জলপাইগুড়ি, 11 এপ্রিল: সন্ধ্যা থেকেই 'মিউ মিউ' শব্দটা কানে আসছিল না গৃহকর্ত্রীর । কিন্তু কেন? সবসময়ই যে তাঁর আদরের পোষ্য লিন্টন পায়ে পায়ে ঘোরাঘুরি করে । "আজ তাহলে গেল কোথায়?" মাঝে চিন্তা এল, ফাঁক-ফোকড় পেলেই এদিক ওদিক চলে যায় লিন্টন । তারপর আবার ফিরেও আসে । সেইরকমই হয়ত গিয়েছে । কিন্তু ঘণ্টাখানেক পেরিয়ে যাওয়ার পরও লিন্টন ফিরছে না দেখে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি । কিন্তু বাড়ির আনাচে-কানাচে কোথাও খোঁজ মেলেনি । খবর দেন দমকলে ।
অতঃপর পাশের বন্ধ একটি বাড়ির জানালার সামনে থেকে 'মিউ মিউ' শব্দ শুনতে পান গৃহকর্ত্রী । কিন্তু সেখান থেকে লিন্টনকে বের করে আনবেন কী করে ? সেই বাড়ির দরজাই তো বন্ধ । দমকলকর্মীদের চেষ্টায় রাতের দিকে লিন্টনকে বের করে আনা যায় । দমকলকর্মীদের অনুমান, আগেরদিন ঝড় বৃষ্টির সময় সম্ভবত পাঁচিল বেয়ে ওই বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল লিন্টন । তারপর আর সেখান থেকে বেরোনোর পথ খুঁজে পাচ্ছিল না ।
যে বাড়িটিতে লিন্টন আটকে পড়েছিল সেই বাড়ির দরজা বন্ধ থাকার কারণে দমকলকর্মীরা ঢুকতে পারেননি । মালিকের অনুপস্থিতিতে তালা ভাঙতেও নারাজ ছিলেন তাঁরা । জলপাইগুড়ি থানায় খবর দেওয়া হয় । এরপর বাড়ির ঘুলঘুলি দিয়ে কাপড়ও ফেলে দেওয়া হয় যাতে লিন্টন উঠে আসতে পারে । কিন্তু লাভ হয়নি । এরপর ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া উকিলবাবুকে ফোন করা হয় । তিনি তালা ভেঙে বিড়াল বের করায় সম্মতি দেননি । অতঃপর পিছনের জানালা খোলার অনুমতি দেন । শেষপর্যন্ত বিকেল গড়িয়ে রাত হয়ে যাওয়ার পর লিন্টনকে বের করতে পারেন দমকলকর্মীরা । আদরের পোষ্যক্ ফিরে পেয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন টিঙ্কুদেবী ।