জলপাইগুড়ি, 30 মার্চ: দাদার হাতে 'খুন' নাবালিকা বোন ! ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বোনকে খুন করার অভিযোগ উঠল দাদার বিরুদ্ধে ৷ খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়িতে। রাগের বশে নাকি অন্য় কোনও কারণে খুন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ (Brother killed his minor sister) শহর সংলগ্ন দেবনগর উত্তরপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
মৃত নাবালিকা রিয়া ঠাকুর (15) সেন্ট্রাল বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল ৷ প্রাথমিকভাবে খুনের ঘটনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে মৃতার দাদা রাহুল ঠাকুরকে আটক করেছে কোতয়ালি থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, নাবালিকা চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গতকাল বুধবার রাতে ভাই-বোনের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে। অভিযোগ এরপরই, মায়ের সামনেই ছুড়ি দিয়ে বোনকে এলোপাথারি কোপাতে থাকে রাহুল ৷ মৃতের পিঠে একাধিক ধারাল অস্ত্রের আঘাত রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
এলাকাবাসীদের থেকে খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল থেকে রাহুল ঠাকুরকে আটক করে পুলিশ। প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, প্রায় দিনই দাদা ও বোনের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। এমনকী রাহুল মাঝেমধ্যে নেশাও করত। অভিযোগ বোনের প্রতি চরম হিংসা ছিল রাহুলের ৷ গতকাল রাতেও তেমনই একপ্রস্থ ঝামেলার পর রাহুল আচমকা ছুড়ি চালায় বলে অভিযোগ ৷ কিন্তু হামেশাই ভাই-বোনের মধ্যে ঝগড়া, চিৎকার হত বলে পাড়ার কেউই আর এগিয়ে আসেনি। সূত্রের খবর, বাড়িতে সবজি কাটার ধারালো ছুড়ি দিয়েই বোনকে খুন করে সে।
আরও পড়ুন: মমতার আক্রমণের পরপরই সরকারি কর্মীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে যাচ্ছেন শুভেন্দু
এদিকে ঘটনা জানাজানি হতে রাতেই কোতয়ালি থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে রিয়াকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ঘটনায় এলাকার শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারীক অর্ঘ্য সরকার জানান, খুনের ঘটনা ঘটেছে। কী কারণে খুন তা খতয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা । পাশাপাশি জেলার পুলিশ সুপার বলেন, "একটা খুনের অভিযোগ এসেছে ৷ আমরা তাঁকে আটক করেছি ৷ আইনানুগ ব্য়বস্থ নেওয়া হবে ৷"