তৃণমূলের
স্থানীয় বাসিন্দা এবং পশ্চিমবঙ্গের রাভা ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের সম্পাদক রবি রাভা জানান, 'দুয়ারে সরকার' প্রকল্পগুলি শুরু হয়েছে। আমাদের বিডিও সাহেব আদিবাসী তথা রাভা অধ্যুষিত এলাকায় আজকে বিশেষ করে লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্প ও স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড যাদের নেই, সেইসব পরিবারের জন্যই আজকে বিশেষ শিবির করেছেন । এখানে এক সপ্তাহ আগে প্রচার চালানো হয়েছে মাইকিং করে। তবুও আমাদের এই আদিবাসী এবং রাভা অধ্যুষিত এলাকার যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে ভাষা নিয়ে একটা সমস্যা রয়েছে এবং সচেতনতার অভাব দেখা যাচ্ছে। আর সেই কারণেই 'দুয়ারে সরকারের' শিবিরকে গুরুত্ব দিচ্ছে না তারা । যারা বিষয়টিকে দায়িত্ব সহকারে গুরুত্ব দিচ্ছে না। পুরো বিষয়টি আমি বিডিও সাহেবকে জানিয়েছি এবং আমরা সেই বাড়িগুলিতে বিডিও সাহেব নিজ উদ্যোগ নিয়ে তাদের আবেদনপত্রগুলি পূরণ করে দিচ্ছেন ।
ধূপগুড়ির বিডিও শঙ্খদীপ দাস বলেন, "এখানে এর আগেও আমি চিন্তা করেছি। যেটা সরকার থেকে করা হয় সেটা আমরা রাভা বস্তির ভিতরে এসে বুঝিয়ে যদি করতে পারি তাহলে এই মানুষগুলির সুবিধা হয় । এখানে একটা বড় অসুবিধা ভাষা । যদিও অনেকেই বাংলা বোঝেন। তবে আমরা চেষ্টা করছি এনাদের ঘরে গিয়ে সেই প্রকল্পগুলির সুবিধা পৌঁছে দিতে ।"